পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস করিবার নয় বলিয়াই মনে হইয়াছিল। তিনি নিজেকে একটুখানি সামলাইয়া লইয়া বিক্ষিতভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” পত্নী কাত্যায়নী মৃদু হাসিয়া উত্তর দিল, “সে কাল মেয়ে বিয়ে কর্তে চায় না। তার সমবয়সী সকলেরই সুন্দর বে: হ’লো, আর তার যদি কালো বে। হয় তবে লোকে বলবে কি ? অাৰ কারই বা বলে কাল মেয়ে বিয়ে কৰ্ত্তে ইচ্ছে হয় ? তা বাপু ছেলের যখন অপছন্দ তখন তুমি পঙ্কীর জন্তে অপর কোন ছেলে দেখ । একটা যেমন তেমন ভালে ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দিলেইতে হ’লো—ত হ’লেই তে। তুমি দায় খালাস নিজেব ছেলের সঙ্গেই যে তার বিয়ে দিতে হবে এমন তো কোন লেখা পড়া নেই ।” এমন কোন লেখা পড়া নেই কথাটা যথার্থ বটে । পঙ্কজিনীর পিতামহ যখন অন্তিমশয্যায় দেবেনবাবুর হস্তে তাহার ক্ষুদ্র নাত নিটিকে অৰ্পণ করিয়া যান, তখন কেবলমাত্র একটা সুপাত্রের হস্তে পঙ্কজিনীকে সমৰ্পণ করিতেই অনুরোধ করিয়াছিলেন, এমন কথা তাহার মুখ হইতে একবারও বাহির হয় নাই যে, তাহার একমাত্র পুত্র নরেন্দ্রর সহিত তাহাব আশ্রয়চু্যত এই পথের ভিখারিণী মেয়েটির বিবাহ দিতে হইবে। এটা কেবল দেবেনবাবুই মনে মনে স্থির করির এতদিন পর্য্যন্ত পঙ্কজিনীর বিবাহ বিষয়ে একেবারে উদাসীন হইয়ছিলেন। তাহার এ কথাটা একবারও মনে পড়ে নাই যে, [ R ]