এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
শ্বেতাভিপাহি সর্ব্বাভিয়াউক্ষিমাং সরস্বতী।
অগ্রে যায় ধনঞ্জয় ঘোর রজনীতে। অন্ধকার হেতু ধরি দেউটি করেতে।। কতদিনে উত্তরিল জাহ্নবীর তীরে। স্ত্রী-সহ গন্ধর্ব্ব এক তথায় বিহরে।। পাণ্ডবের শব্দ শুনি বলে ডাক দিয়া। বড় অহঙ্কার দেখি মনুষ্য হইয়া।। প্রয়াগ গঙ্গার মধ্যে আমার আশ্রয়। রাত্রিকালে আসি জীয়ে কে হেন আছয়।। যক্ষ রক্ষ রাক্ষস পিশাচ ভূতগণ। নিশাকালে অধিকারী এই সব জন।। বিশেষ অঙ্গার পর্ণ নাম মোর খ্যাত। নিশ্চয় আমার হাতে হইবে নিপাত।। পার্থ বলিলেন শাস্ত্র না জান দুর্ম্মতি। জাহ্নবীর জলে স্নান দিবা কিবা রাতি।। অকাল হইল তাহে কিবা তোর ভয়। তোমাতে অশক্ত যেবা সে তোরে ডরায়।। গঙ্গার মহিমা না জানহ মূঢ়মতি। স্বর্গেতে অলকানন্দা ভূমে ভাগীরথী।। হেন গঙ্গাস্নান রুদ্ধ করহ অজ্ঞান। ইহার উচিত ফল পাবে মম স্থান।। অর্জ্জুনের বাক্যে কোপে গন্ধর্ব্ব-ঈশ্বর। ধনু টঙ্কারিয়া এড়ে সর্পময় শর।। হাতেতে উলকা ছিল ইন্দ্রের নন্দন। তাহে করিলেন তার অস্ত্র নিবারণ।। ডাকিয়া বলেন পার্থ শুন রে গন্ধর্ব্ব। এই অস্ত্র-বলেতে করিতেছিলি গর্ব্ব।। তোর বাণ নিবারিনু সহ মম বাণ। এই বাণে লব আমি আজি তব প্রাণ।। পূর্ব্বে দ্রোণাচার্য্য অস্ত্র দিলেন আমারে। এড়িলাম অস্ত্র এই রাখ আপনারে।। এত বলি এড়িলেন অস্ত্র ধনঞ্জয়। গন্ধর্ব্বের রথ পুড়ি হৈল ভষ্মময়।। পলায় গন্ধর্ব্বপতি রণে ভঙ্গ দিয়া। পাছে ধেয়ে অর্জ্জুণ ধরেন চুলে গিয়া।। স্বামীর দেখিয়া হেন সঙ্কট-সময়। নারীগণ গন্ধর্ব্বের ভার্য্যা কুন্তীনলী নাম ধরে। যুধিষ্টির-পদে ধরি বিনয় সে করে।। পরম সঙ্কট হৈতে মোরে কর ত্রান। সহস্র সতীন মোর স্বামী দেহ দান।। কামিনীর ক্রন্দন দেখিয়া পাণ্ডুপতি। অর্জ্জুনে করিল আজ্ঞা ছাড় শীঘ্রগতি।। ধর্ম্মের পাইয়া আজ্ঞা ছাড়েন অর্জ্জুন। গন্ধর্ব্ব বলয়ে তবে বিনয়-বচন।। মোর প্রাণ দান যদি দিলা মহাশয়। করিব তোমার প্রীতি উচিত যে হয়।। অদ্ভুত রাক্ষসী বিদ্যা আছে মম স্থানে। এ বিদ্যা জানিলে লোক জানে সর্ব্বজনে।। মনু পূর্ব্বে এই বিদ্যা দিলেন চন্দ্রেরে। বিশ্বাবসু চন্দ্র-স্থানে, সে দিল আমারে।। মনুষ্য-অধিক আমি সেই বিদ্যা হৈতে। সেই বিদ্যা দিব আমি তোমার প্রীতিতে। ভাই প্রতি শত অশ্ব দিব আনি আর। সেই অশ্ব শ্রান্ত নহে ভ্রমিলে সংসার।। পূর্ব্বে ইন্দ্র বৃত্রাসুরে বজ্র প্রহারিল। অসুরের মুণ্ডে বজ্র শতখান হৈল।। স্থানে স্থানে সেই বজ্র কৈল নিয়োজন। সবা হৈতে শ্রেষ্ঠ বজ্র ব্রাম্ভণ বচন।। শূদ্রগণ কর্ম্ম করে যজ্ঞ তার সেহি। বৈশ্যগণ দান করে বজ্র তারে কহি।। ক্ষত্রিয় থুইল বিদ্যা রথেতে বাজিতে। সে কারণে দিব অশ্ব তোমার সে হিতে।। অর্জ্জুন বলেন তুমি হারিলা সমরে। তব স্থানে লব অস্ত্র না শোভে আমারে।। গন্ধর্ব্ব বলিল যাতে সর্ব্বলোকে জানে। হেন বিদ্যা জানি, তুমি ত্যাজ কি কারণে।। অর্জ্জুন বলেন আমি জানিনু সকল। ভয় পেয়ে এতেক বিনয় কেন বল।। গন্ধর্ব্ব বলিল আমি জানি হে তোমারে। তপতী হইতে জন্ম বিখ্যাত সংসারে।। তোমার পুরুষক্রমে জানি ভালমতে। গুরু দ্রোণে জানি তাঁরা উস