পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবস্য প্রিয়াং দেবীং বীণাহস্তাং বরপ্রদাং।।

 রাক্ষসের দুষ্টাচার জানিয়া সকল।
 পরাশর মুনি হৈল জ্বলন্ত অনল।।
 বেদমন্ত্রে অগ্নি জ্বালি কৈল অঙ্গীকার।
 সঙ্কল্প করিল সব রাক্ষস-সংহার।।
 যজ্ঞের অনল গিয়া উঠিল আকাশে।
 মন্ত্রে আকর্ষিয়া যত আনয়ে রাক্ষসে।।
 গিরীন্দ্র নগর আদ্র কাননাদি গ্রাম।
 দ্বীপ দ্বীপান্তরে যত রাক্ষসের ধাম।।
 লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি অর্ব্বূদে অর্ব্বূদে।
 হাহাকার কলরব করিয়া সশব্দে।।
 পুঞ্জ পুঞ্জ হৈয়া পড়ে অগ্নির ভিতরে।
 ব্যাকুল হৈয়া কেহ কান্দে উচ্চৈঃস্বরে।।
 মহাতেজ মহাকায় মহাভয়ঙ্কর।
 কার সপ্ত মুখ কার' অষ্টাদশ কর।।
 বিকট দশন রক্ত লোমাবলি দেহ।
 কূপসম চক্ষুতে রহয়ে ঘন লোহ।।
 পর্ব্বত-আকার দেহ জিহ্বা লহ লহ।
 বিপুল উদর কারো দেখি শুষ্ক দেহ।।
 কেহ প্রবেশিল ভয়ে পর্ব্বত-কোটরে।
 প্রাণভয়ে কোনজন বৃক্ষ চাপি ধরে।।
 কেহ প্রবেশয়ে গিয়ে সমুদ্রের ভিতরে।
 পাতালে প্রবেশে কেহ যায় দিগন্তরে।।
 কর্কট সিংহেতে যেন সলিলে বরিষে।
 লিখন না যায় যত অনলে প্রবেশে।।
 দশদিকে কলরব হৈল হাহাকার।
 প্রলয়কালেতে যেন মজয়ে সংসার।।
 আকুল হইয়া কেহ শরীর আছাড়ি।
 ভয়েতে কম্পয়ে তনু যায় গড়াগড়ি।।
 কোন রাক্ষসের নাহিক রক্ষণ।
 যজ্ঞে লৈয়া আসে, মন্ত্রে করিয়া বন্ধন।।
 পরাশর-যজ্ঞে হৈল রাক্ষস-সংহার।
 পৌলস্ত পাইল সে সকল সমাচার।।
 সৃষ্টিনাশ হইল চিন্তিত মুনিবর।
 যথা যজ্ঞ করে মুনি চলিল সত্বর।।
 পৌলস্ত্যেরে দেখিয়া উঠিল মুনিগণ।
 বসিবারে দিল দিব্য কনক-আসন।।