এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বিস্ফোটকভয়ে প্রাপ্তে রক্ষ রক্ষ মহাবল।।
সুভদ্রার সহিত অর্জ্জুনের ইন্দ্রপ্রস্থে গমন। অনন্তর অর্জ্জুন প্রভাসতীর্থে গিয়া। দ্বাদশ বৎসর তথা অরণ্যে বঞ্চিয়া।। তবে পুনঃ কতদিন রহে দ্বারাবতী। ইন্দ্রপ্রস্থে গেলেন যে সুভদ্রা সংহতি।। যুধিষ্ঠির চরণে করেন প্রণিপাত। ধর্ম্ম আশীর্ব্বাদ দেন শিরে দিয়ে হাত।। কুন্তী ভীমে প্রণমেন পার্থ সবিনয়ে। আশীর্ব্বাদ দেন দুই মাদ্রীর তনয়ে।। দ্রৌপদীরে সম্ভাষিতে যান অন্তঃপুর। পার্থে দেখি দুঃখী কৃষ্ণা হইয়া প্রচুর।। অধোমুখে রহিলেন অতি ক্রোধমন। কতক্ষণ থাকি পার্থ বলেন বচন।। দ্বাদশ বৎসর অন্তে হইল মিলন। ইহাতে অপ্রিয় কেন না বুঝি কারণ।। দ্রৌপদী বলেন পার্থ না দহ শরীর। হেথা হৈতে গেলে মম চিত্ত হয় স্থির।। মম সনে তোমার কি আর প্রয়োজন। যথায় যাদবী তথা করহ গমন।। শুনিয়া কহেন পার্থ হইয়া লজ্জিত। তুমি হেন কহ দেবী না হয় উচিত।। তোমা বিনা অর্জ্জুনের কা আছে সংসারে। লক্ষ স্ত্রী হইলে তুমি সবার উপরে।। আমরা যে পঞ্চভাই সকলি তোমার। ভদ্রা হেতু কর ক্রোধ না বুঝি বিচার।। শুনিয়া দ্রৌপদী মনে হইল উল্লাস। প্রিয়বাক্যে দুইজনে হইল সম্ভাষ।। কতদিন পরে তবে পাণ্ডবের প্রীতে। বলভদ্র যান কৃষ্ণ রহেন তথাতে।। তবে কতদিনে ভদ্রা হৈল গর্ভবতী। পরম সুন্দর পুত্র প্রসবিল সতী।। দ্বিতীয় চন্দ্রের জ্যোতি অঙ্গের বরণ। রূপেতে বীর্য্যেতে হৈল জনক সমান।। অভিরাম মনোহর সুন্দর শরীর। মনেতে বিশাল ক্রোধ অতিশয় ধীর।। সে কারণে অভিমন্যু দিল তার নাম। পশ্চাতে কহিব যত তার গুণগ্রাম।। দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র পঞ্চজন হৈতে। সবার সমান হৈলে রূপেতে গুণেতে।। অনুমান করি কাম দিল দ্বিজগণ। প্রতিবন্ধ্য নাম হৈল ধর্ম্মের নন্দন।। সুতসোম নাম বৃকোদর সুত হৈল। শ্রুতকর্ম্ম বলি নাম পার্থসুতে দিল।। শতানীক নাম হৈল নকুল-নন্দন। সহদেব-সুত নাম হৈল শ্রুতসেন।। এই পঞ্চ নাম ধরে পঞ্চের সন্তান। রূপে গুণে বলে বীর্য্যে জনক সমান।। পাণ্ডবের বংশবৃদ্ধি হৈল এইমত। দেখে সব পুত্রমুখ হৈল আনন্দিত।। সুধাময় ভারত শ্রীব্যাস বিরচিল। এতদূরে আদিপর্ব্ব সমাপ্ত হইল।।
আদিপর্ব্ব সমাপ্ত। ------