S}e 8 সদ্যঃ কুত্তশিরো দক্ষহস্তেন দধতীং শিৰাং । [ अशeब्रिड । তোমার সাক্ষাতে আমি কহি সত্য করি । না করিলে বৃথা নাম বাস্থদেব ধরি ॥ তথাপি আমার বাক্য ন হইবে আন । দিন কত কল্যাণি থাকহু সাবধান ॥ এতেক শুনিয় কহিলেন ধনঞ্জয় । কৃষ্ণের বচন দেবি কভু মিথ্যা নয় ॥ কহিলেন ঘত কৃষ্ণ হবে সেইমত । অকারণে কান্দহ অজ্ঞান জন মত ॥ স্বসার ক্ৰন্দন দেখি ধৃষ্টদ্যুহ্ম বার । সজল নয়নে কহে কাম্পত শরীর ॥ এতেক লাঞ্ছন। কেবা ক্ষত্ৰ হ’য়ে সয় । নিকটে না ছিনু আমি কুরু ভাগ্যোদয় ॥ তথাপি কৌরবগণে করিব সংহার। শুন সৰ্ব্ব রাজগণ প্রতিজ্ঞ। আমার ॥ দ্রোণ গুরু বলি যেই গৰ্ব্ব করে মনে । মম ভার রৈল তারে সংহারিতে রণে ॥ ভীষ্ম পিতামহ যে অজেয় তিনলোকে । তাহাকে মারিতে ভার হৈল শিখণ্ডীকে ॥ মধুর বচনে তবে কন জগন্নাথ । যুধিষ্ঠির আগে যোড় করি পদ্মহাত ॥ দ্বারক ছাড়িয়া আমি নিকটে থাকিলে । নিবৃত্ত করিতে আসিতাম দূত্যকালে ॥ শাল্ব নামে মহাবল দৈত্যের ঈশ্বর । সসৈন্য বেড়িয়াছিল দ্বারকানগর ॥ তব রাজসূয় যজ্ঞে গেলাম যখন । সবারে পীড়িল দুষ্ট ৰুরি মায় রণ ॥ আমার সহিত যুদ্ধ হৈল বহুতর । বহু কষ্টে তারে মারিলাম নরেশ্বর ॥ এত শুনি যুধিষ্ঠির জিজ্ঞাসিল পুনঃ । কহ শুনি দ্বারক হিংসিল শাস্ব কেন ॥ তোমার সহিত কেন বৈরত হুইল । কার হিত কারণ সে দ্বারক আইল ॥ কোন মায়া ধরে দুষ্ট কত করে রণ। বিস্তারি আমারে কহু শ্ৰীমধুসূদন ॥ গোবিন্দ বলেন শুন পাণ্ডুর নন্দন । তব রাজসূয় যজ্ঞ অনর্থ কারণ ॥ শিশুপাল আমা হৈতে হইল নিধন T সেই বৈরাবৃক্ষ বাজ হুইল রোপণ ॥ শিশুপাল মরণ শুনিয়া দৈত্যেশ্বর । সসৈন্যে বেড়িল আসি দ্বারকা নগর ॥ দ্বারকার লোক তার শুনি আগমন । উগ্রসেন আদি সব সাজিল তখন ॥ দ্বারক পশিতে যত নৌকা-পথ ছিল । সকল স্থানের নৌকা ডুবাইয়া দিল । লোহার কণ্টক সব পোতাইল পথে । ক্রোশেক পর্য্যন্ত বিষ রাখিল জলেন্তে । ধন রত্ন রাখিলেন গর্তের ভিতর । রক্ষক উদ্ধব উগ্রসেন নরবর ॥ আসিতে যাইতে লোক করে নিবারণ ! বিনা চিহ্নে তথায় না চলে কোন জন । সৌভপতি আইল সে চতুরঙ্গ দলে । পৃথিবী কম্পিত হৈল রণ-কোলাহলে । দ্বারকার চতুর্দিক রহিল বেড়িয় । বহু সৈন্য জলস্থল রহিল যুড়িয়া ॥ দেবালয় শ্মশান পূর্ণিত কৈল স্থল । এই স্থলে নিজ সৈন্য রাখিল সকল ॥ দেখিয়া দৈত্যের সৈন্য বৃষ্ণিবংশগণ । বাহির হইল তবে করিবারে রণ ॥ চারুদেষ্ণ শাম্ব গদ প্রত্যুম্ব সারণ । সসৈন্যে বাহির হৈল করিবারে রণ { ক্ষেমবৃদ্ধি নামেতে শাস্বের সেনাপতি । সে যুদ্ধ করিল শাস্ব কুমার সংহতি ৷ মহাবল শাম্ব জাম্ববতীর নন্দন । অস্ত্র বৃষ্টি কৈল যেন জল বরিষণ ॥ সহিতে না পারি রণে ভঙ্গ দিয়া গেল । ক্ষেমৰ্বদ্ধি ভঙ্গ দেখি সৈন্য পলাইল । বেগবান নামে দৈত্য আছিল তাঁহাতে : আগু হয়ে যুদ্ধ দিল শাম্বের সহিতে h শাম্বের হস্তেতে যে মহাগদ। আছিল । বেগবান তাহার প্রহারে প্রাণ দিল ৷ দানব বিবিন্ধ্য নামে আসি দাড়াইল । নানা অস্ত্রে দুই বীরে মহাযুদ্ধ হৈল ।
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।