স্ত্রী গুরুর ধ্যান—সহস্রারে মহাপদ্মে কিঞ্জরগণশোভিত । [ মহাভারত । ج 8 كم T শীলে রূপে গুণে একই প্রকার । ধ রতন অঙ্গে শোভে সবাকার ॥ বিদৰ্ভির রাজা হেরি শুভক্ষণে । ময়ন্তী আনাইল সভা বিদ্যমানে ॥ খিয়া মোহিত হইল সব রাজগণ । মাত্র হরিলেক সবাকার মন ॥ যত মহারাজ আছিল সভায় । পুত্তলিপ্রায় একদৃষ্টে চায় ॥ ঠুল বিনা দময়ন্তী অন্যে নাহি মন । কাথায় আছয়ে নল করে নিরীক্ষণ ॥ এক স্থানে দেখি ভৈমী সবার ভিতর । লের আকার পঞ্চ পুরুষ মৃন্দর ॥ র্ণেতে নলের সম নাহি কিছু ভেদ । দাখ দময়ন্তী চিত্তে করে বড় খেদ ॥ পঞ্চনল দেখিতেছি বরিব কাহারে । ੋਜਯ করিল চিত্ত বঞ্চিল আমারে ॥ দবলিঙ্গে নরলিঙ্গে বিভেদ আছয় । দৈবমায় বলে কিছু সেও ব্যক্ত নয় ॥ উপায় না দেখি ভৈমী বিচারিল মনে । করযোড়ে স্তবন-করিল দেবগণে ॥ তামরা যে অন্তৰ্য্যামি জানহ সকল । পূর্বে হংসমুখে আমি বরিয়াছি নল ॥ প্ৰসন্ন হইয়া মোরে সবে দেহ বর । জ্ঞাত হয়ে পাই আমি আপন ঈশ্বর ॥ বদভীর নির্ণয় জানিয়া দেবগণ । মাপন আপিন চিহ্ন করান দর্শন ৷ মনিমিষ নয়ন সে স্পন্দনহীন কায় । মমনি কুহুম অঙ্গে নাহি অঙ্গছায়া ॥ বদৰ্ভি জানিল তবে এ চারি অমর । লি নরপতি দেখে ভূমির উপর ॥ ইষ্ট হয়ে শীঘ্ৰগতি মালা দিল গলে । Iাধু সাধু দেবতা গন্ধৰ্ব্বলোকে বলে । টবে নল নরপতি প্রসন্ন হইয়া ৭ }ময়ন্তী প্রতি বলে আশ্বাস করিয়া ॥ #াবৎ শরীরে মম থাকিবেক প্রাণ। so ট্রাবৎ ধরিব তোমা প্রাণের সমান ॥ নলেরে বৈদৰ্ভি যবে করিল বরণ। দেখিয়া সস্তুষ্ট হৈল যত দেবগণ ॥ তুষ্ট হয়ে ইষ্ট বর দিল চারিজন । অলক্ষিত বিদ্যা দিল সহস্ৰলোচন ॥ অমৃত দিলেন তবে জলের ঈশ্বর । যথায় চাহিবে জল পাবে সরোবর ॥ অগ্নি বলে যাহা ইচ্ছা করিবে রন্ধন । বিনা অগ্নি রন্ধন হইবে সেইক্ষণ ॥ , প্রাণিবধ বিদ্যা দিল সূর্য্যের নন্দন । অস্ত্র তুণ ধনু দিয়া করিল গমন ॥ নিবৰ্ত্তিয়া স্বয়ম্বর গেল সবে ঘরে । দময়ন্তী ল’য়ে গেল নল নরবরে ॥ দময়ন্তী বিনা রাজা অন্যে নাহি মতি । কুতুহলে ক্রীড়া করে যেন কাম রতি ॥ বহু যজ্ঞ করিলা, করিলা বহুদান । পুণ্যবলে নাহি কেহ নলের সমান ॥ মহাভারতের কথা পরম পবিত্র । আরণ্যকে অনুপম নলের চরিত্র ॥ নলের শরীরে কলির প্রবেশ । স্বয়ম্বর নিবৰ্ত্তিয়া যান দেবগণ । পথেতে দ্বাপর কলি ভেটে দুইজন ॥ জিজ্ঞাসিল দুইজনে যাও কোথাকারে । কলি কহে যাই বৈদভীর স্বয়ম্বরে ॥ সে কন্যার রূপ গুণ শুনিয়া শ্রবণে । প্রাপ্তি ইচ্ছা করি তথা ঘাই দুইজনে । হাসি ইন্দ্র বলিলা নিবৃত্ত স্বয়ম্বর । নলেরে বরিল ভৈমী সভার ভিতর ॥ এত শুনি ক্রোধে করি বলে আরবার ! দেবস্বামী ত্যজিয়া বরিল নর ছার ॥ । এই হেতু দণ্ড আমি করিব তাহারে । প্রতিজ্ঞা করিমু আমি তোমার গোচরে । দেবেরা বলেন তার দোষ নাহি তিল । মুমি সবাকার বাক্যে বরিলেক নল ॥. নলের চরিত্র কিছু কহনে না যায় । সংসারের যত গুণ বঞ্চে নলীংশ্রয় ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/২৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।