তবে যত দেবগণ একত্র হইয়া । অগস্ত্য মুনির পদে নিবেদিল গিয়া ॥ চন্দ্র সূৰ্য্য পথ রুদ্ধ বিন্ধ্যগিরি করে । তোমা বিন নাহি দেখি তাহাকে নিবারে ॥ রক্ষা কর মুনিরাজ স্থষ্ঠি হৈল নাশ । শুনিয়া অগস্ত্য মুনি করিল আশ্বাস ॥ বিন্ধ্যগিরি সমীপে চলিল তপোধন । মুনি দেখি প্রণাম করিল সৰ্ব্বজন ॥ মুনি দেখি বিন্ধ্যগিরি প্রণাম করিল। ঈষৎ হাসিয়া মুনি আশীৰ্ব্বাদ দিল ॥ যাবৎ না আসি আমি দক্ষিণ হইতে । তাবৎ পৰ্ব্বত তুমি থাক এইমতে ॥ এত বলি মুনিরাজ করিল গমন । পুনঃ ন উত্তরে সে আসিল কদাচন ॥ তার আজ্ঞা লঙ্ঘিয় পৰ্ব্বত নাহি উঠে । স্থষ্টি রক্ষা করিলেন অগস্ত্য কপটে ॥ পুনঃ জিজ্ঞাসেন তবে রাজা যুধিষ্ঠির । কিরূপে শুষিল মুনি সাগর গভীর ॥ . লোমশ বলেন পূৰ্ব্বে দৈত্য বেত্ৰাহর । পরাক্রমে জিনিয়া বেড়ায় তিনপুর ॥ কালকেয় আদি যত দ্বিতীয় দানব । :বেত্ৰান্ধর সহিত থাকয়ে দুষ্ট সব ॥ }দৈত্যভয়ে দেবগণ রহিতে নারিল । ইন্দ্র অগ্ৰে করিয়া ব্ৰহ্মারে নিবেদিল । ব্ৰহ্মা বলে যেই হেতু এলে দেবগণ । পূর্বে চিন্তিয়াছি আমি তাহার কারণ ॥ লৌহ দারু মেরু যত আছে অস্ত্রসার । কোনমতে নহে বেত্ৰান্বরের সংহার ॥ }দধীচি মুনির স্থানে করছ গমন । সেবে মিলি বর মাগ শুন দেবগণ ॥ #প্ৰসন্ন হইলে যে মাগিবে এই দান। নিজ অস্থি দিয়া লোকে কর পরিত্ৰাণ ॥ t ত্যজিবে মুনি লোকের কারণ। উায় অস্থি ল’য়ে কর আস্ত্রের স্বজন ॥ অস্ত্রে ইন্দ্র তারে করিবে প্রহর । বেত্ৰাস্কর হইবে সংহার ॥ এত শুনি দেবগণ করিল গমন । সরস্বতী নদীতীরে আইল তখন ॥ মহাতেজোময় মূৰ্ত্তি দেখি দধীচির । চন্দ্র সূৰ্য্য অগ্নি জিনি জ্বলন্ত শরীর ॥ মুনিরে বেড়িয়া ইন্দ্র আদি দেবগণ । দণ্ডবৎ প্রণাম করিল অগণন ॥ দেবতা সমুহ সৰ্ব্ব দিকপালগণে । দেখিয়া দধীচি মুনি ভাবিলেন মনে ॥ জানিয়া সকল তত্ত্ব কহে মুনিবর। ! কি হেতু আইলা আজি সকল অমর ॥ সবাকার হেতু আমি ত্যজিব শরীর । অস্থি মাংস বিষ্ঠ তনু সহজে অচির ॥ হয় হোক ইহাতে লোকের উপকার । উপকার হীন ব্যর্থ রহে তনু ছার ॥ পূৰ্ব্বভাগ্যে লোককার্য্যে লাগিল শরীর । এত বলি তনু ত্যাগ হৈল দধীচির ॥ হেন উপকার কোথা নাহি করে কেহ । পরোপকগরের জন্য ত্যজে নিজ দেহ ॥ মুধিষ্ঠির বলিলেন কহ অতঃপর । অস্থি নিয়া কি কৰ্ম্ম করিল পুরন্দর ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবাণ ॥ বেত্ৰীস্বরের সহিত দেবগণের যুদ্ধ । লোমশ বলেন রাজা কর অবধান । দেবশিল্পী স্থানে দিলা করিতে গঠন ॥ ! অস্থি ল’য়ে দেবগণ করিল গমন । বেত্ৰাস্বরে যেইমতে মারে মরুত্বান ॥ সে উগ্র প্রকারে বজ্র করিয়া নিৰ্ম্মাণ । শীঘ্ৰগতি আনি দিল ইন্দ্র বিদ্যমান ॥ বজ্র নিয়া জাগিয়া রহিল পুরন্দর । হেনকালে জাসে বেত্ৰাক্ষর দৈত্যেশ্বর ॥ প্ৰলয় দানৰ দৈত্য সংহতি করিয়া । স্বমেরু শিখর যেন পৰ্ব্বত বেড়িয় ॥ মার মার শব্দেতে করিয়া কলৱৰ । প্ৰলয় সময়ে যেন উথলে অর্ণব ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।