পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনপৰ্ব্ব । ] বলাবল বুঝিব সাক্ষাৎ যুদ্ধকালে । কর্ণের বিক্রম সেই জানে ভালে ভালে ॥ এত বলি ঢেকা মারি বাহির করিল। মহাদুঃখমনে রক্ষী কান্দিয়া চলিল ॥ বসি আছে চিত্রসেন আপন আবাসে । (হনকালে অমুচর কহে মৃত্নভাষে ॥ বক্ষ হেতু তুমি মোরে রাগিল উদ্যানে । দুৰ্যোধন রাজা আসি প্রভাসের স্নানে ॥ eার সৈন্য উদ্যান করিল লণ্ডভণ্ড । রাজারে কহিনু গিয়া তার এই দণ্ড । কতেক কুৎসিত ভাষা কহিল তোমারে । দুৰ্য্যোধন সেনাপতি কৰ্ণ নাম ধরে ॥ মনুষ হইয়া করে এত অহঙ্কার । দধি মত দণ্ড যদি না দিবে তাহার ॥ এইমত দুষ্টাগর করিবেক সবে । Pলু গুরু মনুষ্য দেবেতে কিবা তবে ॥ এত শুনি মহাক্রোধে উঠিল গন্ধৰ্ব্ব । কোন ছার মনুষ্য করিব চুৰ্ণ গৰ্ব্ব ॥ মরণকালেতে পিপড়ার পাথ। উঠ । ধগুতে করিল বাঞ্ছা শমন নিকটে ॥ ফ্রেধিভরে রথোপরি চলে দ্রুতগতি । ধগুক টঙ্কার শুনি কম্পমান ক্ষিতি ॥ rব শাণিত শরে পুরি যুগ্ম তুণ । .ক্রাধভরে আসিতেছে জ্বলন্ত আগুন । কত দুর গিয়া দেখে রথের পতাকা । *ক্ষপথে আসে যেন জ্বলন্ত উলক ॥ গ্রুসৈন্য নিকটে আইল সেইক্ষণ । *াইত লাগিল অতি গভার গর্জন ॥ শর ইষ্ট ত্যজ আজি জীবনের সাধ । *3ণ্য হইয়া কর গন্ধৰ্ব্বে বিবাদ ৷ এতেক বলিয়া দিল ধনুকে টঙ্কার । శ్రే শরজালে কৈল অন্ধকার ॥ শুনিয়া গন্ধৰ্ব্ব গৰ্ব্ব হৈল মহাক্রোধ । চকরিয়া ধমুগুণ যায় মহাযোধ ॥ ই শত্র যুড়িলেন সুৰ্য্যের-নন্দন । *টিা সকল অস্ত্র কৈল নিবারণ। শঙ্কর-মেলি নিবাসিনি বিমলে । وهو سياسي তবেত গন্ধৰ্ব্ব এড়ে তীক্ষ পঞ্চবাণ । অৰ্দ্ধপথে কর্ণ বাণে হৈল দশখান ॥ গন্ধৰ্ব্ব দেখিল অস্ত্র কাটিলন কৰ্ণ । ক্রোধে কম্পমান তনু চক্ষু রক্তবর্ণ ॥ সিংহমুখ দিব্য অস্ত্র যুড়িল ধনুকে । ! অস্ত্রে অগ্নি বাহিরায় ঝলকে বলকে ॥ মহাবীর কর্ণ তবে অপূৰ্ব্ব সন্ধানে । ! কাটিল গন্ধৰ্ব্ব অস্ত্র অৰ্দ্ধচন্দ্র বাণে ॥ সপবাণ গন্ধৰ্ব্ব যুড়িল সেইক্ষণ । যুড়িল গরুড় বাণ সূর্য্যের নন্দন ॥ আরে দুষ্ট অহঙ্কারে না দেখ নয়নে । গৰ্ব্ব চুৰ্ণ হবে আজি পড়ি মম বাণে ॥ আকৰ্ণ পূরিয়া কৰ্ণ কৈল বিসর্জন । উঠিয়া আকাশপথে করিল গমন ॥ অস্ত্র দেখি ব্যস্ত হৈল গন্ধৰ্ব্ব ঈশ্বর । শীঘ্ৰ হস্তে এড়ে বীর চোকা চোকা শর ॥ দুই অস্ত্রে মহাযুদ্ধ হইল অম্বরে, কাটিল দোহার অস্ত্র দোহাকার শরে M অস্ত্র ব্যর্থ দেখি কর্ণ সক্রোধ তন্তর । চিত্রসেনে প্রহরিল শতেক তোমর ॥ বাণাঘাতে ব্যগ্র চয়ে গন্ধৰ্ব্বের পতি । ডাকিয়৷ বলিল তবে কর্ণ বীর প্রতি ॥ ধন্য তোর পরপণ। ধন্য ভোর শিক্ষা । এখন বুঝই তুমি আমার পরীক্ষণ ॥ এতেক বলিয়া প্রহরিল দশ বাণ । ব্যথায় ব্যথিত কণ হইল সজ্ঞান | কতক্ষণে চেতন পাইয়া মহাবল । বেড়িল গন্ধৰ্বেব আসি কৌরব সকল ॥ শতপুর করিয়া বেড়িল সফ, wন । ধনুক টঙ্কার যেন সদনে বস্ঝন ॥ দশদিক যুড়িয়া করিল অন্ধকার । গন্ধৰ্ব্ব সবার অস্ত্র করিল সংহfর ॥ প্রাণপণে সবে যুদ্ধ করিল অপার । সবে নিবারণ করে গন্ধৰ্বৰ ঈশ্বর ॥ পরশুরামের শিষ্য কর্ণ মহাবীর । আচল পৰ্ব্বতপ্রায় যুদ্ধে রহে স্থির ॥