পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪০৮ মধুর-কান্তপদ পঙ্কটিকাভিঃ । পরমানন্দ কলিত-ললিতাভিঃ মহাভারতী কেবল রাখিয়া মাত্র পুস্তকেতে দৃষ্টি । মনে মনে জপে নিজ নারায়ণ ইষ্টি ॥ কাৰ্য্য হেতু গুরু যবে যায় যথ তথা । তবে শিশুগণে কহে এই সব কথা ॥ শুন ভাই এই পাঠে কোন প্রয়োজন । জানহ পরম শত্রু জ্ঞাছয়ে শমন ॥ তরিয়া যাইতে আর নাহিক উপায় । কৃষ্ণ পদে রাখ চিত্ত কার’ নাহি দায়ু ॥ এমত প্রকারে নিত্য কহে শিশুগণে । আর দিন তারা সবে কহিল ব্রাহ্মণে ॥ শুনিয়া শিষ্যের কথা গুরু ধায় বেগে । প্ৰহলাদ-চরিত্র কহে নৃপতির আগে ॥ বিপ্র বলে শুন রাজ হইল প্রমাদ । সকল করিল নষ্ট তোমার প্রহলাদ ॥ যতেক পড়াই আমি তাহে নাহি মন । অনুক্ষণ জপে বিষ্ণু রাম-নারায়ণ ॥ কৃষ্ণ বিনা তাহার নাহিক মনোরথ । সকল বালকে লুওয়াইল সে পথ ॥ এতেক বৃত্তান্ত যদি ব্রাহ্মণ কহিল । ক্রোধভরে নৃপতি পুত্তেরে ডাকাইল ॥ জিজ্ঞাসিল কহ বাপু বিচার কেমন । আমার পরম শত্ৰু সেই নারায়ণ ॥ কেব৷ সেই বিষ্ণু তার চিন্তা কর বৃথা । অধ্যাপক ব্রাহ্মণের নাহি শুন কথা ॥ শিশু বলে এই কথা, পড়িলে কি হবে । * অনিত্য সংসার পিতা কেমনে তরিবে ॥ না জান পরম শত্রু আছে যে শমন । ইথে কে করিবে রক্ষা বিনা নারায়ণ-) অখিল সংসার মাঝে যত চরাচর । সেই নারায়ণ সৰ্ব্বভূতের ঈশ্বর ॥ এ তিন ভুবনে আছে তাহার নিয়ম । উjহার আশ্রয় নিলে কি করিবে যম ॥ আমার পরম বিদ্যা সেই দেব হরি । র্যার নামে অশেষ বিপদ হৈতে তরি ॥ তাহ ছাড়ি অন্য পাঠ পড়ে যেইজন । অমৃত ছাড়িয়া করে গরল ভক্ষণ ॥ احساساتح------- শুনিয়া পুত্রের মুখে এতেক ভারতী । মহাক্রোধে কহিতে লাগিল দৈত্যপতি । মম বংশে হৈল এই দুষ্ট দুরাশুয় ? কাষ্ঠের ভিতরে যেন থাকে ধনঞ্জয় ৷ জন্মিলে পোড়ায়ে কাষ্ঠে করে ছায়খার । তেমনি জন্মিল দুষ্ট কুপুত্র আমার ॥ আমার শক্রর গুণ গায় অবিরত । আত্মপক্ষ ত্যজিয়া পরের অনুগত ॥ ন। রাখিহ এই শিশু মারহ এইকাল । বিলম্ব হইলে বহু বাড়িবে জঞ্জাল ॥ রাজার মুখেতে শুনি যত দৈত্যগণ । চতুর্দিকে ধরি সবে করে প্রহরণ ॥ একে একে করিল সকলে অস্ত্রাঘাত । কিছুতেই প্ৰহলাদের না হৈল নিপাত । বিস্ময় মানিয়া পুত্রে ডাকে দৈত্যপতি। জিজ্ঞাসিল কেমনে পাইলে অব্যাহতি । এখন কল্পহ ত্যাগ শত্ৰুগণ কথা । নিজ শাস্ত্র অধ্যয়ন করহ সৰ্ব্বথা ॥ প্ৰহলাদ কহিল মোরে রাখিলেন হরি ; হরি সখ থাকিতে কে হয় মম অরি ॥ কত শিব কত ব্ৰহ্ম কত দেবদেবী । না পায় তাহার অন্ত বহুকাল সেবি ৷ আমার পরমব্রহ্ম তাহার চরণ । , অন্য পাঠ পঠনেতে নাহি প্রয়োজন ॥ এত শুনি মহাক্রোধে দৈত্যের ঈশ্বর । কহে শিশু মার আনি দন্তাল কুঞ্জর । প্ৰহলাদে বেড়িল আসি যতেক বারণ ! আজ্ঞামাত্র ধরিল যতেক দৈত্যগণ ॥ অঙ্কুশ আঘাতে দন্ত দিল দন্তীগুল । অঙ্গে ঠেকি ভাঙ্গে যেন স্থকোমল মূল বিস্ময় মানিয়া রাজা জিজ্ঞাসে বৃত্তান্ত কহ পুত্র কিমতে ভাঙ্গিলে গজদন্ত৷ শিশু বলে করীদন্ত বজের সমান । কেমনে ভাঙ্গিব আমি নহি বলবান | একান্ত আছিয়ে যার নারায়ণে মতি । তাহার করিতে মন্দ কাহার শকতি ।