পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনপৰ্ব্ব | ] আবদ্ধাঙ্গদহারকুণ্ডল মহামৌলিং স্ফুরৎকঙ্কণং। 836 সিদ্বিত আসিবে আর ভাই দুইজন । ৰেবাছ করিব তবে এই নিরূপণ ॥ ধ্ৰুতমাত্র জনক পাঠায় দূতগণে । কহিল সকল কথা নৃপতির স্থানে ॥ শুনিয়া হৈলেন রাজা আনন্দে পূরিত । দুই পুত্ৰ সহ রাজা আইল ত্বরিত ॥ মহ কোলাহল শব্দ চতুরঙ্গ দলে । বষ্টিত হইয়া রাজা মহা কুতূহলে ॥ ‘মথিলানগরে আইলেন দশরথ । অগ্রসরি জনক আইলা কত পথ ॥ সমাদরে লইয়া করিল বহু মান । শুভক্ষণে রামে সীতা কৈল সম্প্রদান ॥ সীতানুজা কন্যা ছিল পরম রূপসী । লক্ষণে প্রদান কৈল সুখে রাজঋষি ॥ জনকের সহোদর কুশধ্বজ নাম । দুই কন্যা ছিল তার রূপে অনুপম ॥ ভরত শত্রুঘ্ন দোহে করাইল বিভা ৷ . বৈকুণ্ঠ জিনিয়া ছৈল মিথিলার শোভা ॥ ১ারি ভায়ে কৈল তবে চারি কন্যা দান । কৌতুকে ধৌতুক দিল নাহি পরিমাণ ॥ দশরথ ভূপতিরে পূজিল বিশেষে । আনন্দ বিধানে রাজা যান নিজ দেশে ৷ মুনিগণে প্রণাম করিল সৰ্ব্বজন । আশীৰ্ব্বাদ করি সবে করিল গমন ॥ শত্ৰগতি যায় রাজা উঠি নিজ রথে । ইনকালে ভূগুরাম তাগুলিল পথে ॥ উর্জয় শরীর তার দেখি লাগে ভয় । গভীর গর্জন ক্রোধে রঘুবীরে কয় ॥ স্বরে হ্রস্বপোষ্য রাম রণে তোর আশা । সম নাম ধর তুমি এতেক ভরসা ॥ পত্ৰকুলান্তক আমি সৰ্ব্বলোকে জানে । সেই কথা পরীক্ষা করিব বিদ্যমানে ॥ ভোরে না করিলে বধ লুপ্ত হয় নাম । পৃথিবীর মধ্যে যেন থাকে এক রাম ॥ রের ধনুক ভাঙ্গি হৈলি বলবান। শীর্ণ ধনু ভাঙ্গিয়াছ কি তার বাখান ॥ দশরথ নৃপতি পাইল ব্লড় ভয় । করযোড়ে কৈল স্তুতি অনেক বিনয় ॥ ন জানিয়া কৈল কৰ্ম্ম হইয়া অজ্ঞান । সেবক বলিয়া আমা দেহ পুত্ৰদাম ॥ পিতৃ-দুঃখ দেখি তবে রাম মহোদয় । হাসিয়া কহেন পিতা না করিও ভয় ॥ তবে রাম ডাকিয়া বলেন ভূগুরামে । কি হেতু তোমার দুঃখ হৈল মম নামে ॥ যাও বিপ্ৰ ত্যজ আজি পূর্ব অহঙ্কার । অবধ্য ব্রাহ্মণ বলি পাইলে নিস্তার ॥ নহেত এতেক দুঃখ সহে কার প্রাণে । দহন করিব ক্ষিতি আমি এক বাণে ॥ এত শুনি ভূগুরীম ধনু ল’য়ে হাতে । ক্রোধভরে বাড়াইয়া দিল রঘুনাথে । বিষ্ণুতেজ ছিল ভৃগুরামের শরীরে । ধনুক সহিত প্রবেশিল রঘুবীরে ॥ তবে রাম গুণ দিয়া যুড়ি দিব্য শর। হাসিয়া কহিল পরে শুন দ্বিজবর ॥ অবধ্য ব্রাহ্মণ তুমি বৃথা নহে বাণ । শীঘ্ৰ কহ তোমার রোধিব কোন স্থান ॥ হতবুদ্ধি হ’য়ে তবে কহিল ভার্গব । না জানিয়া করি দোষ ক্ষমা কর সব ॥ তবে রাম স্বৰ্গপথ করিলেন রোধ । দেখিয়া সকলে করে চমৎকার বোধ ॥ বিনয় করিয়া তৃগুরীম গেল বনে । দশরথ রাজা গেল তাপন ভবনে ॥ বিবাহ করিয়া যান চারি সহোদর । আনন্দ সন্দির হৈল অযোধ্যানগর ॥ শাস্ত্রপাঠ ৰিমিত্ত ভয় ল মহাশয় । শক্রয় সহিত গেল মাত সম্প্রলয় ॥ এইরূপে নিয়মিতে কতকাল গেল । রাজ্য দিতে রঘুনাথে রাজা বিচারিল ॥ পাত্র মিত্র ডাকিয় কহিল সমাচার । অধিবাস কর রামে দিব রাজ্যভার ॥ দালীমুখে শুনিয়া কৈকেয়ী এই কথা। অভিমানে রছিলেন ভরতের মাত ॥