৪২২ দধি বামনের ধ্যান—ও মুক্তগৌরং নবমনিলসন্তুষণঃ চন্দ্রসংস্থং। [মহাভারত । গলপুর্ণ হৈল রণে আইল রাবণ । পিনি গেলেন রণে কমললোচন ॥ বণে দেখিয়া রথে রঘুনাথে ক্ষিতি । মদ পাঠাইল রথ মাতলি সংহতি ॥ ই রথে রঘুনাথ চড়েন কৌতুকে । তিলি লইল রথ রাবণ-সম্মুখে ॥ প্রমিত যুদ্ধ হৈল দুই মহাবল । পমা নাহিক স্বৰ্গ মর্ত্য রসাতল ॥ fর যত শিক্ষা ছিল দোহে কৈল রণ। হাক্রোধাভরে তবে কমললোচন ॥ বিণের দশমুণ্ড কাটিলেন শরে । নিৰ্ব্বার উঠে মুণ্ড বিধাতার বরে ॥ নঃ পুনঃ যতবার কাটে রাবণে । বনাশ না হয় দুষ্ট পুর্বের্বর সাধনে ॥ যাড়করে বিভীষণ করে নিবেদন । মন্য অস্ত্রে না মরিবে দুর্জয় রাবণ ॥ তু্যবাণ আছে ওর মন্দোদরী পাশ । স বাণ আনিলে হবে রাবণের নাশ ॥ ছনুমানে আদেশিল কমললোচন । ছলেতে অনিল বাণ পবন-নন্দন ॥ সেই বাণ ল’য়ে রাম যুড়িয়া ধনুকে । ক্রাধভরে মারিলেন রাবণের বুকে ॥ হেনমতে পড়িল রাবণ মহাবল । পুষ্পবৃষ্টি কৈল তবে অমর সকল ॥ তবে সীতা আনিল রাক্ষস বিভীষণ । দেখিয়া কহেন ভারে কমললোচন ॥ দশমাস তোমায় রাখিল নিশাচরে । নাহি জানি ছিলে তুমি কেমন প্রকারে ॥ আমারে করিবে নিন্দ এই বড় ভয় । পরীক্ষা দেহ ত সীতা যদি মনে লয় ॥ kषड শুনিয়া সীতা অতি দুঃখমনে । অগ্নিকুণ্ড জ্বালাইতে কহেন লক্ষণে ॥ ণ করিল কুণ্ড প্রবেশিল সীতা । ৗতুক দেখিতে যত আসিল দেবতা ॥ পড়িলেন সীতা বিচ্ছেদ-অনলে । তোমারে দেখিতে এল যত পিতৃলোক । . ব্রহ্মা আদি সৰ্ব্বদেব একত্র মিলিল । করিয়া অনেক স্তুতি রামেরে কহিল ॥ আপনা না জানি কর মনুষ্য-আচার। তুমি নারায়ণ, সীতা লক্ষী অবতার ॥ হের দেখ দশরথ তোমার জনক ॥ দেবগণ বলে রাম মাগ ইষ্টবর । শুনিয়া কহেন রাম জীউক বানর ॥ পরে রাম সম্ভাষ করিয়া সৰ্ব্বজনে । যতেক বিবুধ গেল আপন ভুবনে ॥ বিভীষণে দিল রাম রাজ্য-অধিকার । বানরগণেরে কৈল বহু পুরস্কার ॥ সসৈন্যে গেলেন রাম অযোধ্যানগর । সিংহাসনে বসিলেন রাজ-রাজ্যেশ্বর ॥ সেবক উদ্ধার হেতু প্রভুর এ কৰ্ম্ম । হেনমতে দুই ভাগে লৈয়া দোহে জন্ম ॥ সেই জয় বিজয় জন্মিল পুনর্বার। শিশুপাল দস্তবক্র নাম দোহাকার ॥ পূৰ্ণব্রহ্ম যদুকুলে হ’য়ে অবতার। তব যজ্ঞে শিশুপালে করেন উদ্ধার ॥ তিন অবতারেতে শ্ৰীকৃষ্ণ ভগবান । ভক্তজনে করিলেন এই পরিত্রাণ ॥ রামের এতেক দুঃখ ধরিয়া শরীর । কি দুঃখ তোমার বনে রাজা যুধিষ্ঠির ॥ সবার দুঃখের কথা করিয়া শ্রবণ । সীতা-দুঃখে দ্রৌপদীর বিদরিল মন ॥ বিষাদ না কর রাজা দুঃখ হৈল অন্ত । অল্পদিনে নষ্ট হবে কৌরব দুরন্ত ॥ বিশেষ দ্ৰৌপদী এই সাবিত্ৰী সমান । যে জন উভয় কুল কৈল পরিত্রাণ ॥ নানা স্থখ ত্যজিলেক স্বামীর কারণে । তথাপি ন ত্যজিলেক স্বামী সত্যবানে । ক্ষত্ৰকুলে তার তুল্য নহে কোন জন । দ্রৌপদীরে দেখি যেন তাহার লক্ষণ ॥ সতী সাধবী পতিব্ৰতা লক্ষী অবতার। কালে উঠে অগ্নি সীতা ল’য়ে কোলে ॥ অক্ষেতে দাসত্ব মুক্ত কৈল সবাকার ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।