পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89& নরসিংহের ধ্যান—ওঁ মাণিক্যাদ্রিসমপ্রভং— [ মহাভারত । ত্রিভুবনে আছয়ে যতেক সিদ্ধঋষি । উৎপত্তি প্রলয় হয় যাহার আজ্ঞায় । সন্দীপন তুল্য কেহ না হয় তপস্বী ॥ গাছে আত্ম লাগাইতে তার কোন দায়। বহুকাল আশ্রয় করয়ে এই বন । গোবিন্দ বলেন এক আছে প্রতীকার। কদাচিত কোন স্থানে না যায় কখন ॥ বৃক্ষডালে আত্ম লাগে সবার নিস্তার ॥ তপস্যা করিতে যান প্রত্যুষ সময় । সমস্ত দিবস সেই অনশনে রয় ॥ আশচর্য্য দেখহ তার তপস্তার বলে । প্রতিদিন এক আম্র এই বৃক্ষে ফলে ॥ সমস্ত দিবস গেলে সন্ধ্যাকালে পাকে । আশ্রমে আসিয়া মুনি পরম কৌতুকে । বৃক্ষ হৈতে আত্ম পাড়ি করিবে ভক্ষণ । এইমতে বহুকাল স্থিতি সন্দীপন ॥ সেই আম্র দৌপদীকে পাড়ি দিল পার্থ। র্দোহার কৰ্ম্মের দোষে হুইল অনর্থ ॥ তপস্যা করিয়া মুনি আশ্রমেতে আসি । আম্র না পাইয়া করিবেক ভস্মরাশি ॥ চিন্থিয়া না দেখি কিছু ইহার উপায়। কহ পার্থ কি কৰ্ম্ম করিলে হায় হায় ॥ শুনিয়া কৃঞ্চর মুখে রাজা যুধিষ্ঠির । অশক্য জানিয়া মনে হলেন অস্থির ॥ করযোড়ে কছিলেন গোবিন্দের আগে । পাণ্ডবের ভালমন্দ তোমাতে সে লাগে ॥ পাণ্ডবেরে রক্ষা করে নাহি হেন জন । গুপ্তকথা নহে ইহা দৈবকীনন্দন ॥ রাখিবে রাখহ, নহে যাহ লয় মনে । তোমার আশ্রিত জনে মারে কোন জনে ॥ তোমা হৈ:ত যে কৰ্ম্ম ন হইবে সমতা । অন্যজন সে কৰ্ম্মেতে চিন্তা করে বৃথা ॥ তোমার আশ্রিত যে আমরা পঞ্চজন । কিমতে পাইব রক্ষা কহ নারায়ণ ॥ শুনিয়া ধৰ্ম্মের কথা কহেন শ্ৰীপতি । বৃক্ষেতে পাকিয় আম্র আছিল যেমতি ॥ সেইমত বৃক্ষ যদি লাগে পুনর্বার। । তবে সে হইবে রাজা সবার নিস্তার ॥ যুধিষ্ঠির বলে দেব এ তিন ভুবন । ত্ৰিবিধ সমস্ত লোক পালে যেইজন ৷ করিলে করিতে পার, নহে বড় কাজ । কপট ত্যজিয়৷ যদি কহ ধৰ্ম্মরাজ ॥ যুধিষ্ঠির বলে কৃষ্ণ যে আজ্ঞ তোমার। মম সাধ্য হয় যদি এই প্রতীকণর ॥ প্রতীকারে মৃত্যু ইচ্ছা করে কোন জন । আজ্ঞা কর পালন করিব প্রাপ্তপণ ॥ গোবিন্দ বলেন রাজা নহে বড় কাজ । সবার নিস্তার হয় শুন মহারাজ ॥ যজ্ঞসেনী আর যে তোমরা পঞ্চজনে । কোন কথা অমুক্ষণ জাগে কার মনে ॥ সবার মনের কথা কহ, মম আগে । কপট ত্যজিয়া কহ, তবে আত্ম লাগে ॥ এইমত সকলে করিল অঙ্গীকার । প্রথমে কছেন কথা ধর্মের কুমার ॥ শুন চিন্তামণি, চিন্তা করি অনুক্ষণ। পূৰ্ব্বমত সম্পদ হইলে নারায়ণ ॥ ব্রাহ্মণ-ভোজন যজ্ঞ করি অহৰ্নিশি । ইহা বিনা অন্য আমি নহি অভিলাষী ॥ অনুক্ষণ মম মনে এই মনোরথ । শুনিয়া অকাল আম্র উঠে কত পথ ॥ আশ্চৰ্য্য দেখিয়া সবে হরিষ অন্তর। তদন্তরে কহিতে লাগিল বৃকোদর ॥ ভীম বলে কৃষ্ণচন্দ্র শুন মম বাণী । এই চিন্তা করি আমি দিবস রজনী ॥ পদাঘাতে শত ভাই কৌরব সংহারি । দুষ্ট দুঃশাসনের নখেতে যুক চিরি ॥ উদর পূরিব আমি তাহার শোণিতে । দ্রৌপদীর কুন্তল বান্ধিব সেই হাতে ॥ মহামদে মত্ত হৈয়া দুষ্টবুদ্ধি কুরু । বস্ত্ৰ তুলি কৃষ্ণারে দেখালে নিজ উরু ॥ রণমধ্যে ভাঙ্গিয় পাড়িব গদা মারি । এই চিন্তা করি আমি দিবস শর্বর্বরী ॥