~ Rరిసి নবযৌবন সম্পমাং পঞ্চমুদ্র বিভূষিতং । [ মহাভারত । - ক্রোধে কায় কম্পে, যেন দুই ঝম্পে, জরীদন্ধ সহ ভীমের যুদ্ধ। - র্দোহাপর দুইজনে ॥ অপূৰ্ব্ব সংগ্রাম, না হয় বিরাম, ঘোর নাদ চট, দোহে বাহুস্ফোট, . হুইল মগধ ভীমে । মেঘের গর্জনে গর্জে । গজরাজ নক্রে, বেত্ৰাস্থর শক্রে, পদে ভূ বিদারে, চাপিয়া অধরে, যেমত রাবণ রামে ॥ কেশ বাস সারি, দুজন হইল আগে । কর্কশ বচন, করিছে ভৎসন, - দুই জন মত্ত রাগে ॥ আরে রে পাণ্ডব, কোথা রে খাণ্ডব, আইল মগধ দেশে । নিকট মরণ, এই সে কারণ, দৈবে বান্ধি আনি পাশে ॥ শুনিয়া তর্জন, করিয়া গৰ্জ্জন, বলিছে কুন্তীর স্থত । তোমারে শমন, করিল মনন, - আমি হয়ে এলাম দূত৷ ক্রোধে বৃকোদর, কম্পে কলেবর, যেমন কদলীপগত । মণ্ডলী করিয়া, ত্বরিত ফিরিয়া, দোহে করে করাঘাত ॥ বিপরীত নাদ, পড়িল প্রমাদ, শ্রবণে লাগিল তালা । , দন্ত কড়মড়, শ্বাসে বহে ঝড়, উড়ি যায় মেঘমালা ॥ করে করে ছাদি, পদে পদে বান্ধি, দুই জনে দোহে টানে । ক্ষণে দোহা ছাড়ি, শিরে শিরে তাড়ি, হৃদয়ে হৃদয় হানে ॥ উরুতে জঘনে, ছান্দিল সঘনে, ভূমে গড়াগড়ি যায়। শ্রমজল অঙ্গে, রণধূলি সঙ্গে, ঢাকিল দোহার গায় ॥ রুধিরে জর্জর, দুই কলেবর, অন্তর হইয়া ক্ষণে ॥ করে গদা ধরি । কাৰ্ত্তিক প্রথমে, তর্জনী তুলিয়া গর্জে ॥ সে.র্দোহে দোহারে, গদার প্রহারে, হৃদে ভুজ শির পিঠে । ঘোরতর রণ, দেখে সৰ্ব্বজন, গদাঘাতে অগ্নি উঠে । কেহ নহে উন, ধরি পুনঃ পুনঃ • হৃদয়ে হৃদয় চাপে । ভুজে ভুজে ভিড়ি, ভূমিতলে পড়ি, পুনঃ দোহে উঠে লাফে ॥ যেন দ্বি বারণ, বারুণী কারণ, যুঝয়ে পৰ্ব্বত মাঝে । যেন দ্বি বৃষভে, স্থরভার লোভে, গোষ্ঠের ভিতর যুবো ॥ প্রতিপদ ক্রমে, অহৰ্নিশি দোহে রণে । হৈল চতুর্দশী, কহে দাস কাশী, বিশ্রাম ন৷ বায়ু পানে ॥ জরীর,ী বধ । অহৰ্নিশি চতুর্দশ দিবস সংগ্রাম । নিশ্বাস ছাড়িতে দোহে না করে বিশ্রাম ॥ অনাহারে পীড়িত দোহার কলেবর। নিস্তেজ হইল বৃহদ্রথের কুঙর ॥ অচল হইল অঙ্গ হরিলেক জ্ঞান । তথাপি দণ্ডায়মান ছিল বিদ্যমান ॥ পবননন্দন ভীম মহাপরাক্রম । এত যুদ্ধে শরীরে তিলেক নাহি শ্রম ॥ ডাকিয় বলেন কৃষ্ণ কি দেখহ আর । এইকালে শক্র কেন না কর সংহার ॥ কৃষ্ণের বচনে ক্রোধ করি বৃকোদর । পায়ে ধরি ফেলিলেন ভূমির উপর ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।