পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সভাপর্ব ] স্মেরাস্তাং মণ্ডিতাঙ্গং কনকমণিগণৈনর্ণগরতুৈরনেকৈ অদ্ভুত দ্বাপর যুগে ছৈল যজ্ঞরাজ । ন হইল কভু যাহা অবনীর মাঝ ॥ মনু আদি করি রাজা না যায় লিখন । যরাতি নহুষ রঘু মন্ধিাত ভ্রমণ ॥ ইত্যাদি অনেক হৈল চন্দ্র সূৰ্য্যকুলে । রাজসূয় অশ্বমেধ করিল বহুলে ॥ উদেশেতে যেই দেবে করে আরাধন । কর ল’য়ে আইলেন সেই দেবগণ ॥ মহেশ পাৰ্ব্বতী দোহে করেন গমন । অলক্ষিতে রূপ নাহি দেখে কোনজন ॥ দক্ষিণে ত্রিশূল শিরে শোভে জটাজাল । চরণ পরশে দাড়ি বামকরে তাল ॥ এইরূপে সদাশিব সবাকারে রাখে । যতদূর যজ্ঞস্থল সব ঠাঞি থাকে ॥ যত যত জন এল যজ্ঞের সদনে । ছায়ারূপে অন্নদা তোষেন সৰ্ব্বজনে ৷ যার যেই বাঞ্ছা তারে আপনি যোগায় । যে দ্রব্য নাহার ইচ্ছা সেইক্ষণে পায় ॥ অশ্ব আরোহণে করে থর করবাল । উনকোটি দান ল’য়ে এল ক্ষেত্রপাল ॥ শতকোটি দৈত্য ল’য়ে এল দৈত্য ময় । ছয় সহোদর এল বিনতাতনয় ॥ দেব দৈত্য নাগ যক্ষ এল সৰ্ব্বজনে । প্রজাপতি আইলেন হংস আরোহণে ॥ অন্তরীক্ষে থাকিয় দেখেন চতুৰ্ম্মৰ্থ । প্রজাপতিগণ সহ যজ্ঞের কৌতুক ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ می. দ্রুপদ রাজার আগমন । দূতমুখে বার্তা পেয়ে পাঞ্চালাধিকারী। হাঁহত হইবে মম রাষ্ট্র পটেশ্বরী ॥ ধন্টহাম শিখণ্ডী হরিষ বড় চিত । যজ্ঞ অঙ্গ দ্রব্য সব সাজায় ত্বরিত ॥ অনেক আইল দাস দাসী সমুদয় । সহস্ৰেক দাসী নিল মনোরম কায় ॥ Հ8Տ যুগল সহস্র বাজী গতি বায়ু সম । বহু বহু দ্রব্য নিল বাছিয়া উত্তম ৷ সৰ্ব্ব রাজ্য দিব হেন বিচারিল মনে । সহ দারা চলে রাজা যজ্ঞের সদনে ॥ চতুরঙ্গ দলে আর প্রজা চারি জাতি । নানা বাদ্য শব্দেতে স্তম্ভিত বস্থমতী ॥ ইন্দ্রপ্রস্থে উপনীত হৈল পূৰ্ব্বদ্বারে । বেত্ৰ দিয়া ইন্দ্রসেন রাখিল তাহারে ॥ রহ রহ ক্ষণেক পাঞ্চল অধিকারী । রাজজ্ঞা পাইলে দ্বার ছাড়িবারে পারি ॥ এক্ষণে আসিবে সহদেব ধনুৰ্দ্ধর । তার হাতে বার্তা দিব রাজার গোচর ॥ ইন্দ্রসেন বচনে রহিল নৃপবর । হেনকালে আইলেন মাদ্রার কোঙর । দ্রুপদে দেখিয়া গেল রাজার গোচর । । ধৰ্ম্মরাজে জানাইল শিরে দিয়া কর । ৰহু রত্ন আনিল অনেক দাসী দাস । অশ্ব হস্তী উট থর নানাবর্ণ বাস ॥ আজ্ঞ পেলে আসিয়া করিবে দরশন। শুনিয়া দিলেন আজ্ঞা ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ হস্তী অশ্ব পশু আদি যত রত্নধন । দুৰ্য্যোধন ভাণ্ডারকে কর সমপণ ॥ দাস দাসী সমপই দ্রৌপদীর স্থানে। . পুত্র সহ হেথা ল’য়ে আইস রাজনে ॥ আজ্ঞ পেয়ে সহদেব করিল তেমনি । যেইমত কহিয়াছিলেন নৃপমণি ॥ সপুত্র ভিতরে গেল পাঞ্চলে ঈশ্বর । সঙ্গেতে চলিল জনকত নৃপবর ॥ ঘটোৎকচ মহাবীর হিড়িম্বা-তনয় । যজ্ঞের পাইয়া বাৰ্ত্ত সানন্দ হাদয় ॥ হিড়িম্বক বনেতে তাহtয় অধিকার । তিন লক্ষ রাক্ষস তাহার পরিবার , হয় হস্তী রথেতে করিয়া আরোহণ । যজ্ঞ হেতু নানা রত্ন করিয়া সাজন ॥ নানা বাদ্যে উপনীত যজ্ঞের সদন । অদ্ভুত রাক্ষসী মায়া করিয়া রচন ॥