তাপর্ব | ] শীতলার ধ্যান—শীতলাং গর্দভারূঢ়াং শু্যামবর্ণাং স্থলোচনাং । ミ○○ বিদ বলের ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির । দরশনে হয় নিষ্পাপ শরীর ॥ গলে যাহারে ইন্দ্র আদি কর দিল । দিয়া ফণীন্দ্র শরণ আসি নিল । র উত্তর কুরু, পূর্বে জলনিধি । scমেতে আমি, দক্ষিণেতে তোমা আদি ৷ স্থ দিল না আইল নাহি হেন জন । ক্ষাতে নয়নে তুমি দেখহ এখন ॥ স্বত গন্ধৰ্ব্ব যক্ষ রক্ষ কপি ফণী । ধ্য আইল যত বৈসয়ে অবনী ৷ টাশ সহস্ৰ দ্বিজ নিত্য গৃহে ভুঞ্জে । শ ত্রিশ সেবক সেবয়ে এক দ্বিজে ॥ রিতা সহস্র দশেক সদা সেবে । ছেন যতেক দ্বিজ কে অন্ত করিবে ॥ নে স্থানে রন্ধন হতেছে অবিরাম । ক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণ ভুঞ্জয়ে এক স্থান ॥ ক লক্ষ দ্বিজ যবে করেন ভোজন ।
- বার শঙ্খনাদ কররে তখন ॥ নমতে মুহুর্মুহু হয় শঙ্খধ্বনি । দিকে শস্থারবে কিছুই না শুনি ॥ ন পদ্ম অযুত মাতঙ্গ দীর্ঘদন্ত । ন পদ্মযুত রথ প্রত্যক্ষ অনন্ত ॥
নৃপতির পতি কে পারে গণিতে । জাতি যতেক নিবসে পৃথিবীতে ॥ দ্ধক রন্ধনে ভুঞ্জে অৰ্দ্ধেক আমান্ন। গর শকতি তাহা করিতে বর্ণন ॥ মজন অসন্তোষ নাহিক ইহাতে । ও খাও লও লও ধ্বনি চারিভিতে ॥ ম্যাদি যত হৈল পৃথিবীর পতি । কৰ্ম্ম করিবারে কাহার শকতি ॥ দুর পর্য্যন্ত নিবসে যত প্রাণী । ন জন নাহি যুধিষ্ঠিরে নাহি জানি ॥ রণে ইমতি হয় নিষ্পাপ দর্শনে । ণামে পরমাগতি আমার সমানে ॥ বিভীষণ বলে প্রভু কহিলা প্রমাণ । মম নিবেদন কিছু কর অবধান ॥ পূৰ্ব্বে পিতামহ মুখে শুনিয়াছি আমি । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড তুমি সবাকার স্বামী ॥ ব্ৰহ্ম ইন্দ্রপদ তব কটাক্ষেতে হয় । এ কৰ্ম্ম তাসাধ্য নহে তোমার সহায় ॥ মম পূর্ব বৃত্তান্ত জানহ গদাধর। তপস্যা করিয়া আমি মাগিলাম বর ॥ স্মরিব তোমার নাম সেবিব তোমারে । তব পদ বিনা শির না নোঙাব করে ॥ যথায় লইয়া যাবে তথায় যাইব । কদাচিৎ অন্যজনে মান্য না করিব ॥ এত বলি বিভীষণ চলিল সংহতি । পশ্চাদ্ভাগে বিভীষণ অগ্ৰেতে শ্ৰীপতি ॥ চট চট শব্দেতে চৌদিকে পড়ে ছাট । গোবিন্দেরে দেখিয়া ছাড়িয়া দিল বাট ॥ দ্বারের নিকটে উত্তরিল নারায়ণে : পশিতে সাত্যকি নিবারিল বিভীষণে ॥ গোবিন্দ বলেন দ্বারে না রাখ ইহারে । স্বদেশ যাবেন শীঘ্ৰ ভেটির রাজারে : সাতকি কহিল প্রভু জানহ আপনি । আজ্ঞ বিনা যাইতে না পারে বজ্রপাণি ॥ হের দেখ জগন্নাথ দ্বারেতে বারিত । যত রাজ-রাজ্যেশ্বর বৈসে বামভিত ॥ অগণিত সৈন্য যার ধনে নাহি অন্ত । রাজকর ল’য়ে আছে মাসেক পৰ্য্যন্ত । শ্রেণীমন্ত স্থঙ্কুমার নীলধ্বজ রাজা । একপদ কলিঙ্গ নৈষধ মহাতেজ } কিষ্কিন্ধ্যা ঈশ্বর দেখ সিন্ধুকূলবাসী । গোশূঙ্গ ভুষণ্ড আর রুক্সি দন্তকেশী ॥ এ সবার রঙ্গে রাজা শত পঞ্চ শত । কোটি কোটি গজবাজী কোটি কোট রথ । নানা রত্ন ধন নিজ পরিবার লৈয়া । দ্বারেতে আছয়ে দেখ বারিত হইয়া ॥ ত্ৰিশ সহস্ৰ নৃপতি আছে এই দ্বারে । জন কত রাজামাত্র গিয়াছে ভিতরে ॥