পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミQや এবং সঞ্চিস্তয়েদেবীং সৰ্ব্বরোগবিনাশিনীং । [ মহাভারত। পাতালে রহিল গিয়া পার্থ ধনুৰ্দ্ধর । দ্বন্দ্ব করিবারে তুমি সবে একেশ্বর ॥ কৃষ্ণের বচন শুনি বলে বৃকোদর । তব যোগ্য কথা নহে দেব দামোদর ॥ এক লক্ষ রাজা যে বলিলে নারায়ণ । প্রত্যক্ষেতে আমি দেখিলাম সৰ্ব্বজন ॥ অজাযুথ লাগে যেন ব্যাস্ত্রের নয়নে। সেইমত রাজগণ লাগে মম মনে ॥ দ্বন্দ্ব করিবারে সবে হয় একদিকে । কাহার’ নাহিক দায় রৈল মম ভাগে ॥ সসৈন্যে আগত এক লক্ষ নৃপবর । মুহূর্তেকে দলিবারে পারি একেশ্বর ॥ মনুষ্য কি গণি যদি তিনলোক হয় । একেশ্বর সবাকারে করি পরাজয় ॥ যার জয় ইচ্ছে দেব তোমা হেন জনে । তারে পরাজয় করে নাহি ত্রিভুবনে ॥ গোবিন্দ বলেন সব সম্ভবে তোমারে । তোম সহ বিরোধ করিতে কেবা পারে । ইহা সবাকারে ছাড় আমার বচনে । এবে দ্বন্দ্ব করহ যে করে দুষ্টগণে ॥ এত বলি মুক্ত করি দেন চারিজনে । তথা হৈতে লইয়া গেলেন বিভীষণে ॥ যাইতে যাইতে কৃষ্ণ কন বিভীষণে । বহু রাজা দেখিয়াছ শুনেছ শ্রবণে ॥ এমন সম্পদ কি হয়েছে কোন জনে । আমি হেন জনে রাখে যার দ্বারীগণে ॥ তিন ভুবনের লোক একত্র মিলিল । ইন্দ্র আদি করিয়া যাহারে কর দিল ॥ বিভীষণ বলে দেব এ নহে অদ্ভুত । ইহা হৈতে রাজসূয় হয়েছে বহুত । হরিশচন্দ্র মহারাজ এ যজ্ঞ করিল। সপ্তম দ্বীপের লোক একত্রে হইল ॥ আর আর যত রাজা পৃথিবীতে ছিল। ইন্দ্র আদি দেবে জিনি নানা যজ্ঞ কৈল ॥ একমাত্র পাগুবের বাখানি বিশেষ । আপনি এতেক স্নেহ কর হৃষীকেশ ॥ ব্ৰহ্মা আদি ধ্যায় প্রভু তোমা দেখিবারে। এ বড় আশ্চৰ্য্য তুমি ভ্রম দ্বারে দ্বারে ॥ তোমার চরিত্র প্রভু কি বলিতে পারি। নহুষে করিলা ইন্দ্র বলি দূর করি ॥ ব্ৰহ্মকীট পদ প্ৰভু তোমার সমান। যারে যাহ কর তাহ কে করিবে আন ॥ ইন্দ্র আদি পদ প্রভু না করি গণন । তব পদে ভক্তি যার সেই মহাজন ॥ ভক্তিতে পাণ্ডব বশ করিয়াছে তোম । র্তেই দ্বারে দ্বারী রাখে তারে কর ক্ষমা ৷ কি কারণে জগন্নাথ এত পর্য্যটন । দ্বারে দ্বারে ভ্রম প্ৰভু কোন প্রয়োজন ॥ দৈবেতে এ দ্বারীগণ না ছাড়ে আমারে । মম প্রয়োজন কিছু নাহিক ভিতরে ॥ মানস হইল পূর্ণ সিদ্ধ হৈল কাৰ্য্য । আজ্ঞা কৈলে মহাপ্রভু যাই নিজ রাজ্য । তার বাক্য শুনিয়া বলেন চক্ৰধর । আর কত তোমারে কহিব লঙ্কেশ্বর } সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম জান তুমি বিচারে পণ্ডিত । তুমি হেন কথা কহ না হয় উচিত ॥ নিমন্ত্রণে এলে যার না যাবে ভেটিয়া । রাজা জিজ্ঞাসিলে আমি কি বলিব গিয়! : ! হেন অপকীৰ্ত্তি মম চাহ কি কারণ । ক্ষণেকে করিয়া যাও রাজ সন্দশন ॥ এইরূপে দোহে হয় কথোপকথন । উত্তর দ্বারেতে উত্তরিলা দুইজন ॥ উত্তর ভূয়ারে দ্বারী কামের নন্দন । গোবিন্দে দেখিয়া আসি করিল বন্দন ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ বলেন যাই রাজার গোচর । ধৰ্ম্মরাজে ভেটাইব রাক্ষস ঈশ্বর ॥ অনিরুদ্ধ বলে দেব রহ মুহূৰ্ত্তেক । এইক্ষণে মান্দ্রীর তনয় আসিবেক ॥ র্তার হাতে জানাইব রাজার গোচর । আজ্ঞা পেলে ল’য়ে যাও রাক্ষস ঈশ্বর ॥ গোবিন্দ বলেন তুমি না জান ইহারে । ক্ষণেক উচিত নহে রাখিতে দুয়ারে ॥