সভাপর্ব। ] প্ৰণাম মন্ত্র—নমামি শীতলাং দেবীং রাসভস্থাং দিগম্বরীং । ২৫৭ বণের সহোদর লঙ্ক অধিপতি । . ক্ষসের রাজা যে ব্ৰহ্মার হয় নাতি ॥ nভ শুনি হাসি বলে কামের নন্দন । কন হেন কহ দেব জানিয়া কারণ ॥ অবধানে দেখ দেব যতেক নৃপতি । অনেক দিবস হৈল দ্বারে কৈল স্থিতি ॥ প্রাগ দেশ অধিপতি রাজা ভগদত্ত । নব কোটি রথ সঙ্গে কোটি গজ মত্ত ॥ নানা রত্ন কর দেখ সংহতি করিয়া । বহুদিন দ্বারে আছে বারিত হইয় ॥ বাহুলীক বৃহন্ত আর স্বদেব কুন্তল । সিংহরাজ স্বশৰ্ম্ম সহিত বৃহদ্বল ॥ কামদেব কামেশ্বর রাজা কামসিন্ধু । ত্ৰিগত্ত দ্বিরদশির মহাজলসিন্ধু ॥ এ সবার সঙ্গে রাজা শত পঞ্চশত । ত্রিশকোটি মত্ত হস্তী ত্রিশকোটি রথ ॥ "যে দেশে নাহিক শক্তি বিহঙ্গ যাইতে । সে সকল রাজা দেব দেখহ সাক্ষাতে ॥ নানারভু কর ল’য়ে দ্বারে বসি আছে । বৎসর অধিক হৈল কেহ নাহি পুছে ॥ পুত্র পৌত্র ব্রহ্মার এয়েছে কতজন । প্রপৌত্র আইল যত কে করে গণন ॥ ইন্দ্র চন্দ্র অনল কৃতান্ত দিনকর । ব্ৰহ্মঋষি দেবঋষি আইল বিস্তর ॥ চিত্ররথ গন্ধৰ্ব্ব তুম্বুরু হাহা হুহু । বিশ্বাবস্থ আদি সহ বিদ্যাধর বহু ॥ যক্ষরজি সহ এল কত লব নাম । আসিয়াছে আসিতেছে নাহিক বিশ্রাম ॥ জুই একদিন সবে রছি হেথা গেছে । জি আজ্ঞা মাত্র তরে দুই এক আছে ॥ বিনা আজ্ঞা ছাড়ি দিলে দুঃখ পায় পাছে। রাজদ্রোহী কৰ্ম্মেতে অনেক বিঘ্ন আছে ॥ দোষ গুণ বুঝিতে ভীমের অধিকার । ভীম ক্রোধ করিলে যে নাহিক নিস্তার ॥ বুধিয়া করহ দেব যে হয় বিচার । কি শক্তি আমার আজ্ঞ বিনা ছাড়ি দ্বার ॥ _మిలి=లి8.4 | এত শুনি কৃষ্ণ তারে নিন্দিয়া অপার । ক্রোধ করি চলিলেন পশ্চিম দুয়ার ॥ গোবিন্দ বলেন রাজা দেখ বিদ্যমান । পৌত্র হয়ে আমার না করিল সম্মান ॥ নাহিক উহার দোষ কৰ্ম্ম এইরূপে । ইন্দ্র যম ভয় করে ভীমের প্রতাপে ॥ অল্প দোষে দেয় দণ্ড ক্রোধ নিরন্তর। শ্ৰুতমাত্র দেয় শাস্তি নাহি পরাপর ॥ চলহ পশ্চিম দ্বারে আছে দুৰ্য্যোধন। আমা দেখি কদাচ না করিবে বারণ ॥ আর কহি বিভীষণ না হও বিস্মৃতি । যখন দেখিবে তুমি ধৰ্ম্ম নরপতি ॥ ভূমিষ্ঠ হইয়া তুমি প্রণাম করিবে । নৃপতির অজ্ঞা হ’লে তখনি উঠিবে। বিভীষণ কহে প্রভু নহে কদাচন । নিবেদন করিয়াছি মম বিবরণ ॥ পূৰ্ব্ব হৈতে তব পদে বিক্রীত শরীর। তব পদ বিন! অন্যে ন নোঙাব শির ॥ এত শুনি গোবিন্দ ভাবেন মনে মন । করিয়াছি কুকৰ্ম্ম আনিয়া বিভূষণ ॥ বিভীষণ যদি দণ্ডবৎ না করয় । সভাতে পাইবে লজ্জা ধৰ্ম্মের তনয় ॥ এত চিন্তি জগন্নাথ করেন বিচার । ব্ৰহ্মা আদি তপ করে এর কোন ছার ॥ যজ্ঞারম্ভ কৈল রাজা আমার বচনে । আমি যজ্ঞেশ্বর বলি জানে সৰ্ব্বজনে ॥ এত চিন্তি জগন্নাথ সহ বিভীষণ । পশ্চিম দ্বারেতে যান যথা দুর্য্যোধন ॥ দুৰ্য্যোধন নৃপতির দুই অধিকার । দ্রব্যের ভাণ্ডারা আর রক্ষা করে দ্বার ॥ লক্ষ লক্ষ ভাণ্ডার সমান গিরিবর। কনক রজত মুক্ত প্রবাল পাথর ॥ অমূল্য কীটজ চাঁর লোমজ বসন। কস্তুরী দশন হস্তী শৃঙ্গী অগণন ॥ চতুর্দিক হইতে আসিছে ঘনে ঘন। আষাঢ় শ্রাবণে যেন হয় ৰরিষণ ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।