চতুভুজাং মহাদেবীং নাগযজ্ঞোপবীতিনী ॥ [ मशडांब्रख्। ہوا‘‘ج হের অবধান কর কুন্তীর কোঙর । এত বলি জগন্নাথ পড়িয়া ধরণী । ছয় সহোদর দেখ খগের ঈশ্বর ॥ করপুটে কহিতে লাগিল স্তুতিবাণী ॥ ভীষ্ম দ্রোণ দেখ ধৃতরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠতাত । উগ্ৰসেন যজ্ঞসেন শল্য মন্দ্রনাথ ॥ বসুদেব বাসুদেব আদি যত জন । তব পদে প্রণাম করিছে সৰ্ব্বজন ॥ পৃথিবীতে নাহি রাজ তোমার তুলনা । কে কহিতে পারে তব গুণের বর্ণন ॥ ব্ৰহ্মাণ্ড পুরিল রাজা তব কীৰ্ত্তি যশ । তব গুণে মহারাজ হইলাম বশ ॥ কৃষ্ণের ধচন শুনি রাজা যুধিষ্ঠির । ভয়েতে আকুল হয় কম্পিত শরীর ॥ নয়ন যুগলে পড়ে বারি ধারা নীর । মুহুর্মুহু অচেতন হয় কুরুবীর ॥ সধৈৰ্য্যে বলেন রাজা গদগদ বচন । অকিঞ্চন জনে প্রভু এত কি কারণ ॥ তোমার চরণে মম অসংখ্য প্রণাম । অবধানে নিবেদন শুন ঘনশ্যাম ॥ তড়িত জড়িত পীত কোষবাস সাজে । শ্ৰীবৎস কৌস্তুভ বিভূষিত অঙ্গমাঝে ॥ শ্রবণে পরষে চক্ষু পুণ্ডরীকপাত । বিষ্ণু বিশ্বরূপ প্রভু সৰ্ব্বলোকনাথ ॥ ংসারে আছয়ে যত পুণ্য-আত্মা জন । সতত বন্দয়ে প্রভু তোমার চরণ ॥ সে সবার তব পদ বন্দিবারে অাশা ৷ আকাঙ্ক্ষায় মাগিবারে না করি ভরসা ॥ যদি বর দিব৷ এই করি নিবেদন । অনুক্ষণ বন্দি যেন তোমুর চরণ ॥ গোবিন্দ বলেন রাজা সব ক্ষম তুমি । ভক্তিমূলে তোমাতে বিক্রীত আছি আমি ॥ আমার নিয়মে বর্তে অামাতে ভকত । বলি যে তাহাতে আমি করি এইমত ॥ ব্ৰহ্মা আদি দেবরাজ সম নহে তার । প্রত্যক্ষ দেখহ যত চরণে তোমার ! তব তুল্য প্রিয় মম নাtহক ভুবনে । আমিও প্রণাম করি ভক্তের চরণে ॥ মোহিলেন মায়ায় পুনশ্চ নারায়ণ । যতেক দেখিল সবে হৈল পাসরণ । মাতুল-নন্দন হেন দেখিয়া অচ্যুতে। সহদেবে কৈল আজ্ঞা বলহ উঠিতে ॥ সহদেব ডাকি বলে উঠ নায়ায়ণ । আজ্ঞা হৈল, নিবেদন কর প্রয়োজন ॥ আজ্ঞা পেয়ে গোবিন্দ উঠেন ততক্ষণ । বুকে হাত দিয়া কৃষ্ণ কহেন বচন ॥ বহুদিন আইল যে দেব খগনাথ । আজ্ঞ হৈল যায় সবে ল’য়ে যজ্ঞভাগ ॥ ভারতমণ্ডলে বৈসে যত নরপতি । বহুদিন হৈল সবে দ্বারে করে স্থিতি ॥ ইতিমধ্যে অবিলম্বে যা’ক নিজদেশ । বিদায় করহ শীঘ্ৰ নাগরাজ শেষ ॥ যজ্ঞস্থানে নাগরাজ আছে সাত দিন । সপ্তদিন হৈল সখা অন্নজলহীন ॥ বুঝিয়া স্থঝিয়া নাগ কৈল অবিচার । সখার উপরে দিল ধরণীর ভার ॥ এতেক কহেন যদি দেব জগৎপতি । লজ্জায় মলিন মুখ শেষ অধিপতি ॥ অনুমতি করিলেন ধৰ্ম্মের নন্দন । যার যেই ভাগ ল’য়ে করিল গমন ॥ পুণ্যকথা ভারতের শুনিলে পবিত্র । রাজসূয় যজ্ঞকথা অদ্ভুত-চরিত্র ॥
- ভুবনে বিখ্যাত সে ব্যাস মহামুনি ।
বিচিত্র তাহার কীৰ্ত্তি যজ্ঞের কাহিনী ॥ কাশীরাম দাস কহে রচিয়া পয়ার । যাহার শ্রবণে হয় পাপের সংহার ॥ সভায় রাজগণের প্রবেশ । ধৰ্ম্মরাজ আজ্ঞ। তবে কৈল ততক্ষণ । চারি দ্বারে আছয়ে যতেক রাজগণ ॥ সভামধ্যে সবাকারে আইস লইয়া । যত রত্ন ভাণ্ডারেতে সব সমপিয়া ॥