পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬8 নারদাদ্যৈমুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীং | [ মহাভারত। কাশীরাজ অম্বা যেই শাস্বে ব’রেছিল । আরে ভীষ্ম জ্ঞান হরাইলে বৃদ্ধকালে T এই দুষ্ট গিয়া তারে হরিয়া আনিল ॥ যে গোপজাতির নিন্দ করয়ে সকলে ॥ বার্তা জানি পুনঃ তারে করিল বর্জন । বৃদ্ধ হয়ে তারে তুই করিস স্তবন। শাস্বরাজ শুনি তারে ন কৈল গ্রহণ ॥ তবে কন্যা প্রবেশিল অনল ভিতর । স্ত্রী বধিয়া মহাপাপী খ্যাত চরাচর ॥ আরে ভীষ্ম তোর ভাই স্বধৰ্ম্মেতে ছিল । স্থপথে বিচিত্ৰবীৰ্য্য জন্ম গোঙাইল ॥ সে মরিল নিজ ভাৰ্য্যা দিয়া অন্যজনে । তুমি দুরাচার জন্মাইলে পুত্ৰগণে ॥ ব্ৰহ্মচারী আপনারে বলাইস লোকে । হেন ব্রহ্মচৰ্য্য করে বহু নপুংসকে ॥ কোনরূপে তব শ্রেয় নাহি দেখি আমি । দান যজ্ঞ ব্রত ব্যর্থ কর অধোগামী ॥ বেদপাঠ ধ্যান ব্রত যোগ যাগ দান । ইহা সবে নাহি হয় অপত্য সমান ॥ সৰ্ব্বদোষ কুলাঙ্গার আছে তোর স্থান । অনপত্য বৃদ্ধ আর কুপথ বিধান ॥ পূৰ্ব্বে শুনিয়াছি যে হংসের বিবরণ। তাহার সদৃশ ভীষ্ম তোর আচরণ ॥ ংসযুথ মধ্যে যেন বৃদ্ধ হংস থাকে । ধৰ্ম্ম কর ধৰ্ম্মাচার বলে সর্ববলোকে ॥ অহৰ্নিশি বুধগণে ধৰ্ম্ম কথা কয় । ধাৰ্ম্মিক জানিয়া সবে তার বাক্য লয় ॥ ংসগণ যায় যদি আহার কারণে । সবে কিছু কিছু আনে তাহার ভোজনে ॥ আপন আপন ডিম্ব রাখিয়া তথায় । বিশ্বাস করিয়া সবে চরিয়া বেড়ায় ॥ ক্রমে ক্রমে ডিম্ব সব করিল ভক্ষণ । দেখি শোকাকুল হৈল সব হংসগণ ॥ এক হংস বুদ্ধিমন্ত তাহাতে আছিল । বৃদ্ধ হংস ডিম্ব খায় প্রকারে জানিল ॥ ক্রোধে সব হংস তারে করিল নিধন। সেই হংস মত ভীষ্ম তব আচরণ ॥ ৰূদ্ধ হংসে হংস যেন করিল নিধন । সেইরূপ তোমারে মারিবে রাজগণ ॥ ধিক ক্ষত্র ভীষ্ম নাম ধর অকারণ । জরাসন্ধ রাজা ছিল রাজচক্রবর্তী। কদাচিত না যুঝিল ইহার সংহতি ॥ গোপজাতি বলি ঘৃণা কৈল নরবর। তার ভয়ে রহেছিল সমুদ্র-ভিতর ॥ কপটে মারিল জরাসন্ধ নৃপবরে। দ্ধিজরুপে গেল দুষ্ট পুরীর ভিতরে ॥ ইহার জাতির আমি না পাই নির্ণয় । কতু ক্ষত্র কভু গোপ কভু দ্বিজ হয় ॥ কহ ভীষ্ম এই যদি হয় জগৎপতি। তবে কেন ক্ষণে ক্ষণে হয় নানা জাতি ॥ এই সে আশ্চর্য্য বোধ হইতেছে মনে । ধৰ্ম্ম অসম্ভব করে তোমার বচনে ॥ দুৰ্দৈব হইবে যার তুমি বুদ্ধিদাতা । তোর বুদ্ধিদোষে রাজসূয় হৈল বৃথা ॥ শিশুপাল ভীষ্মে কটু বলিল অপার। শুনি ক্রোধে জ্বলিলেন পবন-কুমার ॥ দুই চক্ষু রক্তবর্ণ দন্ত কটমটি । । সৰ্ব্বাঙ্গ ঘামিল ক্রোধে ললাটে ভ্রুকুটি ॥ রক্তমুখ বিকৃতি অধরে দন্ত চাপ । সিংহাসন হইতে উঠিল দিয়া লাফ ॥ যুগান্তের যম যেন সংহারিতে স্থষ্টি । শিশুপাল উপরে ধাইল ক্ৰোধদ্বষ্টি ॥ বহু তর মিষ্ট ভাষে ভীমে নিবারিল । সমুদ্র তরঙ্গ যেন কুলে লুকাইল ॥ না পারিল ভীষ্মহস্ত করিতে মোচন । জলে নিবারিল যেন দীপ্ত হুতাশন ॥ দুষ্ট শিশুপাল তবে অল্প জ্ঞান করি । ক্ষুদ্র মৃগ দেখি যেন হাসয়ে কেশরী ॥ ডাকি বলে আরে রে রহিলি কি কারণ । হস্ত ছাড়’ ভীষ্ম কেন কর নিবারণ ॥ কৌতুক দেখহ যত নৃপতি সকলে । পতঙ্গের মত যেন দহিবে অনলে ॥