শুনিয়া শিবের বাক্য গান্ধারী উল্লাস । মাতারে চাহিয়া বলে করি উপহাস ॥ নিশ্চয় তোমার এবে হৈল মহেশ্বর । পুত্রস্থানে চাম্প মাগি আনহ সত্বর ॥ এত বলি নিজ গৃহে করিল গমন । ডাকাইয়া আনাইল শত পুত্ৰগণ ॥ কহিল কুন্তীর সহ দ্বন্দ্ব যেমনেতে । হেম চাপ দেহ শিবে পূজিব প্রভাতে ॥ সাক্ষাৎ হইয়। কছিলেন ত্রিপুরারী । যে পূজিবে তার পুত্র রাজ্য-অধিকারী ॥ শুনি দুৰ্য্যোধন আজ্ঞা কৈল সেইক্ষণ । আনাইল সহস্ৰ সহস্ৰ কৰ্ম্মিগণ ॥ মণিমুক্ত দিল চন্দ্র জিনিয়া কিরণ । ভাণ্ডার হইতে দিল স্বর্ণ শত মন ॥ আমার জননী শুনি হরের বচন । কুঃখচিত্তে চলিলেন না চলে চরণ ॥ হেম চাপ সহস্ৰ চাহিল ত্রিলোচন । গান্ধারীর আজ্ঞায় গড়িছে কমিগণ ॥ কি করিবে তোমা সবে কি হবে কহিলে । এই হেতু দহে তনু স্কুঃখের অনলে ॥ আমি কহিলাম মাত এই কোন কথ। । যত পুষ্প চাহ আমি তত দিব মাত ॥ মাতা বলে কেন তুমি করহ ভণ্ডন । ভূমি কোথা হৈতে দিবে কোথা পাবে ধন ॥ । আমি কহিলাম মাত ত্যজ চিন্তা মন । কোন বড় কথা হেতু করিব ভণ্ডন ॥ রন্ধন করহ মাতা অন্ন জল থাও । আনি দিব পুষ্প আমি তুমি যত চাও ॥ শুনিয়া হইল হৃষ্ট করিল রন্ধন । , সবাকারে অন্ন দিয়া করিল ভোজন ॥ ধনুক লইয়া আমি গুণ চড়াইয়া । সন্ধানি যুগল অস্ত্র উত্তর চাহিয়া ॥ দ্ৰোণাচর্য্যে গুরুপদে নমস্কার করি । মনোভেদী বায়ব্য যুগল অস্ত্র মারি ॥ কাটিয়া কুবের পুরী পুষ্পের কারণ । ৰায় অস্ত্রে উড়াইয়া করি বরিষণ ॥ হগন্ধি কনক পদ্ম চম্পক মিশ্রিত। ཕ────ཁབ་བམ། ས་ ༤ শিবের উপরে বৃষ্টি হৈল অপ্রমিত ॥ ! জননীকে বলিলাম যাহ স্নান করি। পুষ্প আনিলাম গিয়া পৃজ ত্রিপুরারী ॥ কৌতুকে জননী গিয়া মহেশে পূজিল । তুষ্ট হয়ে সদানন্দ মায়ে বর দিল ॥ তব পুত্ৰগণ হবে কুরুকূলে রাজা । আজি হৈতে এক তুমি কর মম পূজা ৷ আমারে সন্তুষ্ট হ’য়ে বলেন বচন । ধনপতি জিনি তুমি করিলে পূজন ॥ আজি হৈতে নাম তব হৈল ধনঞ্জয় । ধনঞ্জয় নামের এ জানিহ আশয় ॥ উত্তর কহিল কহ বীর চূড়ামণি । কি করিল শুনি তবে স্বলনন্দিনী ॥ অর্জুন বলেন প্রাতে উঠিয়া গান্ধারা । সহস্ৰ কনক পুষ্প হেমপাত্রে করি ॥ নানা পুষ্প চন্দন অনেক উপহার । বহু নারীগণ সহ পুজিতে শঙ্কর ॥ শিবের আলয় দেখে পুষ্পেতে পূর্ণিত । যাইতে নাহিক পথ কে করে গণিত । দেখিয়া গান্ধারী দেবা বিষণ্ণবদন । কুম্ভীরে দেখিয়া বলে কহ বিবরণ ॥ মাতা বলে এই পুষ্পে পূজিলাম আনি । বর দিয়া স্বস্থানে গেলেন উমাস্বামী ॥ শুনিয়া গান্ধারী ক্রোধে পুষ্পজল ফেলে । গৃছে গিয়া নিজ পুত্ৰগণে মন্দ বলে ॥ বিজয় বলিয়া নাম হুইল আমারে । বিজয় করি যে আমি যাই যেথাকারে ॥ শ্বেত চারি তুরঙ্গ আমার রথ বহে । র্তেই শ্বেতবাহন বলিয়া লোকে কহে ॥ সূৰ্য্য অগ্নি সমান কিরাট মম মাথে । কিরাট দিলেন নাম তাই স্বরানাথে ॥ বীভৎস্ন বলিয়া ডাকিলেন নারায়ণ । দিলেন বীভৎস্ন নাম করি নিরূপণ ॥ নীলোৎপল কৃষ্ণকাস্তি দেখি মম কায় । কৃষ্ণ নাম রাখিলেন জনক আমায় ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।