পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" 8ԳԵ- নাগং ঘণ্টাং কপালং বয়সরসিরুহৈর্বিবভ্রতং ভীমদংষ্ট্রং। [ মহাভারত। অশ্বথামধিক আমি তোমার পালিত । কোন দোষে তব পায় নহি যে দূষিত ॥ পাশাকালে কথা তুমি জানহ আপনে । কপটে যতেক ছুঃখ দিল দুষ্টগণে ॥ দ্বাদশ বৎসর বনে বঞ্চিলাম ক্লেশে । বৎসরেক অজ্ঞাত বঞ্চিমু ক্লীববেশে ॥ এ কষ্টের হেতু যেই বৈরী দুষ্টগণ । এতদিনে পাইলাম তার দরশন ॥ যথোচিত ফল আজি দিব আমি তারে । ঃখ নিবেদন এই করিমু তোমারে ॥ ইহাতে আপনি প্রভু না করিব ক্রোধ । তুমি ক্রোধ করিলে না করি উপরোধ ॥ আজ্ঞা কর এক-ভতে লহ নিজ রথ । দুৰ্য্যোধনে ভেটিব ছাড়িয়া দেহ পথ ॥ হাসিয়া বলিল দ্রোণ এ কোন উচিত । কৌরবের সৈন্যগণ আমার রক্ষিত n মম অগ্ৰে কৌরবেরে করিব। ঘাতন । sদাণ্ডাইয়া কিমতে করিব দরশন ॥ পার্থ বলে পাছে দোষ না দিও আমায় । তোমার শিক্ষিত বিদ্যা দেখাব তোমায় ॥ এত শুনি গুরু ক্রোধে হ’য়ে হুতাশন । আকর্ণ পুরিয়া এড়ে দিব্য অস্ত্ৰগণ ॥ তিনশত অস্ত্র মারে অৰ্জ্জুন উপর । কাটিয়া অৰ্জ্জুন বীর ফেলিলেন শর ॥ অন্ধকার করি সবে গগনমণ্ডলে । শরতের কালে যেন হংসপুংক্তি চলে । দিব্য অস্ত্রে ধনঞ্জয় পূরিল সন্ধান । কাটিয়া ফেলেন যত আচার্য্যের বাণ ॥ পুনঃ দিব্য অস্ত্র গুরু মস্ত্রে অভিষেকি । সম্বর সম্বর ব’লে অৰ্জ্জুনেরে ডাকি ॥ আকাশে উঠিল অস্ত্র যেন দি বাকর । মুখ হৈতে বৃষ্টি সম মুষল মুদগর ॥ পরশু তোমর জঠি নাহি লেখা জোখা । . চতুদিকে বেড়ি যেন জ্বলন্ত উলকা ॥ অস্ত্র এড়ি দ্ৰোণাচাৰ্য্য ব্যথিত হৃদয় । ডাকিয়া বলিল সম্বরহ ধনঞ্জয় ॥ - দেখিয়া অর্জন বাণ এড়েন গন্ধৰ্ব্ব । নিমিষেতে নিবারেণ গুরু অস্ত্ৰ সৰ্ব্ব ॥ দোহে দিব্য শিক্ষা বাণ না করে বিশ্রাম। গুরু শিষ্য বহুমতে হইল সংগ্রাম ॥ ক্রোধে গুরু পঞ্চবাণ মারে কপিধ্বজে । বাণাঘাতে কপিধ্বজ অধিক গরজে ॥ পুনঃ দিব্য সন্ধান পূরিল গুরু দ্ৰোণ । গগন ছাইয়া কৈল অস্ত্র বরিষণ ॥ না দেখি বানরধ্বজ সারথি অৰ্জ্জুন । মেঘে যেন আচ্ছাদিল না দেখি অরুণ । দ্রোণের বিক্রমে উল্লাসিত দুৰ্য্যোধন । নিমিষেতে অস্ত্র তার কাটেন অৰ্জ্জুন | তবে পার্থ দিব্য অস্ত্র করিয়া সন্ধান । আচার্য্যেরে মারিলেক সহস্ৰেক বাণ ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ বাণ আচার্য্য মারিল । দুই অস্ত্রে গগনেতে মহাশবদ হইল ॥ ঢাকিল সূর্যের তেজ ছাইল আকাশ । অন্ধকার হৈল সূৰ্য্য রুধিল বাতাস ॥ অস্ত্র অস্ত্র ঘর্ষণে হইল উল্কাবৃষ্টি । অমর ভুজঙ্গ নর চাহে একদৃষ্টি ॥ আকাশে প্রশংসা করে যত দেবগণ । সাধু দ্রোণাচাৰ্য্য ভরদ্বীজের নন্দন ॥ যাহার শিক্ষিত বিদ্যা অদ্ভুত দর্শন । যার শিষ্য ধনঞ্জয় জয়ী ত্রিভুবন ॥ তবে পার্থ ইন্দ্র অস্ত্র যোড়েন গাণ্ডীবে । সহস্ৰ সহস্ৰ বাণ যাহাঁতে প্রসবে । মস্ত্রে অভিষেকি বাণ মারে সেইক্ষণ । চক্ষুর নিমিষে সব ছাইল গগন ॥ যেন মহাদাবাগ্নিতে বেড়ল পৰ্ব্বত । অস্ত্র অগ্নি আচচ্ছাদিল নাহি দেখি পথ } সাধু ধনঞ্জয় বলি ডাকে দেবগণ । হগন্ধি কুসুম পুষ্প করে বরিষণ ॥ বাপের সঙ্কট দেখি অশ্বথাম বেগে । জনকে করিয়া পাছে হৈল পার্থ আগে } যেই বেগে হৈল আগে দ্রোণের তনয় । ধ্বজ কাটি ফেলিলেন বীর ধনঞ্জয় ॥