পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯৪ কৃষ্ণকুমারের ধ্যান—ওঁ কৃষ্ণবর্ণং মহাকায়ঃ খড়গং খট্রাঙ্গধারিণং [ মহাভারত । রাটের পুর সব চৌদিকে বেড়িয় ॥ গ্নি দিয়া পাণ্ডবেরে মার পোড়াইঃা । ইমত বিধান করছ নরবর। লম্ব উচিত নহে করহ সত্বর ॥ লিলেন রাজ৷ ইহা নাহি লয় মনে । iার শক্তি মারিবে পাণ্ডব পঞ্চজনে ॥ তেক উপায় আমি করিলাম পূৰ্ব্ব । কপট পাশাতে তার হরিলাম সৰ্ব্ব ॥ {রে দিই বনবাস দ্বাদশ বৎসর । ৎসরেক অজ্ঞাত বসতি তার পর ॥ Iভামাঝে পাণ্ডব করিল যেই পণ । চাহাতে হৈল মুক্ত দৈব-নিবন্ধন ॥ মামার উপায় যত হইল বিফল । এখন সহায় তার হৈল মহাবল ॥ য হোক সে হোক যুদ্ধ করিলাম পণ । বন যুদ্ধে রাজ্য নাহি দিব কদাচন ॥ মামারে জিনিয়া পাণ্ডুপুত্র রাজ্য লয় । চ্যামি বা পাণ্ডবে জিনি মম রাজ্য হয় ॥ প্রতিজ্ঞা আমার এই না হইবে আন । ইহার উপায় সখা করহ বিধান ॥ মা মারিব যে পৰ্য্যন্ত পাণ্ডু-পুত্ৰগণ । রাজ্যে রাজ্যে অনুচর করই প্রেরণ ॥ নিবসেন যত রাজা মম অধিকারে । যুদ্ধ হেতু বরিয়৷ আনহ সবাকারে ॥ সব মধ্যে প্রধান স্থমন্ত্র নরপতি । কলিঙ্গ কামদ ভোজ বাহিলক প্রভূতি ॥ স্বশৰ্ম্ম নৃপতি আদি যত রাজগণ । যুদ্ধ হেতু সবাকারে করহ বরণ ॥ একাদশ অক্ষৌহিণী করহ সাজন। হইবে অবশ্য যুদ্ধ না হয় খণ্ডন ॥ অস্ত্ৰ শস্ত্র বহুবিধ করহ সঞ্চয় । মিত্রামিত্র বলাবল করহ নির্ণয় ॥ রাজার বচন শুনি রাধার নন্দন । সাধু সাধু বলিয়। প্রশংসে সেইক্ষণ ॥ উত্তম বলিয়। যুক্তি নিল মম মনে । তুমি হে ক্ষজিয়শ্রেষ্ঠ বুদ্ধি বলে গুণে ॥ ! | i দেবগণ মধ্যে যেন দেব শচীপতি । প্রজাপতি মধ্যে যেন দক্ষ মহামতি ॥ তারাগণ মধ্যে যেন শীতল কিরণ । তাদৃশ ক্ষত্রিয় মধ্যে তোমারে গণন ॥ ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম-শাস্ত্র যত আছে পূৰ্ব্বাপর। ক্ষত্রিয় হইয়া যুদ্ধে না করিবে ডর ॥ সে কারণে ক্ষত্রধৰ্ম্ম করাহ উদয় । যুদ্ধ হেতু বরহ যতেক রাজচয় ॥ হয় বা না হয় যুদ্ধ বিধির লিখন । সৈন্য সমাবেশ কর না ছাড় বিক্রম ॥ এত বলি আজ্ঞা দিল ডাকি অনুচরে । লিখিলেন লিখন সমস্ত নৃপবরে ॥ অনন্তরে কহিলেন গঙ্গার তনয় । যে যুক্তি করিলা মম হৃদয়ে না লয় ॥ ভাই ভাই বিচ্ছেদ হইতে না যুয়ায় । হিত উপদেশ রাজ কহিব তোমায় ॥ মান বৃদ্ধি নাই ইথে ন হইবে যশ । হারিলে জিনিলে তুল্য না হবে পৌরষ ॥ অতএব যুদ্ধে রাজা নাহি প্রয়োজন । পাণ্ডব সহিত সবে করহ মিলন ॥ পাণ্ডবেরা নাহি তব করে অত্যাচার । আপন ইচ্ছায় ভাগ যে দিবে তাহার ॥ তাহা পেয়ে স্বর্থী হবে ভাই পঞ্চজন । এক্ষণে এমত বুদ্ধি না কর রাজন ॥ পাশায় জিনিয়া তুমি নিলে সৰ্ব্ব ধন । তবু তারা তোমা প্রতি নহে ক্রোধমন ॥ যে সত্য করিল তারা সবার সাক্ষাতে । ধৰ্ম্ম অনুসারে মুক্ত হইল তাহাতে ॥ পূৰ্ব্বে ছিল তাহদের যেই অধিকার । তাহা ছাড়ি দিতে হয় উচিত তোমার ॥ তাহাতে প্রবোধ যদি নহে কদাচন । তবে যেই মনে লয় করিও তখন ॥ পুর্বে অঙ্গীকার তুমি করিলে আপনে । সত্য হতে মুক্ত যদি হয় কদাচনে ॥ পুনঃ আসি রাজ্য তবে লইবে পাণ্ডব । সেইকালে সাক্ষাতে আছিমু মোরা সব ।