পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫০২ রূপকুমারের ধ্যান—ওঁ বন্দে কাঞ্চন বৰ্ণাভং দ্বিভূজং শূলহস্তকং । [ মহাভারত। চিতা করি কাষ্ঠ দিয়া জ্বালি বৈশ্বানর। তদুপরি রাখিল নৃপতি-কলেবর ॥ চিত। আরোহিতে চিতা প্রদক্ষিণ করে । হেনকালে ঔৰ্ব্ব মুনি আইল তথাকারে ॥ গর্ভবতী নারী চিত। আরোহণ করে । দেখিয় বিস্ময় মুনি মানিল অন্তরে ॥ নিকটেতে গিয়া শীঘ্ৰ করে নিবারণ । রাণীকে চাহিয়৷ পরে বলে তপোধন ॥ চিতা আরোহণ না করিবে কদাচিত । অবধানে শুন মাত শাস্ত্রের বিহিত ॥ দিব্যচক্ষে আমরা দেখিতে পাই সব । রাজচক্রবর্তী তব গর্ভে অনুভব ॥ বাহুবলে জিনিবেক যত রিপুগণে । একচ্ছত্র রাজ হবে এ মৰ্ত্ত ভুবনে । ব্রাহ্মণে দিবেক দান সদ। অপ্রমিত । ন হইল ন হইবে তাহার তুলিত ॥ গর্ভবতী নারী যদি অনুমুত হয় । পঞ্চ মহাপাপ আসি তাহারে বেড়য় ॥ কদাচিত স্বামী সঙ্গে না হয় মিলন । ঘোর নরকেতে তার হয় ত গমন ॥ যত পুণ্যকৰ্ম্ম তার সব নষ্ট হয় । পুণ্যফল যত কিছু কদাচ না পায় । রজঃস্বল। কিম্ব শিশু পুত্রেরে ছাড়িয়া । পতি সঙ্গে যেই নারী মরয়ে পুড়িয় ॥ পঞ্চ মহাপাতক ভাগিনী সেই হয় । ব্যর্থ তার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম সশস্ত বিযয় ॥ অগ্নিহোত্রে নৃপতিরে করিয়া দাহন। নারীরে লইয়া গেল আপন সদন ॥ প্ৰেতকৰ্ম্ম করিলেক ভর্তার বিধানে । আর শ্রাদ্ধ শান্তি দশন ত্রয়োদশ দিনে ॥ সেবা বশে সস্তষ্ট হইল তপোধন । এইরূপে ছিল রাণী মুনির সদন ॥ অন্যথা না হয় কণ্ডু বিধির লিথন । মহারাণী প্রসবিল অপূর্ব নন্দন ॥ গরল সহিত জন্ম হইল তাহার। এ জন্য সগর নাম হইল প্রচার ॥ | দিনে দিনে বাড়িল সে স্বন্দর লক্ষণ । শুক্লপক্ষ চন্দ্রকলা বাড়য়ে যেমন ॥ । দরিদ্র পাইল যেন পূর্ব হারাধুন। সেমত পাইল রাণী অপত্য রতন ॥ মধু ক্ষীর দুগ্ধ চিনি আনি প্রয়োজন । যত্ন করি সেই শিশু করিল পালন । করাইল নানা অস্ত্র শাস্ত্র অধ্যয়ন । অল্পদিনে হইলেন শাস্ত্রে বিচক্ষণ ॥ নবীন বয়সে শিশু মহাবলধর । একদিন তীর্থস্নানে গেল মুনিবর ॥ একান্তে মায়েরে শিশু জিজ্ঞাপিল বাণী । কোন বংশে জন্ম মম কহ গো জননী ॥ কাহার ত- য়ু আমি কহিবা নিশ্চয় । এই মুনিবর বুঝি মম পিতা হয় ॥ শিশুকাল পিতৃহীন হয় বেইজন । ঃখা হৈতে দুঃখী সেই জন্ম অকারণ " চন্দ্র বিনা রাত্ৰি যেন সব অন্ধকার ; গায়ত্রী বিহীন যেন ব্রাহ্মণ-কুমার ॥ ধনহীন গৃহা যেন ধৰ্ম্মহীন নর। বেদহান বিপ্ৰ যেন পদ্মহান সর ॥ পিতৃহীন পুত্র তথা শোভা নাহি পায়। সে কারণে কহ মাতা জিজ্ঞাসি তোমায় । শুনি রাণী কহিলেন করিয়া রোদন । বড় ভাগ্য ছিল তুমি হইল নন্দন ॥ মহারাজবংশে পুত্র উৎপত্তি তোমার ; তুমি সূৰ্য্যবংশে রাজ বাহুর কুমার। তালজঙ্ঘ হৈহয় সে পাপ জ্ঞাতিগণ । কপটে তোমার বাপে করিল নিধন ৷ যেই কালে তোমা আমি ধরিমু উদরে । বিষ খাওয়াল মোরে মারিতে তোমারে । দৈববলে রক্ষা হৈল তোমার জীবন । আমা সহ এই বনে আইল রাজন ॥ হিংসকের হিংসাতে চিন্তিত নরবর । ব্যাধিযুক্ত নৃপতি ছাড়েন কলেবর ॥ অনুমৃত হইতে মম চিন্তা উপজিল । ঔৰ্ব্ব মুনি আসি মোরে বারণ করিল। ---