পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব । ] গাতুর ডলনের ধ্যান—ওঁ দাৰ্থহস্তং দীর্ঘকায়ং পাশখট্রাঙ্গধারিণং। ৫৯৭ তোমার রূপের সীমা না যায় বর্ণনে । তোম সম রূপ গুণ না দেখি নয়নে ॥ কিবা লক্ষী সরস্বতী হবে হরপ্রিয়া । সাবিত্রী রুক্মিণী কিবা হবে সর্ববজয়া ॥ কিব নাগকন্যা হবে তিলোত্তম প্রায় । নিজ পরিচয় কন্যা কহিবে আমায় ॥ কন্যা বলে শুন মম পূর্বের্বর কাহিনী । বহুরূপ নাম মম ইন্দ্রের নর্তনী ॥ সৰ্ববজন্মে আছিল আমার পক্ষিযোনি । প্রভাসে বসতি ছিল নাম সারঙ্গিণী ॥ হব স্থিতি করিয়া ছিলাম বহুকাল । কত দিনে বৃদ্ধদশা হইল জঞ্জাল ॥ জরাতে আমার তনু ব্যাধিতে পীড়িল । সেই বৃক্ষ উপরে আমার মৃত্যু হৈল ॥ মরিয়৷ শুকায়ে ছিনু বৃক্ষের উপরে । বহুকাল ছিলাম সে বাসার ভিতরে ॥ লৈবের নির্ববন্ধ কভু না হয় খণ্ডন । কতদিনে ঘোরতর বহিল পবন ॥ বাসার সহিত মম শুষ্ক কলেবরে । উড়াইয়া ফেলিলেক প্রভাসের নীরে ॥ পবশ করিতে অঙ্গ প্রভাসের পানী । সৰ্ব্ব পাপে মুক্ত হইলাম নৃপমণি ॥ দিব্যমূৰ্ত্তি হইলাম রূপেতে পদ্মিনী । সেই পুণ্যে হইয়াছি ইন্দ্রের নর্তনী ॥ স্বরেন্দ্র সাক্ষাতে নৃত্য করি বরাবর। একদন পাপবুদ্ধি হইল আমার ॥ সূৰ্য্যবংশে মহারাজ খট্রাঙ্গ আছিল । সুব্ধ হেতু ইন্দ্ৰ ভঁারে বরিয়া আনিল ॥ করিলেন অস্থর সহিত ঘোর রণ । "বাকীরে পরাজিল খটাঙ্গ রাজন ॥ ইষ্ট হয়ে সভাতে লইল ইন্দ্র তারে । :দ্ধ করাইল নৃত্য আম! সবাকারে ॥ টাঙ্গ নৃপতি রূপে পরম স্বন্দর। ”রে দেখি হৃদয়ে বিন্ধিল কামশর ॥ ঐ পুনঃ চাহিলাম তাছার বদন । "খ ইন্দ্র ক্রোধে শাপ দিল সেইক্ষণ ॥ দেবলোকে থাকি কর মনুষ্য-আচার । নরলোকে কিছুকাল কর ব্যবহার ॥ সে কারণে নরপতি হেথায় বসতি। বিরহিণী আছি নাহি মিলে যোগ্যপতি ॥ এত শুনি হাসিয়া বলিল নৃপমণি। আমারে বরণ তুমি কর বিরহিণী ॥ চন্দ্রবংশে মম জন্ম কুরু নাম ধরি । সমস্ত সংসার মধ্যে আমি অধিকারী ॥ তোমারে দেখিয়া মন মজিল আমার । কামানলে দহে তনু করহ নিস্তার ॥ শ্রেষ্ঠ পাটেশ্বরী আমি করিব তোমারে । এত শুনি কন্যা পুনঃ কহিল রাজারে ॥ নিশ্চয় নৃপতি আমি করিব বরণ। এক সত্য মম আগ্রে করহ রাজন ॥ আপন ইচ্ছায় আমি করিব যে কাজ ! আমারে নিষেধ না করিবে মহারাজ ॥ কুবচন বল যদি ত্যজিব তোমারে । কন্যার বচনে রাজা অঙ্গীকার করে ॥ কন্যারে লইয়। রাজা গেল নিজ দেশে । নিরবধি কেলি করে অশেষ বিশেষে ॥ একদিন নরপতি কহিল কন্যারে । শীঘ্ৰগতি জল দেহ আনিয়া আমারে ॥ কন্যা বলে এবে মম আছে প্রয়োজন । মুহূৰ্ত্তেক পরে জল দিতেছি রাজন ॥ কহিলেন ভূপতি ব্যাকুল কলেবর । আমারে আনিয়া জল দেহ শীঘ্রতর ॥ নৃপতির বাক্য কন্যা না করে শ্রবণ । ক্রুদ্ধ হয়ে বলিলেন বহু কুবচন ॥ ক্রোধেতে করিল নিন্দা বিবিধ প্রকারে । গণিকার জাত দুষ্ট ষি বলিব তোরে ॥ এত শুনি হাসি কন্য। লখিল রাজারে । পূৰ্ব্ব সত্য পাসরিলা ছাড়িমু তোমারে ॥ এইক্ষণে ত্যাগ করি যাব নিজ স্থান । এতেক বলিয়। কন্যা হৈল অংদ্ধোন ॥ কন্যারে না দেখি রাজা আকুল জীবন । কন্যার ভাবনা বিনা অন্যে নাহি মন ॥