r QQ ミ দুঃশাসন বীর দিল কটকে ঘোষণা । সাজ সাজ বলি ধ্বনি করে সর্বজন ॥ ভীষ্ম দ্ৰোণ কৃপাচার্ষ্য অশ্বথাম বীর । তুরিশ্রব সোমদত্ত প্রফুল্ল শরীর ॥ বাহুলীক শকুনি কৃতবৰ্ম্ম নরপতি । , ভগদত্ত শল্যরাজ মদ্র তাপিপতি ॥ বিন্দ আর অনুবিন্দ কর্ণ মহাবল । শত ভাই কলিঙ্গ বিখ্যাত ভূমণ্ডল । শ্বেতছত্র পতাকা শোভিত সারি সারি। সাজিলেন শত ভাই কুরু-অধিকারী ॥ ছত্র ধরে চলে ষাটি-সহস্র ভূপতি । একৈক রাজার সঙ্গে সহস্ৰেক হাতী ॥ একৈক ধানুকী সাথে দশ দশ ঢালী । চরণে নুপুর শব্দে কর্ণে লাগে তালি ॥ গজ বাজী রথধ্বজ পতাকা প্রচুর । কুরুসৈন্য সভক্ত দেখি কম্পে তিনপুর ॥ কৌরবের সৈন্যগণ মহা পরাক্রম । অস্ত্রে শস্ত্রে বিশারদ বিপক্ষেতে যম | মহা আনন্দিত-মন যত কুরুগণ । যুদ্ধ হেতু সৰ্ব্বজন করিল সাজন । আচম্বিতে বায়ু বহে মহাশব্দ শুনি । গিরিতে চাপিয়া যেন তাইসে মেদিনী ॥ অকস্মাৎ মেঘ যেন বরিষে রুধির । বিন! ঝড়ে খসি পড়ে দেউল প্রাচীর ॥ গৰ্দ্দভ প্রসবে গাভী, কুকুরে শৃগাল । ময়ুর প্রসবে কৰ্ণক, ই দুরে বিড়াল । নিরুৎসাহ অশ্বগণ কাপে ঘনে ঘন । অমঙ্গল কত হয় না যায় বর্ণন ॥ দেখি যে ত্রিপদ পশু, নাছি চারি পাদ । দিবসেতে পেচকের করে ঘোরনাদ ॥ দণ্ড হস্তে শিশু সব যুঝে পরস্পর মহাঘোর রণশবদ গগন উপর : এক বৃক্ষে অন্য ফল অস্তুত কথন । ক্ষণে ক্ষণে পৃথিবী কম্পয়ে ঘনে ঘন ॥ বিছর দেখিয়া ইহা বিস্ময় মানিল । ধৃতরাষ্ট্র স্থানে গিয়া সব নিবেদিল ॥ সহস্রফণসংযুক্তমনস্তং শিরসোশরি। [मशंखांद्रउ । শুনিয়া আকুল হৈল অন্ধ নরপতি 0 নিরুৎসাহ হয়ে রাজা বসিলেন ক্ষিতি । কুরুকুল ধ্বংস হেতু জানিয়া তখন । আইলেন তথা সত্যবতীর নন্দন ॥ দেখি সভাজন সবে পাদ্য অৰ্ঘ্য দিল । চরণ বন্দিয়া অন্ধ স্তবন করিল ॥ ধৃতরাষ্ট্র কহে শুন মুনি মহাশয় । কারো বাক্য ন শুনিল আমার তনয় ॥ যুদ্ধ আয়োজন করে দুষ্ট মন্ত্রণায় । অমঙ্গল দেখি ভয় জন্মিল তাহায় ॥ ব্যাসদেব বলেন শুনহ মহাশয় । কুরুকুল হবে ক্ষয় জানিহ নিশ্চয় ॥ কৰ্ম্ম অনুসারে জীব ভ্রময়ে সংসারে । দৈবে যাহা হয় তাহা কে খণ্ডিতে পারে। পৃথিবীতে যত ক্ষত্র একত্র হইল । এই যুদ্ধে সর্বজন নিশ্চয় মজিল ॥ পুত্র তব শত আর যত নৃপচয় । পরস্পর যুদ্ধ করি সবে হবে ক্ষয় ॥ যুদ্ধ দেখিবারে যদি বাঞ্ছা থাকে মনে । দিব্যচক্ষু দিয়া যাই দেখহ নয়নে । প্ৰণমিয়া ধৃতরাষ্ট্র সকরুণে কহে । পুত্রবধূ জ্ঞাতিবধ প্রাণে নাহি সহে ॥ তোমার প্রসাদে আমি শুনিব শ্রবণে । এত বলি ধৃতরাষ্ট্র পড়িল চরণে ॥ ক্ষণেক চিন্তিয়। তবে ব্যাস তপোধন ; রাজারে বলেন শুন আমার বচন ॥ দিব্যচক্ষে সঞ্জয় দেখিবে ত্রিভুবন । রাত্রিদিন তোমারে কহিবে বিবরণ ॥ ইহাতে শুনিবে যত যুদ্ধ-বিবরণ । গৃহে বসি সব বার্তা পাইবা রাজন ॥ যত জলক্ষণ এই দেখ মহাশয় । হইতেছে দিবসেতে নক্ষত্র উদয় ॥ ! উদয়াস্ত প্রায় সূৰ্য্য গগনে বেষ্টিত । বিনা মেঘে বরিষয়ে সঘনে শোণিত । অগ্নিবর্ণ প্রায় দেখি সমস্ত আকাশ । হইতেছে ধুমকেতু দিবসে প্রকাশ ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।