○ Qや মাগেন রসনাহার কল্পিতাং রত্ননূপুরামৃ । बशंउब्रड। কৃষ্ণ তীরে প্রবোধিয়া বলেন বচন । ক কারণে ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম কর বিসর্জন ॥ অহঙ্কার করিয়া আইলে যুদ্ধস্থান । "মুখ সংগ্রামে কেন ছাড় ধনুৰ্ব্বাণ ॥ মাতিবধে পাপ যদি ভাব ধনঞ্জয় । কৌরব কহিবে পার্থ হইল সভয় ॥ কে কারে মারিতে পারে কেবা কার অরি। সবারে সংহারি আমি, সব আমি করি ॥ কৰ্ম্ম অনুসারে লোক করে যাতায়াত । বাহার যেমন কৰ্ম্ম পায় সেই পথ । যেন বাল্য যৌবন বাৰ্দ্ধক্য উপস্থান । তেমন জানিহ তুমি সকল সমান ॥ জীর্ণবস্ত্র ত্যজি যথা নব বস্ত্র পরে। ভথ এক তমু ছাড়ি অন্তেতে সঞ্চারে । শরীর বিনাশ হয়, নহে জীবনাশ । শুন কহি ধনঞ্জয় করিয়া প্রকাশ ৷ যত সব বস্তু দেখ চতুর্দশ লোকে । সকল আমার-মূৰ্ত্তি জানাই তোমাকে ॥ সকল বৃক্ষের মধ্যে আমি যে অশ্বথ ॥ নদী মধ্যে সুরধুনী কহিলাম তথ্য । ঋষি মধ্যে আমি যে নারদ মহাশয় । মুনি মধ্যে কপিল আমার মূৰ্ত্তি হয় ॥ গজ মধ্যে ঐরাবত, অশ্বে উচ্চৈঃশ্রব । নর মধ্যে নরপতি আমারে জানিবা ॥ দেবমধ্যে দেবরাজ, রুদ্রেতে কপালী । গন্ধৰ্ব্বেতে চিত্ররথ, দানবেতে বলী : নাগেতে অনন্ত নাগ আমাকে জানিবা । গ্রহমধ্যে দিনকর আমাকে মানিবা ॥ তেজঃ মধ্যে বৈশ্বানর আমার বিভূতি । পাণ্ডবের মধ্যে আমি তুমি মহামতি । বর্ণ মধ্যে দ্বিজ, পৰ্ব্বতেতে হিমালয় । ইত্যাদি অনন্ত আমি কুন্তীর তনয় ॥ পৃথিবীর মধ্যে লোক যতেক জন্মস্থ । নিজ নিজ কৰ্ম্মফলে সবে হয় ক্ষয় । , কৃষ্ণাৰ্জ্জনে যোগকথা অনেক ছইল । ৰাহুল্য কারণ সব নাহি লেখা গেল ॥ নানাবিধ যোগ কৃষ্ণ কহেন অর্জনে T না হইল প্রবোধ তথাপি তার মনে ॥ তবে কৃষ্ণ কহিলেন শুন ধনঞ্জয় । | স্থত সব সৈন্য এই জানিহ নিশ্চয় ॥ সব্যসাচী হও হে, নিমিত্ত মাত্ৰ তুমি । সৰ্ব্ব সৈন্য দেখ, বধ করিয়াছি আমি । অর্জন বলেন প্রভু তবে সত্য জানি । আপন নয়নে যদি দেখি চক্রপাণি ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ দিলেন দিব্যচক্ষু অর্জনেরে । অর্জন দেখেন বিশ্ব কৃষ্ণের শরীরে ॥ মেঘ বর্ষ শীর্ষ তার পরশে আকাশ । রবি শশী দুই চক্ষু অতি স্থপ্রকাশ ॥ মুখ তার বৈশ্বানর, তারাগণ দন্ত । আশচর্ষ্য দেখেন পার্থ নাহি পান অন্ত ॥ ইন্দ্র দেবরাজ বাহু, ব্রাহ্মণ হৃদয় । নাভি সিন্ধুসম তার পৃষ্ঠে বহুময় ॥ দশদিক জঙ্ঘা ভার, পাতাল চরণ । শৈলগণ র্তার অস্থি, রোম তরুগণ ॥ মাংসরাপা ধরণীরে দেখে ধনঞ্জয় । দেখিয়া বিরাট রূপ মানেন বিস্ময় ॥ করিলেন নারায়ণ বদন বিস্তার । তাহাতে দেখেন পার্থ অখিল সংসার । সৰ্ব্ব সৈন্য মৃত তাহে দেখি ধনঞ্জয় । Tলজ্জা ভয়ে বিস্ময় হইল অতিশয় ॥ স্তব করিলেন শেষে বিনয় করিয়া । আপন বৃত্তান্ত সব কহ বিবরিয়া ॥ ব্রহ্মা আদি দেব র্যার নাহি পায় সীমা । আমি মুঢ় নৱজাতি কি জানি মহিমা ॥ কহেন গোবিন্দ তারে করিয়া সাংস্তুন । প্রকাশিত কর চক্ষু ত্রাস কি কারণ " চক্ষু মেলি ধনঞ্জয় সখারাপ দেখি । নিলেক ধনুক করে পরম কৌতুকা । প্রবোধ পাইয়া পার্থ রণে দেন মন । ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া বসেন সেইক্ষণ ॥ তবে কৃষ্ণ কর্ণে দেখি বলেন সাদরে । ভীষ্ম দেখি সেনাপতি তোমা না আদরে
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।