পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ と28 দেখি দুৰ্য্যোধন বাণ কাটি পাড়ে রণে । পঞ্চগোটা বাণ পুনঃ মারে ভীমসেনে ॥ অৰ্দ্ধপথে ভীম তাহা অক্লেশে কাটিল । দুৰ্য্যোধন বধিবারে দিব্য অস্ত্র নিল ॥ আকৰ্ণ পূরিয়া বাণ পূরিল সন্ধান । রখে পড়ে দুর্য্যোধন হইয়া অজ্ঞান ॥ মুচিছত দেখিয়া রথ ফিরায় সারথি । সৈন্যেরে বিনাশ করে ভীম মহারথী-॥ কৌরবের সেনাগণ পাইলেক ত্ৰাস । নানাদিকে পলাইল ছাড়ি যুদ্ধ আশ ॥ কতক্ষণে দুৰ্য্যোধন পাইল চেতন । সৈন্যগণে আশ্বাসিয়া বলে সেইক্ষণ ॥ যথায় করিছে রণ ভীষ্ম মহারথী । র্তার প্রতি বলিতে লাগিল কুরুপতি ॥ তুমি হেন মহাযোদ্ধা ত্রিভুবনে জানে । দ্রোণ বীর মহাবীর জগতে বাখানে ॥ তোমা দোহা বিদ্যমানে সৈন্য দিল ভঙ্গ । পাণ্ডব পৌরুষ করে সবে দেখ রঙ্গ ॥ পাণ্ডবের অনুরোধে পরিহর রণ । অনুমানে বুঝি চাহ আমার মরণ । কটুবাক্য শুনি ক্রুদ্ধ হয়ে মহামতি । দুই চক্ষু রক্তবর্ণ কহে রাজা প্রতি ॥ তোমারে দিলাম বহু হিত উপদেশ । না শুনিল। কার বাক্য মন্ত্রণা বিশেষ । ৰূদ্ধকালে যত শক্তি আমার সম্ভব । প্রাণপণে যুদ্ধ করি নিবারি পাণ্ডব । রাজা হ’য়ে সৈন্যগণ রাখিতে নারিলে : বৃদ্ধ জানি মোরে অনুযোগ কর ছলে । এতেক বলিয়৷ ভীষ্ম সিংহনাদ করে ধনুকে টঙ্কার দিয়া অস্ত্র নিল করে । শঙ্খধ্বনি করি বীর সমরে পশিল । কালান্তক যম যেন সাক্ষাং আইল । যুধিষ্ঠির বাহন করিল ঘোর রণ । সহিতে না পারে কেহ ভীষ্মের বিক্রম ॥ বড় বড় যোদ্ধাপত সাহস করিল। বাণ বৃষ্টি করি সবে ভীষ্মে আবরিল । খড়গঞ্চ দক্ষিণেপণে বিভ্রতীশীবরদ্বয়ং। - -


,

[ মহাভারত । সবাকার অস্ত্র কাটে গঙ্গার নন্দন । নিজ অস্ত্রে সবাকারে করিল ঘাতন ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ সেন। বড় ৰভু বীর । ভীষ্মের বিক্রমে কেহ রণে নহে স্থির ॥ বনে সিংহ দেখি যেন গজেন্দ্র পলায় । পাণ্ডবের সৈন্য তেন রণ ছাড়ি ধায় ॥ সৈন্যভঙ্গ দেখিয়া রুষিল ধনঞ্জয় । ভীষ্মের সম্মুখে আইলেন সে দুর্জয় ॥ অৰ্জ্জুনে দেখিয়া গঙ্গাপুত্র তার পর । অস্ত্রবৃষ্টি করিলেন অর্জন উপর ॥ অশ্ব রথ না দেখে সারথি ধনঞ্জয় । দশদিক যুড়িয়া করিল অস্ত্রময় ॥ দেখি সব পাণ্ডুদল পলায় তরাসে । কৌরবের যোদ্ধাগণ আনন্দেতে ভাসে । দিব্য অস্ত্ৰ দিয়। তবে পার্থ মহামতি ; পিতামহ অস্ত্র কাটিলেন শীঘ্ৰগতি ॥ অস্ত্র নিবারিয়া মারিলেন দশ বাণ । ভীষ্মের কামুক করিলেন খান খান ! অন্য ধনু নিল ভীষ্ম সমরে দুৰ্জ্জয় । সেই ধনু কাটিলেন পার্থ মহাশয় ॥ ভাষ্ম তবে প্রশংসিলা সাধু সাধু বলি ; শরবৃষ্টি করিলেন অন্য ধনু ধরি ॥ প্রাণপণে যুঝেন অর্জন ধনুৰ্দ্ধর । নিবারিতে ন পারেন বড়ই দুকর ॥ চোখ চোখ শরে বিন্ধে পার্থের হৃদয় ॥ হীনবল হইলেন কুন্তীর তনয় ॥ বাস্থদেবে বিন্ধে বার চোখ চোখ বাণ । হইলেন তাহাতে কাতর ভগবান ॥ হাসি ভীষ্ম মহাবীর করে উপহাস । আপনি করহ যুদ্ধ দেব শ্ৰীনিবাস ॥ হইলেন সমরেতে অর্জন কাতর। তাহাকে আশ্বাস করিলেন গদাধর । কৃষ্ণের আশ্বাস-বাক্যে হইয়া সম্বিত । ধনঞ্জয় হইলেন কোপেতে ঘূর্ণিত । বিন্ধেন সন্ধান পূরি ভীষ্মের শরীর । | দেখি ক্রোধ করিলেন ভীষ্ম মহাবীর ।