ভাষ্মপৰ্ব্ব । ] কত্ৰীক খপরঞ্চৈব ক্রমান্বমেন বিভ্রতীং । 6 Nét কণে বাণে নিবারিয়া করে শরজাল । অন্ধকারময় দেখে দশ দিকপাল । এহি দেখি কপিধ্বজ সারথি অৰ্জুনে । sয়ংকৃত হয়ে চাহে সব যোদ্ধাগণে ॥ তবে পার্থ মহাবীর ইন্দ্রের কুমার । ষ্ট্রর অস্ত্র এড়ি শর করেন সংহার ॥ বাম নিবারিয়া পুনঃ দিব্য অস্ত্র নিয়া । বপুঞ্জে কাটিলেন কবচ ভেদিয়া ॥ মারথির মুণ্ড করিলেক খণ্ড খণ্ড । চেংগ ভীষ্মদেব হইলেন লণ্ড ভণ্ড ॥ ন:ক্রত হইয়া বীর নিল ধনুঃশর । লক্ষ লক্ষ বাণ মারে অর্জুন উপর ॥ দিবানিশি জ্ঞান নাহি সূর্য্যের প্রকাশ । দশদিক রুদ্ধ হৈল না চলে বাতাস ॥ দেখি সব যোদ্ধাগণ করে হাহাকার । কাটিলেন সর্বব অস্ত্র ইন্দ্রের কুমার ॥ ভারত সমুদ্র তুল্য কতেক লিখিব । :দ:হ মহাবীৰ্য্যবন্ত নহে পরাভব ॥ হেনরূপে সমস্ত দিবস যুদ্ধ হৈল । বে অবসানে পার্থে ঘৰ্ম্ম উপজিল ॥ মুছিবারে অবকাশ না পান অর্জুন । টানেন আকর্ণ পুরি যবে ধনুগুণ ॥ অস্ত্র সহ গুণ বার টানিবার কালে । স্থ ছয়; ফেলেন ঘৰ্ম্ম যাহা ছিল ভালে ৷ সেই অবসরে ভীষ্ম গঙ্গার কুমার । বুধ দশ সহস্ৰকে দিল যমঘর ॥ সিংহনাদ ছাড়ি জয়শঙ্খ বাজাইল । যাদ্ধাগণ সব নিবৃত্ত হইল ॥ নিশ্বাস ছাড়িতে কার? নাহি অবসর । ন শখ বাজাইল কহ দামোদর ॥ ইউরি বলেন তুমি শুনহ কারণ । মুম্বকালে ঘৰ্ম্মজল মুছিলে যখন ॥ শেই অবকাশে ভীষ্ম মারে রথিগণ । :"দ্ধ বাজাইল তাহার কারণ। নয়। অর্জুন মনে বিস্মিত হইল। নিজ দলবলে সবে শিবিরে চলিল ॥ মহাভারতের কথা অমৃত-সমান । কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান । চতুর্থ দিনের যুদ্ধ । শিবেরেতে গিয়া যুধিষ্ঠির নৃপবর । বসিলেন সর্বজন সভার ভিতর ॥ নানা কথা আলাপনে রজনী বঞ্চিল । প্রভাতেতে দুই দল সাজন করিল ॥ কুরুক্ষেত্রে গিয়া সবে করে কোলাহল । নানা বাদ্য বাজে যেন সমুদ্র কল্লোল ॥ রৰ্থিকে ধাইল রথি, গজ ধায় গজে । আসোয়ারে আসোয়ার পদাতিক যুকে ॥ যে যাহার অস্ত্র ল’য়ে করে মহারণ । বরিষার কালে যেন বরিষয়ে ঘন ॥ শঙ্খধ্বনি করি রথ চালান শ্রীহরি । ভীষ্মের সম্মুখে যান অতি ত্বর করি ॥ দুই বীর দেখা দেখি সংগ্রাম হইল । দোহে দোকার অস্ত্ৰ সন্ধান পূরিল ॥ দোহে দোহা অস্ত্র কাটে সমরে নিপুণ । দোহে মহাধনুৰ্দ্ধর কেহ নহে উন । অযুত রথীর সহ শৰ্ম্ম নৃপতি । পাণ্ডবের দলেতে প্রবেশে শীঘ্ৰগতি ॥ শত শত রথিগণে করিল সংহার , শত শত মারে হস্তী অশ্ব কত অার ॥ সৈন্যের নিধন দেখি রেযে বৃকোদরে। রথ ত্যজি পায় বীর গদা ল’য়ে করে ॥ দেখিয়া স্বশৰ্ম্ম রাজ সন্ধান পুরিল । একেবারে দশ বাণ ভীমে প্রহারিল ॥ দশ সহস্ৰেক রর্থী মহাধনুৰ্দ্ধর । দশ দশ অস্ত্র মারে ভীমের উপর ॥ একেবারে লক্ষ শব লাগে ভীমসেনে । মহাক্রোধ উপজিয়া, ধীয় সেইক্ষণে । দুই শত রথী মারে এক গদা ঘায় । আর দুই শত রথা মারিলেক পায় । রথ সহ ধরিয়া অনেক রথিগণ । ফেলিল আকাশমার্গে পবন-নন্দন ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।