বাম পাদং শৰহৃদি সংস্থাপ্য দক্ষিপ্তং পদং। ভীমের সাক্ষাতে আর কেহ নাহি রয়। ভীষ্মের সারথি মারি দিল যমালয় ॥ ধনুক ধরিয়া হাতে ভীষ্ম মহামতি । ভীমের উপরে বাণ এড়ে শীঘ্ৰগতি ॥ গদা ফিরাইয়া ভীম নিবারিল শর। একঘায়ে রথ অশ্ব দিল যম এর ॥ লম্ফ দিয়া ভীস্থাবীর চড়ে অন্য রথে । অস্ত্র বৃষ্টি করে মহাপণ্ডিত রণেতে ॥ নারায়ণ দেখি রথ চালান ঝটিতি । . ভীষ্মের সম্মুখে রথ রাখেন শ্ৰীপতি ॥, অন্তরীক্ষে অৰ্জ্জুন কাটেন সৰ্ব্ব বাণ । দেখি ক্রুদ্ধ হৈল ভীষ্ম,অগ্নির সমান ॥ দেখাদেখি দুইজনে বাধে ঘোর রণ । চমকিত হ’য়ে দেখে যত দেবগণ ॥ ভীম মহাক্রোধে সৈন্য করিল সংহার । যারে পায় তারে মারে না করে বিচার ॥ ইন্দ্ৰ যেন বজ্ৰ হস্তে ভাঙ্গে গিরিবর। গদাঘাতে মারে বড় বড় গজবর ॥ মাদ্রীপুত্র দুইজনে ভাঙ্গে পাটোয়ার । সহস্ৰ সহস্র রথ মারে আসোয়ার ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ গজ পদাতি বিস্তর । পৃথিবী আচ্ছাদি পড়ে সৈন্য বহুতর ॥ ধ্বজ ছত্র পতাকায় ঢাকিল মেদিনী । দুইদলে কোলাহল কিছুই না শুনি ॥ হেনকালে রণে আসে ইলাবন্ত নাম । অর্জনের পুত্র সেই ইন্দ্রের সমান ॥ হুবর্ণ রচিত দিব্য বিমান স্থলদর । তাহাতে চড়িয়া আসে সংগ্রাম ভিতর ॥ তীর্থযাত্র করেন যে কালে পার্থবীর । ভ্ৰমিলেন বহু তীর্থ নির্ভয় শরীর ॥ অনুঢ়া নাগের কন্য উলুপী আছিল । সর্পরাজ পুণ্ডরীক হৃদয়ে ভাবিল ॥ অর্জনেরে তথায়ু লইল ছল করি । প্রদান করিল তারে উলুপী স্বন্দরী । তার গর্ভজাত বীর ইলবন্ত নাম । মহাপরাক্রমশালী যুদ্ধে যেন রাম ॥ i i h * ? f | m L মহাভারত ! ঐরাবত পাঠাইয় দেব পুরন্দর । ইলাবন্ত আনিলেন আপন গোচর ॥ অৰ্জ্জুন গেলেন যবে ইন্দ্রের ভুবন । পিতা পুত্রে তথায় হইল দরশন ॥ পিতা পুত্রে পরিচয় মাতলি করিল। ---=ब्ध সেই বীর ইলাবন্ত উপনীত হৈল ॥ সমরে আসিয়া ইলাবন্ত করে রণ। স্ববলের পুত্ৰগণ আইল তখন ॥ পশিয়া তোমর শেল মূষল মুদগর । ইলাবন্ত উপরে বরিষে নিরন্তর ॥ নিবারিয়া ইলাবন্ত বাণ বৃষ্টি করে। একে একে মারিয়া পাঠায় যমঘরে ॥ নানা অস্ত্র সোঁবলের সৈন্যেরে প্রহারে । জর্জর সকল বীর ইলাবন্ত-শরে ॥ অনেক মরিল তবে কুরুসৈন্যগণ । সসৈন্য সাজিয়৷ এল দেখি দুর্য্যোধন। দুৰ্য্যোধন নিজ সৈন্যে করিল আদেশ । ইলাবন্ত বীরেরে মারছ সবিশেষ ॥ অলম্বুষ রাক্ষসেরে আজ্ঞা দিল আর । ইলাবন্ত বীরে শীঘ্র কর প্রতিকণর ॥ সাবধান হ’য়ে তারে করহ নিধন । তোমা বিনা তারে মারে নাহি কোন জনা অলম্বুষ ইলবিন্তে হয় মহারণ । অলক্ষিতে মায়াযুদ্ধ করে দুইজন ॥ দোহে মহাবীৰ্য্যবন্ত সংগ্রামে নিপুণ । দোহে অস্ত্রে বিশারদ কেহ নহে উন ॥ তবে অলক্ষুষ করে মায়ার প্রকাশ । বাণে অন্ধকার করে না চলে বাতাস ৷ দেখিয়৷ হাসিল ইলাবন্ত মহাবীর । রাক্ষসের-বাণ কাটি রণে হৈল স্থির ॥ চোখ চোখ বাণে পুনঃ পূরিয়া সন্ধান । অলম্বুষ রাক্ষসের কাটে ধনুৰ্ব্বাণ ॥ আর ধনু লইল রাক্ষস বীরবর। ইলাবন্ত উপরেতে বরিষয়ে শর ॥ বাণে নিবারয়ে তাহ অর্জুন-তনয় । নিজ অস্ত্রে বিন্ধিলেকু রাক্ষস-হৃদয় ।
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।