পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তন ৫৭২ সাট্টহাস৷ মহাঘোরারবযুক্ত স্বভীষণ ॥ গদা ল’য়ে মহাবেগে ধায় বৃকোদর । - দও হস্তে যম যেন প্রবেশে সমর ॥ তাহা দেখি দ্রোণ গুরু সমরে দুর্জয় । ভীমের উপরে অস্ত্র ঘন বরিষয় ॥ বৃক্ষ যেন বৃষ্টিজল মাথা পাতি ধরে । তাদৃশ সম্বরে বাণ বীর বৃকোদরে ॥ পশু মধ্যে ব্যাঘ্ৰ যেন মহাকুতূহলে। গদাঘাতে মারে বীর কৌরবের দলে ॥ ভীমের সমরে আর কেহ নহে স্থির । ভঙ্গ দিল বড় বড় রথী মহাবীর ॥ পূত্রের নিধন শুনি মহাক্রোধ মন । । অর্জন করেন ঘোর অস্ত্র বরিষণ ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ বাণ করেন প্রহর । অৰ্দ্ধপথে কাটে তাহা গঙ্গর কুমার ॥ অগ্নি বাণ ছাড়িলেন পার্থ ধনুৰ্দ্ধর । শূন্যপথ রুদ্ধ করি বর্ষে বৈশ্বানর ॥ রথ হস্তী অশ্ব পুড়ে হৈল ছারখার । দেখি বরুণাস্ত্র এড়ে গঙ্গার কুমার ॥ মুষল ধারাতে জল হয় বরিষণ । অগ্নি সব নিমিষে হইল নিৰ্ব্বাপণ ॥ পাণ্ডবের সেনাগণ ভাসি বুলে জলে । রথ গজ আসোয়ার পদাতি বহুলে ॥ অৰ্জুন মারেন বাণ পবন সঞ্চার । জল উড়াইয়া সব করেন সংহার ॥ পবন বেগেতে সব ধ্বজ ভাঙ্গি পড়ে । যেমন প্রলয় কালে স্বষ্টি উড়ে ঝড়ে ॥ হাসি ভীষ্ম বলে শুন পার্থ ধনুৰ্দ্ধর । তোমার যতেক শক্তি করহ সমর ॥ নিতান্ত প্রতিজ্ঞ আমি করিব পূরণ। নহিবে তোমার শক্তি করিতে বারণ ॥ এত বলি সপবাণ এড়ে বীরবর। লক্ষ লক্ষ ফণী উঠে গগন উপর ॥ নিমিষেতে ঝড় সব করিল আহার । গর্জন করিয়া ধায় পার্থে গিলিবার ॥ শিখিবাণ এড়িলেন ইন্দ্রের কুমার । ধরিয়া সকল ফণী করিল আহার ॥ [ মহাভারত । | শত শত শিৰী উড়ে গগন উপর । দেখি অন্ধকার অস্ত্র এড়ে বীরবর ॥ ঘোর অন্ধকার নাছি জ্ঞান আত্মপর । নিশা জানি শির্থীগণ গেল দিগন্তর ॥ , মহা অন্ধকারে সৈন্ত দেখিতে না পায় । দেখিয়া ভাস্কর অস্ত্র এড়ে ধনঞ্জয় ॥ সূর্য্যোদয় হইল ঘুচিল অন্ধকার । উদিত দ্বিতীয় রবি দেখিল সংসার ॥ | দেখি গঙ্গাপুত্র মহা কুপিত হইল । | ধনুক টঙ্কারি অষ্ট বাণ নিক্ষেপিল ॥ এমত সে অষ্টবাণ তীক্ষবেগে এল । অৰ্জ্জুনের রথ অশ্ব জৰ্জ্জর হইল ॥ | সাতবাণ মারিলেন ধ্বজের উপরে। আশী বাণ মারিলেন প্রভু গদাধরে ॥ আর কুড়ি বাণ বীর এড়ে শীঘ্র হাতে । কপিধ্বজ রথচক্র পোতে মৃত্তিকাতে ॥ ; তবে হরি অশ্বগণে করেন প্রহর । বহু কষ্টে করিলেন রথের উদ্ধার ॥ দেখিয়া অর্জন ক্রোধী হয়ে অতিশয় । পঞ্চবাণে বিন্ধিলেন ভীষ্মের হৃদয় ॥ চারি বাণে চারি অশ্ব করেন সংহর । সারথির মাথা কাটি দিলা যমদ্বার ॥ এক বাণে ধ্বজ তার কাটেন অৰ্জ্জুন । করেন ভীষ্মের প্রতি বাণ বরিষণ ॥ কৃষ্ণ প্রতি বলে ভীষ্ম অতি ক্রোধ করি । নিজ অশ্ব রথ এবে রক্ষা কর হরি ॥ এত বলি অস্ত্র বরিষয়ে বীরবর। কুজ্জটিতে আচ্ছাদয়ে যেন গিরিবর ॥ বাণ কাটি অর্জন করেন খান খান। ভীষ্মের উপরে পুনঃ পূরেন সন্ধান ॥ এইরূপে দুই জনে বরষিছে বাণ । মহাকুদ্ধ হইলেন গঙ্গার সন্তান ॥ পৰ্ব্বত নামেতে অস্ত্র ভীষ্ম নিলা করে। , লক্ষ লক্ষ গিরিবর যাহাতে সঞ্চারে ॥ , মস্ত্রে অভিষেকি এড়ে গঙ্গার নন্দন । দেখি সব দেবগণ হৈল ভীতমন ॥