দ্ৰোণপৰ্ব্ব । ] রাধনে অনুক্ষণ বুঝাই বিস্তর। নছি শুনে দুর্য্যোধন করি অনাদর ॥ রাকালে রোগী যেন ঔষধ না খায়। সইমত দুর্য্যোধন অজ্ঞানের প্রায় ॥ ক হইবে তস্করে কহিলে ধৰ্ম্মবাণী । কতু নাছি হয় সতী, অসতী রমণী ॥ এত শুনি দুৰ্য্যোধন বলিল বচন । অনুক্ষণ নিন্দ মোরে কর সর্বজন ॥ কোন দোঘ আমার দেখিলে তোমা সবে । সবে মাত্র দেখিয়াছ নির্দোষ পাণ্ডবে ॥ অবিরত কটু কথা প্রাণে নাহি সহে । গুরুজন গঞ্জনা অনলে তনু দহে ॥ বলে পারি ছলে পারি প্রকার বিশেষে । নাশিব আপন শক্র ভয় মোর কিসে ॥ মৃত্যু হৈতে কষ্ট ভাবি পাণ্ডবের বশ । মরি যদি সমরে, রহিবে তবু যশ ॥ ক্ষোভ না করিয়া ক্ষিতি করিলাম ভোগ । এখন যে হয় কৰ্ম্ম দৈবের সংযোগ ॥ পণ করিয়াছি আমি, আপনি বিচারি। কদাচিত অন্যথা করিতে নাহি পারি ॥ এত বলি দুর্য্যোধন হ’য়ে দুঃখমতি । কৰ্ণ দুঃশাসনে ল’য়ে চলে শীঘ্ৰগতি ॥ দেখিয়া গঙ্গার পুত্র হইল দুঃখিত । দ্রোণেরে চাহিয়৷ তবে বলিল বিহিত ॥ কালপ্রাপ্ত হইলেক বুঝিয়া দুৰ্য্যোধন । অতএব নাহি শুনে কাহার’ বচন ৷ নিশ্চয় জানিনু হৈল কুরুকুল অস্ত । দিন দুই তিন মধ্যে মজিবে সমস্ত ॥ এত বলি ভীষ্মবীর নিঃশব্দে রহিল । সৈন্ত ল’য়ে দুৰ্য্যোধন রণস্থলে গেল । সক্ষুল যুদ্ধ । চক্রবৃহ করিলেন দ্রোণ মহাশয়। ভেদিতে বিষম ব্যুহ দেবে সাধ্য নয় ॥ মথে আরোহণ করি আইলেন বীর । ইবনবিজয়ী দোণ নির্ভয় শরীর ॥ রক্তালিপ্তপয়োধরাং জপবটং-বিদ্যামভতিং বরং । যুধিষ্ঠির দেখেন আইল দুৰ্য্যোধন। হইলেন বাহির সহিত নারায়ণ ॥ করিয়া মকর ব্যুহ বীর ধনঞ্জয় । রণে আইলেন সহ কৃষ্ণ মহাশয় ॥ দুই সৈন্য কোলাহলে হৈল গণ্ডগোল । প্রলয়ের কালে যেন সমুদ্র কল্লোল ॥ বাদ্যশব্দে আর কিছু নাহি শুনি কাণে । পৃথিবী কম্পিত অশ্ব গজের গর্জনে ॥ মুহুমুহুঃ যোদ্ধাগণ ছাড়ে হুহুঙ্কার । বজের সমান শুনি ধনুক টঙ্কার ॥ পদাতি পদাতি অগ্রে হইল সংগ্রাম । গজে গজে যুদ্ধ করে না করে বিশ্রাম ॥ রথী রর্থী যুদ্ধ হয় বার জনে জনে । ংগ্রাম হইল ঘোর না যায় কথনে ॥ দ্ৰোণ ধনঞ্জয় যুদ্ধ হয় অধিরাম । সাতাকি সহিত কর্ণ করয়ে সংগ্ৰাম ॥ ভীম দুৰ্য্যোধনে যুদ্ধ অপূৰ্ব্ব হইল । দেখি যোদ্ধাগণ সবে আশচর্য্য মানিল ॥ নকুল সহিত যুদ্ধ করে দুঃশাসন । সহদেব শকুনিতে হৈল মছা রণ ॥ কৃপাচাৰ্য্য সহ যুঝে পঞ্চাল রাজন। ধৃষ্টদ্যুম্ব সহ অশ্বথামা করে রণ ॥ মদ্রপতি সহ যুঝে চেকিতান বীর । বিরাটের সহ যুঝে ভুপাল কাশীর ॥ এইরূপে জনে জনে বাধিল সমর । মানিল প্রমাদ দেখি স্বর্গের অমর ॥ মহা বাতাঘাতে দেখি বৃক্ষ যেন পড়ে । পড়িল অনেক সৈন্য রণস্থল বুড়ে ॥ রুধিরে সর্ণতার নদী বহে পঞ্চ ধারে । হইল প্রবল যুদ্ধ শেষেতে দ্বাপরে ॥ জন্মেজয় বলে মুনি কহ আরেকলি । সংক্ষেপে কহিলে, কহ করিয়া বিস্তার ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীদাস কছে শুনে পুণ্যবান ॥ (tఫెసా
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।