দোণপৰ্ব্ব । ] ছিন্নমস্তাং করেবামে ধারয়ন্তীং সমস্তকম্ ॥ আজি যদি দ্রোণে আমি মারিবারে পারি। বড় তুষ্ট হইবেন মাতুল শ্ৰীহরি । যুধিষ্ঠির রাজার করিব কিছু হিত। করিব সমর আজি জানাই নিশ্চিত ॥ এইক্ষণে রথ তুমি সাজাও সত্বর । অবশ্ব করিব যুদ্ধ কিছু নাহি ডর ॥ এতেক শুনিয়া তবে স্বমস্ত্র সত্বর । তুলিল বহুল অস্ত্র রথের উপর । জাঠি শেল ঝকড়া যে মুষল মুদগর । শক্তি ভিন্দিপাল তোলে অসংখ্য তোমর ॥ মহাদপ করি উঠে রথের উপর । ব্যুহ ভেদিবারে যায় পার্থ-বংশধর ॥ ভীম আদি করি তবে মহারথীগণ । তাহার পশ্চাতে যান করিবারে রণ ॥ কৃহে প্রবেশিল বীর চক্ষুর নিমিষে। নানা অস্ত্র সৈন্যগণ উপরে বরষে ॥ প্রলয়ের মেঘ যেন সংহারিতে স্বষ্টি । ততোধিক অভিমনু্য করে শরবৃষ্টি । বীকে বণকে বাণ মারে সৈন্যের উপর। মীর মীর বলি ডাকে অৰ্জুন-কোঙর ॥ এক গোট বাণ বীর তুণ হৈতে আনে । দশ গোটা বাণ হয় ধনুকের গুণে গমনে শতেক হয়, সহস্র পতনে । এই মত পুনঃ পুনঃ এড়ে অস্ত্ৰগণে ॥ পড়িল অনেক সৈন্য রক্তে বহে নদী । কুরুসৈন্য-রক্তে স্নান করে বহুমতী ॥ ভীম আদি করিয়া যতেক বীরগণ । স্থাইমুখে গিয়া সবে করে মহারণ ॥ জয়দ্ৰথ বৃহ রক্ষা করে প্রাণপণে । ণ দেয় দুয়ার ছাড়ি অন্য বীরগণে ॥ জয়দ্ৰথ যুদ্ধ করে অতি ঘোরতর। সর্ব বীরে বিমুখ করিল একেশ্বর ॥ দ্ৰোণপৰ্ব্ব স্থধারস অভিমনু্য-বধে । কাশীরাম দাস কহে গোবিন্দের পদে ॥ | ۹ ه وئ অভিমন্ত্র্যর যুদ্ধারস্ত । ব্যুহে প্রবেশিল যবে অভিমনু বীর। ভীম আদি যোদ্ধাগণ হইল অস্থির ॥ নাহি দিল জয়দ্ৰথ প্রবেশিতে পথ । চিন্তাকুল হ’ল বড় পড়িল বিপদ ॥ ব্যুহ ভেদি গেল পুত্র নিজ বীরপণে । তাহাতে কহিল শুনি নিগম না জানে ॥ জানিয়া সমূহ সৈন্যমাঝে গেল রণে । সঙ্কটে পড়িলে রক্ষা পাইবে কেমনে । হেথা না দেখিয় বার সৈন্য নিজ পাশ । জানিল নিশ্চয় বিধি করিল নিরাশ । | উপায় কি আছে আর অপারের সিন্ধু। পড়িয়াছি পার নাহি বিধি মাত্র বন্ধু ॥ এত বলি সাহস করিল মহাবার । বাণবৃষ্টি করি সৈন্য করিল অস্থির । এক রথে অভিমনু্য করে মারম্যর । দেখিয়া কৌরবগণ করে হাহাকার । চৌদিকে বেষ্টিত যত কুরুসৈন্যগণ । পিঞ্জর মধ্যেতে যেন পোষ। পক্ষ রন ॥ না জানে বালক সেই নিগমের সন্ধি । মান যেন পড়িল হইয়া জালে বন্দা ॥ তথাপি অভয় ধনু লইলেক হাতে । শাসিত করিয়া সৈন্য ভ্রমে এক রথে ॥ জলদ বরিষে যেন কালে বরিযiয় । বৰ্ণকে বাঁকে অস্ত্র পড়ে ক্ষম নাহি তায় ॥ মাহুত মাতঙ্গ পড়ে তুরঙ্গ বহুত । কোটি কোটি সৈন্য মারে সংগ্রামে অদ্ভুত ॥ অলস না হয় তনু সাহসী বালক । সৈন্থারণ্য দহে ধন হইয়া পাবক ৷ প্রকাশেন পরাক্রম নাহি তার সাম৷ ৷ বাখানয়ে বালকের বিবিধ মহিমা ॥ একমাত্র ধনুকের গুণে পঞ্চ বাণ । না পারে সম্মুখে কেছ করিতে সন্ধনিকুমারের প্রতাপ দেখিয়া কুরুগণ । চিন্তাকুল দুৰ্য্যোধন বিষগ্ন বদন ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।