এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভ হহুং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রং।
কালকেতু নামে যক্ষ ছিল মৎস্যদেশে। হরিদশ্ব হইল রুক্মী ভীষ্মক-ঔরসে।। কীচক কলিঙ্গ বৃষসেন মহাবলে। কালকেতুগণ আসি জন্মিল ভূতলে।। বৃহষ্পতি অংশে হৈল দ্রোণ মহাশয়। বশিষ্ঠের শাপে বসু গঙ্গার তনয়।। রুদ্র অংশে কৃপাচার্য্য অজয় অমর। বসু অংশে সাত্যকি ধ্রুপদ নৃপবর।। কৃতবর্ম্মা বিরাট গন্দ্ধর্ব্ব অংশে জন্ম। ধর্ম্ম অংশ হৈতে হৈল বিদূরের জন্ম।। ধর্ম্ম অংশে জনিলেন যুধিষ্ঠির রাজা। বায়ু অংশে জন্মিলেন ভীম মহাতেজা।। দেবরাজ অংশে জন্ম নিল ধনঞ্জয়। অশ্বিনীকুমার হৈতে মাদ্রীর তনয়।।। চন্দ্র আসি হৈল অভিমন্যু মহাবীর। কাম হৈতে প্রদ্যুম্ন বিখ্যাত যদুবীর।। বাসুদেবে দয়া করি দয়াময় হরি। তাঁর গৃহে জন্মিলা গোলোক পরিহরি।। শেষ অংশে জন্মিলা রোহিনী নন্দন। দ্রৌপদী জন্মিল আসি সবার নিধন।। সর্ব্ব্জ্যেষ্ঠ দুর্য্যোধন যুযুৎস্য তৎপর। দুঃশাসন দুঃসল দুঃশীল বীরগণ।। প্রমথ দূর্মুখ তথা বিবিংশতি বীর। বিকর্ণ শ্রীজরাসন্ধ সুলোচন ধীর।। বিন্দ, অনুবিন্দ, শ্রীদুর্দ্ধর্ষ, সুবাহুক। দুষ্পধর্য, দুর্ম্মর্ষণ, দ্বিতীয় দুর্মুখ।। দুষ্কর্ণ আর যে কর্ণ চিত্র তারপর। উপচিত্র পরেতে চিত্রাক্ষ নামধর।। চিত্রাঙ্গদ দুর্ম্মদ জানহ অনন্তর। দুষ্পহর্ষ, বিবিৎসু, বিকট তৎপর।। ঊর্ণনাভ, পদ্মনাভ, নন্দ নামধর। উপানন্দ সেনাপতি সুষেন কুণ্ডীর।। মহোদর, চিত্রবাহু চিত্রবর্ম্মা ধীর। সুবর্ম্মা, দুর্ব্বিরোচন অয়বাহু বীর।। মহাবাহু চিত্রতাপ নামে সুকুমার। ভীমবেগে ভীমবল বলকী তৎপর।। শ্রীভীমবিক্রম উগ্রায়ুধ ভীমশর। কনকায়ূ তথা দৃঢ়ায়ুধ তারপর।। দৃঢ়কর্ম্মা দঢ়ক্ষেত্র সোমকীর্ত্তি বীর। অনুদর জরাসন্ধ দৃঢ়সন্ধ ধীর।। সত্যসন্ধ সহস্রাক্ষ উগ্রশ্রবা খ্যাত। উগ্রসেন ক্ষেত্রমুর্ত্তি শ্রীঅপরাজিতা।। সুবর্চ্চা আদিত্যকেতু বহবাশী অপর। নাগদত্ত অনুযায়ী কবচী তৎপর।। জানহ নিষঙ্গী সঙ্গী আর দণ্ডধার। ধনুগ্রহ উগ্র তথা ভীমরথ আর।। বীর বীরবাহু অলোলুপ নামধেয়। অভয় আশু রৌদ্রকর্ম্মা দৃঢ়রথ জেয়।। অনাধৃষী কুণ্ডভেদী বিরোধী তৎপর। সুদীর্ঘলোচন বীরবাহু অনন্তর।। মহাবাহু ব্যুঢ়োরু যে তাহার অনুজ। জানহ কনকাঙ্গদ পরেতে কুণ্ডজ।। চিত্রক শ্রীপুরুমিত্র করুণ তৎপর। আর সত্যব্রত এই শত সহদোর।। বৈশ্যপুত্র যুযুৎসু হয় সে শতোপরি। একা সহোদরা মাত্র দুঃশলা সুন্দরী।। জ্যেষ্ঠ অনুক্রমে করিলাম এ রচন। ভারতে যেমন আছে ব্যাসের বচন।। শত এক সূত ধৃতরাষ্ট্রের হইল। দুঃশলারে জয়দ্রথ বিবাহ করিল।। অংশে অবতার কথা প্রত্যক্ষে প্রকাশ। বিরচিত পাঁচালী প্রবন্ধে কাশীদাস।।
-------
শকুন্তলা উপাখ্যান।
মুনি বলিলেন শুন রাজা জনমেজয়। ভরতবংশের কথা শুন মহাশয়।। দুষ্মন্ত নামেতে রাজা জগতে বিদিত। তাঁহার মহিমা-কথা না হয় বর্ণিত।। সংসারে আসিয়া বসুন্ধরা ভোগ করে। ধর্ম্মেতে পৃথিবী পালে দুষ্টেরে সংহারে।।