৬১৪ _রতিকাৰোপবিষ্টাঙ্ক সদাধ্যয়স্তি মঞ্জিনা _া মহাভারতাৎ হস্তী মারে সহস্ৰেক অতি তড়বড়ি । অসংখ্য পদাতি পড়ে যায় গড়াগড়ি ॥ শিশুর সমর দেখি অগ্নি হৈল কোপে । অশ্বথাম মহাবীর বাণ যোড়ে চাপে ॥ তিন বাণে কাটিয়া ফেলিল খাণ্ডাখান । । অস্ত্রশূন্য হইলেক না দেখি বিধান ॥ । চৰ্ম্ম কাটা গেল, অস্ত্র অবশেষ খণ্ড । তাহা যদি কাটা গেল, ফুরাইল ভাণ্ড ॥ কাহার বিরাম নাহি বলবান অরি । অসংখ্য রাজার সেন গণিতে না পারি ॥ পঙ্গপাল পাতে জাল চারিদিকে ঢাকা । পলাইতে পথ নাহি কি করিবে একা ॥ নৃপতি অধৰ্ম্মী বড় অন্যায় সমর। ধরিয়া বালক মারে পাপিষ্ঠ পামর ॥ তবেত অর্জুন স্থতে ভয় হৈল মনে । বিপক্ষের হাতে আর রক্ষা নাহি রণে ॥ মুকুটতে সেনা মারে, কর পদ ঘায় । চড় চাপড়েতে সবে দেয় যমালয় ॥ অস্ত্র রথ দুই হন একেল কুমার । চারিদিক হৈতে হয় অস্ত্র অবতার ॥ অবসাদ পেয়ে বীর ছাড়িল নিশ্বাস । আজি রক্ষা নাছি আর অবশ্য বিনাশ ॥ আচরিয়া অধৰ্ম্ম অন্যায় কৈল বুa । কেমনে ইহাতে রক্ষা পাইবে জীবন ॥ পিত রণ করে সেন নারায়ণী যথা । তিনি মাত্র না জানেন এতেক বারত ॥ কৃষ্ণ মম মাতুল অৰ্জুন মম বাপ । মৃত্যুকালে না দেখি এই মনস্তাপ ॥ আমার বৃত্তান্ত তাত গোবিন্দ মাতুল । শুনিলে অবশ্য হইতেন অনুকূল ৷ এতেক চিন্তিয় শিশু হইল নিরাশ । উল্কার সমান যেন পড়িল নিশ্বাস ॥ হাতে করি লইল রথের চক্রদণ্ড । যমচক্র সম সেই বড়ই প্রচণ্ড ॥ হেন চক্রুদণ্ড বীর হাতে করি লৈয়া । সৰ্ব্ব সৈন্যগণে বীর মারিলেন গিয়া ॥ حصدسيص– চুর্ণ করে হয় হস্তী হাজারে হাজার। তুরঙ্গ মারিল কত সংখ্যা নাহি তার ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ বীর বধিল বালক । নিবারিতে নাহি শক্তি জ্বলন্ত পাবক ॥ তবে কর্ণ পাচ বাণ পূরিয়া সন্ধান । চক্রদণ্ড কাটিয়া করিল খান খান ॥ চক্রদণ্ড গেল যদি চক্র নিল হাতে । দানবের যুদ্ধ যেন সহ জগন্নাথে ॥ তাহাতে অনেক সৈন্য শোয়াইল ক্ষিতি । লেখা জোখা নাহিক মারিল ঘোড়া হাতী ॥ । চক্ৰহস্ত বিষ্ণু যেন অতি জ্যোতিৰ্ম্ময় । । তাহার সমান শোভা অভিমনু্য হয় ॥ . তবে কর্ণ মহাবীর ধরিয়া ধনুক । তিন বাণ প্ৰহারিল যেন হুতভুক ॥ অভিমমু্য করে রণ রথচক্র হাতে । কাটিলেন কর্ণ তাহ তিন বাণাঘাতে ॥ শূন্যহস্ত ব্যস্ত শিশু তাহে রথহীন । ভরসায় তবু যুঝে সংগ্রামে প্রবীণ ॥ পদাঘাত করাঘাত প্রহারেণ যারে । সেইক্ষণে তাহারে পাঠান যমঘরে ॥ মদমত্ত হস্তী যেন মহাভয়ঙ্কর । মুষ্ট্যাঘাতে রথ রথী বিনাশে বিস্তর ॥ হয় পড়ে নাহি হয় পরিমাণ যুথে । বড় বড় রথী পড়ে অযুতে অযুতে ॥ চারিদিকে বীরগণ বরিষয়ে বাণ ॥ বাণে অঙ্গ হৈল যেন সজারু সমান ॥ রক্তে তনু তোলবোল বিকল শরীর । পড়িয়া ধরণী ধারা বহিছে রুধির ॥ অস্ত্রাঘাতে অভিমনু্য হৈল অচেতন । পুনঃ সপ্তরর্থী করে অস্ত্র বরিষণ ॥ হেনকালে অকলৈ দুঃশাসনের নন্দন । গদা হাতে করি ধায় মহাত্রলুদ্ধ মন ॥ অরুণ জিনিয়া রক্ত ঘুর্ণিত নয়ন । দৈবে যাহা করে তাহ কে করে খণ্ডন ॥ আর্জেনি উপরে করে গদার প্রহর । দেখিয়া অমরগণ করে হাহাকার ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।