পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ)3 বিপরীত রত্যশক্তে ধ্যান্দ্ৰেতিমনোভবে। [ भशडावडी মদনে মোহিত চন্দ্র অন্য মন ছিল । গগমুনি দেখি চন্দ্র পূজা না করিল ॥ এতেক দেখিয়া মুনি কুপিত হইয়া । চন্দ্র প্রতি সেইক্ষণে বলেন ডাকিয় ॥ অহঙ্কারে মত্ত হ’য়ে না দেখ নয়নে । কি কারণে অমান্য করিলে মুনিগণে ॥ ব্রাহ্মণ হেলন কর মত্ত দুরাচার । আজি আমি করিব ইহার প্রতিকার ॥ মনুষ্যলোকেতে গিয়া জন্মহ সত্বর । ক্রোধে এই শাপ দিল গগ মুনিবর। শুনিয়া মুনির শাপ রজনীর পতি । অশেষ বিশেষে করে মুনিবরে স্তুঠি । অজ্ঞানে ছিলাম আমি শুন মুনিবর। যাইতে মনুষ্যলোকে বড় লাগে ডর ॥ কৃপায় শাপান্ত মুনি আজ্ঞা কর মোরে । কতদিনে মুক্ত হ’য়ে আসি হেথাকারে ॥ তুষ্ট হয়ে বলে তার গর্গ মুনিবর। তোমার শাপান্ত এই শুন শশধর ॥ অর্জনের পুত্র হবে স্বভদ্র উদরে । করিয়া বীরের কার্য্য পড়িবে সমরে ॥ সম্মুখ সংগ্রামে পড়ি ত্যজিবে জীবন । ষোড়শ বৎচর অন্তে পুনরাগমন ॥ এই হেতু চন্দ্র জন্মে সুভদ্র উদরে । অভিমনু্য জন্মকথা জানাই তোমারে ॥ পূর্বে হইয়াছে এইরূপেতে নির্ণয় । অতএব শোক না করিহ মহাশয় ॥ ৯ পুনশ্চ বলেন রাজা শুন মুনিবর । কেমনে কহিব ইহা পার্থের গোচর ॥ কি বলিয়া প্রবোধিব ভাই ধনঞ্জয় । শুনিয়া কি বলিবেন কৃষ্ণ মহাশয় ॥ কি বলিয়া প্ৰবোধিব হুভদ্রার মন । বিরাটকন্যার দশ হইবে কেমন ॥ রাজ্য আশে হীরাই হাতের রত্ননিধি । ন পারি ধরিতে বুক বিড়ম্বিল বিধি । এতেক বলিয়। রাজা করেন রোদন । ব্যাসের প্রবোধে স্থির তবু নহে মন ॥ حیه ------------ | অকালে না মরে কেহ জানিহ রাজন। কালপ্রাপ্ত হইলে না রহে কদাচন ॥ অৰ্জ্জুনের সহিত আপনি নারায়ণ । অর্জনের শোক করিবেন নিবারণ ॥ এতেক শুনিয়া রাজা ত্যজেন রোদন । নিরুৎসাহে বসিল যতেক যোদ্ধাগণ ॥ যুধিষ্ঠিরে প্রবোধিয়া ব্যাস তপোধন । করিলেন আপনার স্থানেতে গমন ॥ দ্রোণপৰ্ব্ব পুণ্যকথা রচিলেন ব্যাস । পাঁচালী প্রবন্ধে কহে কাশীরাম দাস ৷ - so - - | অৰ্জ্জুনের অমঙ্গল দশন । মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন । সমরেতে অভিমনু্য হইল নিধন ॥ সংসপ্তকে থাকিয়া করেন পার্থ রণ । উৎপাত অনেক দেখি করেন চিন্তন ॥. করুণ ডাকিয় কাক ধ্বজে আসি পড়ে ; শক্তিহীন সমরে, গাণ্ডীব-গুণ ছিড়ে ॥ বামচক্ষু স্পন্দে, ঘন ঘন বাম কর । , উড় উড় করে প্রাণ, রণে নাহি ডর। কৃষ্ণে চাহি ধনঞ্জয় বলেন তখন । অবধানে শুন কৃষ্ণ আমার বচন ॥ আজি কেন মম মন হয় উচাটন। অবশ্য কারণ আছে দেব নারায়ণ | নাহি জানি কি করেন রাজা যুধিষ্ঠির । হাহাকার করে শুন সব মহাবীর ॥ হায় অভিমনু বলি কান্দে যোদ্ধাগণ । সমরে হইল বুঝি তাহার নিধন । প্রাণ স্থির নহে মম জানাই তোমারে । না জানি কি হৈল আজি সমর ভিতরে I কুরুসৈন্যে কোলাহল জয়শব্দ শুনি । | বাজিছে বিবিধ বাদ্য জয় জয় ধ্বনি ॥ । রথ চালাইয়া দেহ অতি শীঘ্রতর। রাজারে দেখিলে স্বস্থ হইবে অন্তর ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ বলেন সখে না চিন্ত অরিন্ট । ! যোদ্ধা অভিমনু দেখ সবাকার শ্রেষ্ঠ ।