appর। ] ষোড়শীর ধ্যান—ততঃ পদ্মনিভাং দেবীং বালার্ককিরণোম্বলং। ৬৩৩ রোধে ধনু ধরি বীর চলে সেইক্ষণ । টেৎকচ সহ গেল করিবারে রণ ॥ দেখি ঘটোৎকচ বীর ধাইল সত্বর । নল তুলি মারে বীর কর্ণের উপর ॥ অশ্ব সহ সারথিরে করিলেক চুর । লঙ্ক দিয়া পলাইল কর্ণ মহাশূর ॥ কৰ্ণ পলাইল দেখি ভীমের নন্দন । , দুষ্টকোপে বহু সৈন্য করিল নিধন ॥ এত শত হস্তী মারে গদার প্রহারে । লক্ষ লক্ষ পদাতিক নিমিষে সংহারে ॥ শত শত রথ পড়ে হয়ে খান খান । T দেখিয়া কৌরবদল হৈল কম্পমান ॥ হাহাকার শব্দ করে যত যোদ্ধাগণ । দেখি দুৰ্য্যোধন রাজা শোকাকুল মন ॥ দুটোৎকচ যুদ্ধ দেখি দ্রোণের নন্দন । সিংহনাদ করি গেল করিবারে রণ ॥ সন্ধান পুরিয়া অশ্বথমা এড়ে বাণ । দেখি ঘটোৎকচ বীর ক্রোধে কম্পমান ॥ এক লাফে নিজ রথে চড়ে বীরবর। পদ। এড়ি ধনুঃশর লইল সত্বর ॥ হাতে তুলে নিল বীর দুৰ্দ্ধরিষ ধনু । সন্ধান পুরিয়৷ বিন্ধে দ্রোণপুত্ৰ তনু ॥ শত্ৰ অস্ত্র অশ্বথামা পূরিয়া সন্ধান । নিমিযেতে নিবারিল ঘটোৎকচ বাণ ॥ বিধ ব্যর্থ দেখি বীর সন্ধান পূরিল। উক্লিভল্ল দশ গোট অঙ্গেতে মারিল ॥ মোহ গেল ঘটোৎকচ রথের উপর । সিংহনাদ করি বুলে দ্রোণের কুমার ॥ কতক্ষণে ঘটোৎকচ পাইল চেতন । ক্রোধমূৰ্ত্তি দেখি যেন কাল হুতাশন ॥ মি এড়ি গদা ল’য়ে ধাইল সত্বর । "হাতিয়া বাড়ি মারে রথের উপর ॥ "ার প্রহারে রথ খণ্ড খণ্ড হৈল। দিয় অশ্বথামা বেগে পলাইল ॥ o, কম্পমান হৈল দ্ৰোণের নন্দন । శాf পলাইল লইয়া জীবন ॥. তবে ঘটোৎকচ বীর কুপিত অন্তরে । হাতে গদা করি বীর ভ্রময়ে সমরে ॥ লেখা জোখা নাহি যত পড়ে সেনাবর । পলাইয়া যায় সবে ত্যজিয়া সমর ॥ | বায়ুবেগে ধায় যত অশ্ব আসোয়ার । পলায় পদাতিগণ লেখা নাহি তার ॥ হেনমতে ঘটোৎকচ করে মহামার ॥ কৌরবের দলে উঠে শব্দ হাহাকার ॥ হেনকালে অলম্বুষ আইল রাক্ষস । মহাপরাক্রম বীর অসীম সাহস ॥ রাক্ষসের সেনা ল’য়ে ধাইল সত্বর। পৰ্ব্বত আকার বীর মহাভয়ঙ্কর ৷ রাক্ষস দেখিয়া ধায় ঘটোৎকচ বীর । মহাগদা হাতে করি নির্ভয় শরীর | গদার প্রহার করে রাক্ষস উপর । অনেক রাক্ষস মারে সংগ্রাম ভিতর ॥ অশ্ব হস্তী পদতিক সম্মুখে যা পায় । গদার গ্রহারে বীর চুর্ণ করি ধায় ॥ কোটি কোটি সেনা পড়ে না যায় লিখন। দেখি পলাইয়া যায় যত যোদ্ধাগণ ॥ তবে ক্রোধে অলম্বন রাক্ষস ঈশ্বর । গদ ল’য়ে ধায় বীর সংগ্রাম ভিতর ॥ তবে ক্রোধে ঘটোৎকচ ভীমের কোঙব । গদা প্ৰহারিল অলম্বযের উপর ॥ গদার প্রহারে বীর হইল জৰ্জ্জর । ত্রাস পেয়ে উঠে গিয়া আকাশ উপর ॥ অন্তরাক্ষে থাকি বীর করে ঘোর রণ । দেখিয়া কুপিল বীর হিড়িম্ব নন্দন । অন্তরীক্ষে ঘটোৎকচ উঠিল সত্বর । মহাযুদ্ধ করে দোহে শূন্যের উপর ॥ মহাত্রাসে অলম্বুষ মেঘে লুকাইল । দেখি ঘটোৎকচ র্যর কুপিত হইল ॥ মায় করি লুকাইল হিড়িম্ব নন্দন । দেখি ভয়ে রাক্ষস পলায় সেইক্ষণ । তথা হৈতে অলঘুষ নামে রণস্থল । দেখিয়া ধাইল ঘটোৎকচ মহাবল ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।