কর্ণপৰ্ব্ব । ] রক্তাযুজনখজ্যোতিৰ্ব্বিতানিতনভস্থলাং । دهند রাঠির বলিলেন কর্ণে উচৈঃস্বরে । যুধিষ্ঠির রাজার হাতের কাটে ধনু । কল কর্ণ এক কথা বলি যে তোমারে i দুৰ্য্যোধন বাক্যে কর মম সহ রণ। ছ অভিলাষ ক্তের খণ্ডবি এখন ॥ এক বলি ধৰ্ম্ম মারিলেন দশ শর। গুর শরাশন কাটে কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ কোথভরে যুধিষ্ঠির যেন হুতাশন । টঙ্কারিয়া লইলেন অন্য শরাসন ॥ রম দণ্ড সম ধনু অতি ভয়ঙ্কর । , মহেশের শূল যেন জ্বলে বৈশ্বানর ॥ বজের সমান সেই বাণে যুধিষ্ঠির । কর্ণের দক্ষিণ ভাগে বিন্ধিলেন বীর ॥ বেদন পাইল তাহে কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর । মূচ্ছিত হইয় পড়ে রথের উপর ॥ হাহাকার কুরুদলে প্রচার হইল । পাণ্ডবের সৈন্যে জয়ধ্বনি প্রকাশিল ॥ মহী সিংহনাদ করে পাণ্ডবের দল । চেতনা পাইয় উঠে কৰ্ণ মহাবল ॥ যুধিষ্ঠির নিধন চিন্তিল মনে মন । টঙ্কারিয়া হাতে নিল দিব্য শরাসন ॥ বিজয় নামেতে ধনু নিল আরবার । যাহাতে আছয়ে চন্দ্র সূর্য্যের আকার ॥ সত্যুষেণ সুষেণ কর্ণের দুই স্থত । তিন বাণে ধৰ্ম্মে বিন্ধে বিক্রমে অদ্ভুত । বিন্ধিল নৃপতি সত্যষেণের শরীরে । তিন বাণে বিন্ধিলেক কর্ণ মহাবীরে ॥ সৰ্ব্ব অস্ত্র নিবারিল কর্ণ একেশ্বর । সপ্তবাণে বিন্ধিলেক ধৰ্ম্ম নৃপবৰ ৷ রাজারে রাখিতে এল যত যোদ্ধাগণ । ধষ্ট্যুম্ন ভীম সেন দ্রুপদ-পন্দন ॥ সহদেব মুষেণ নকুল কাশীপতি । শিশুপাল তনয় আইল শীঘ্ৰগতি ॥ একেবারে অস্ত্র এড়ে কর্ণের উপর । পৰ্ব্ব অস্ত্র নিবারিল কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ পণ্ডিবের সৈন্য সৰ্ব্ব করে পরাজয় । *লিস্তিক যম যেন কৰ্ণ মহাশয় ॥ সন্ধান পূরিয়া বীর বিন্ধিলেক তনু ॥ কবচ কাটিয়া পাড়ে ধরণী উপরে। রুধির পড়িছে ধারে ধৰ্ম্ম-কলেম্বন্ধে ॥ শক্তি অস্ত্র মারিলেন রাজা যুধিষ্ঠির । শক্তি নাইি ভেদিল সে কর্ণের শরীর ॥ অতি ক্রোধে কণবীর মারে তীক্ষশর । সেই শরে বিন্ধিলেক ধৰ্ম্ম-কলেবর ॥ হৃদয়ে বিন্ধিল আর বিন্ধিল কপাল । ধ্বজছত্ৰ কাটিলেন বিক্রমে বিশাল । গজ অঙ্গ কাটা গেল হইল প্রমাদ । ছিন্ন ভিন্ন সৈন্য সব করে আর্তনাদ ॥ অন্য রথে চড়িলেন ধৰ্ম্ম নৃপবর। রথ চালাইয় দেন কর্ণের গোচর ॥ জিনিলেন কর্ণ বীর পাণ্ডবের নাথ । উপহাস করে কর্ণ ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎ ॥ ক্ষত্ৰকুলে জন্মিয়াছ তুমি মহাজন। বাণেতে কাতর হয়ে পরিহর রণ ॥ ক্ষত্রধৰ্ম্মে তোমারে স্বদক্ষ নাহি গণি । ব্ৰহ্মচৰ্য্য ধৰ্ম্মেতে তোমাকে বাখানি ॥ আর যুদ্ধ না করহ কর্ণবীর সনে । যদি প্রাণে রক্ষা পাও যাও নিজস্থানে ॥ এত বলি কর্ণবীর ছাড়িল নৃপতি । ! ক্ষমিল সকল বীরে কর্ণ সেনাপতি ॥ কোপেতে ধাইল ভীম মহাবলধর । রাজারে করিল পাছু দুই সহোদর ॥ কৰ্ণ ভীম সমাগমে হৈল মহারণ । বিমানে চড়িয়া দেখে দেবঞ্চষিগণ । কালদণ্ড সম যেন বিজলী ঝঙ্কার । কর্ণেরে মারিল ভীম অস্ত্র খরধার ॥ শরে কর্ণ বীরবরে করে ছারখার । মহাশব্দে ভীমসেন করে মার মার ॥ হাতে ধনু ল’য়ে বার সমরে প্রচণ্ড । হানিয়া রাজার পুত্রে করে খণ্ড খণ্ড ॥ দুই বীরে শরবৃষ্টি করিল প্রকাশ । অন্ধকারময় শূন্য না চলে বাতাস ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।