সোপ্তিকপৰ্ব্ব । ] শঙ্খচক্ৰগদাপাশিং মুকুটাঙ্গদভূষিতং ॥ স্থানে স্থানে ভ্ৰমে, জল খুজিয়া না পায় । একত্র হইয়া দোহে ভাবেন উপায় ॥ রাজার বচনে আলি জল অন্বেষণে । জল নাহি পাই কি করিব দুই জনে ॥ বলিলেন কৃপ, শুন আমার বচন । যুদ্ধকালে এনেছিল জল সৈন্যগণ ॥ সেই জল বিনা আর না দেখি উপায় । এত বলি দুইজন চলিল তথায় ॥ মহাভারতের কথা স্বধাসিন্ধুবত । কাশীরাম দাস কহে পাঁচালীর মত ॥ - অশ্বথামাকে সেনাপতির অভিষেক । , হেম কলসেতে বারি ল’য়ে দুইজন । রাজার নিকটে যায় আনন্দিত মন ॥ যথায় আছয়ে রাজা তথায় চলিল । দুৰ্য্যোধন নিকটেতে জল আনি দিল ॥ দেখি আনন্দিত অতি কৌরবের পতি । অভিষেক করিতে উঠেন শীঘ্ৰগতি ॥ উরু ভাঙ্গি পড়িয়াছে উঠিতে না পারে । স্পর্শ করি দিল বারি অশ্বথাম করে ॥ আপনি লইয়া বারি ঢালিলেক শিরে । এইরূপে সেনাপতি করিল দ্ৰোণীরে ॥ বিদায় হইয়। তবে বীর তিনজন । পাণ্ডব শিবিরে যান সত্বর গমন ॥ ঘোর অন্ধকার নিশি পথ নাহি চিনি । ধীরে ধীরে চলি যায়, শব্দ নাহি শুনি ॥ হেনমতে কতদূর যায় তিনজন । বৃক্ষতলে বসি করে কথোপকথন ॥ হেনকালে রাজা সেই বৃক্ষের উপরে। দারুণ সঞ্চান পক্ষী পান দেখিবারে ॥ জাগি রহিয়াছে সেই ভক্ষণের তরে। নিদ্ৰিত সকল পক্ষী সকল সংসারে ॥ দেখিয়া উপায় পেয়ে বলে অশ্বথামা । এক বুদ্ধি পাইলাম কৃপাচার্ষ্য মামা ॥ কহিতে লাগিল পরে দ্রোণের কুমার। পাঞ্চাল পাণ্ডবে আজি করিব সংহার । এইমত অশ্বথামা কহি দুই বীরে । হরষিত হ’য়ে যায় পাণ্ডব-শিবিরে ॥ রণজয় করিয়া হরিষ বড় মনে । স্বখে নিদ্রা যায় সব পাণ্ডব-নন্দনে ॥ এইকালে তিনজন উত্তরিল তথা । বীরদপ করি নেদ্রাণি কহিলেন কথা । ংশে পণ্ডিবে আজি মারিব সমুলে । একজন না রাখিব পাণ্ডবের কুলে ॥ বলিলেন কৃপ ইহা না হয় উচিত । নিদ্রিত জনেরে নাহি মারি কদাচিত ॥ ভয়াৰ্ত্ত শরণাগত নিন্দ্ৰিত যে জন । কখন না হেন জনে করি প্রহরণ ॥ নিষেধ না মানি ইহা যেই জন করে । পঞ্চম পাতকী মধ্যে গণি যে তাহারে ॥ আমার বচন তুমি শুন সাবধানে । হেন কৰ্ম্ম বাসনা না কর কদাচনে ॥ " আপন কুকৰ্ম্মে মজিলেক দুৰ্য্যোধন । ধাৰ্ম্মিক পাণ্ডবে হিংসা করে অনুক্ষণ ॥ পাণ্ডবের সহায় সম্পদ নারায়ণ । তাহার অহিত করি জীৰে কোন জন ॥ দুৰ্য্যোধন হিতাহিত বিচারিয়া মনে । যত শক্তি আছিল যুঝিল প্রাণপণে ॥ তখন নারিলে যুদ্ধ করিবুে,এখন। দুৰ্ব্বদ্ধি ছাড়িয়া তাত স্থির কর মন ॥ পিতৃবৈরী যদি চাহ করিতে নিধন । . রণ মধ্যে ধরি বাপু কর নিপাতন ॥ | | সৎকৰ্ম্ম করিবে তাত মনে বিচারিলে । অসৎপথে পদাপর্ণ কিহেতু করিলে ॥ | সৎকৰ্ম্ম সাধন তাত করহ যতনে । অসৎকৰ্ম্ম করিবারে ইচ্ছা কেন মনে ॥ এখন যে কহি আমি শুন সাবধানে । তিনজন চল যাই ধৃতরাষ্ট্র স্থানে ॥ | সবাকার অধিকারী হন আন্ধরাজ । - সে যেমত কহিবে করিব সেই কাজ ॥ সোপ্তিকপর্বের কথা অমৃতের ধার । কাশী কহে শুনিলে এ ভব হবে পার ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।