পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*A o o সেব্যমানং সদা চারু কোটি সূৰ্য্য সমপ্রভং । [ মহাভারত ২. স্তবে বশ শঙ্কর দিলেন সেই বর। পুনরপি বলে দ্রোণি যুড়ি দুই কর ॥ আর এক অনুগ্রহ কর শূলপাণি । কৃপা করি দেহ মোরে তব খড়গখানি ॥ খড়গ দিয় অন্তরে গেলেন পশুপতি । কৃপেরে চাহিয়া বলে দ্রোণি মহামতি ॥ দ্বার আগুলিয়া দোহে রহ এইখানে । কাটিও তাহার মাথা আসিবে যে জনে ॥ খড়গ হস্তে শিবিরে পশিল বীরবর। নিদ্রাগত ধৃষ্টদ্যুম্ব খটার উপর ॥ পিতৃবৈরী পেয়ে বীর মহাকোপমনে । হাসিয়া ধরিল তবে পাঞ্চাল-নন্দনে ॥ দ্রোণিরে দেখিয়া বীর বিষণ্ণ বদন । গদগদম্বরে বলে পাঞ্চাল-নন্দন ॥ খড়েগ মুণ্ড কাটি মোরে না কর নিধন । যুদ্ধ করি কর বীর স্বকাৰ্য্য সাধন ॥ দ্রোণি বলে ব্রহ্মবধী দুষ্ট দুরাচার । পশুবৎ করি তোরে করিব সংহার ॥ এত শুনি ধৃষ্টদ্যুম্ন কহে আরবার । বিনা যুদ্ধে ন মারিহ দ্রোণের কুমার ॥ যুদ্ধেতে হইলে মৃত্যু স্বগেতে গমন । এই কাৰ্য্য কর বীর দ্রোণের নন্দন ॥ ধৃষ্টদ্যুম্ন-বচন শুনিয়া নাহি শুনে । বজমুষ্টি কীল তায় মারে ক্রোধমনে ॥ হস্ত পদ উদরেতে করিল প্রবেশ । পশুবৎ করিয়া ভাঙ্গিল মধ্যদেশ ॥ ভীম যেন কীচকেরে করিল সংহার। সেইমত করিলেন কুষ্মাণ্ড আকার ॥ একেশ্বর দ্রোণপুত্র মারে সবাকারে । নিশাযোগে ঘোর রণ শিবির ভিতরে ॥ হাহাকার মহাশবদ হয় আচম্বিতে । প্রাণভয়ে পলাইতে চাহে দ্বারপথে ॥ অসি হস্তে ছুইজন রক্ষা করে দ্বার । বাহির হইতে তার করয়ে সংহার ॥ বিপাকে পড়িয়া তারা না দেখে নিস্কৃতি । ঘোর রণ করে সবে দ্রোণির সংহতি ॥ দ্রোণপুত্র অশ্বথামা রণেতে প্রচণ্ড । কাটিল সকল সেনা করি খণ্ড খণ্ড ॥ দাবানল বন যেন করয়ে দাহন । সেইমত কাটে সেনা দ্রোণের নন্দন ॥ দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র ছিল এক ঘরে । এক ঠাই শুয়েছিল পঞ্চ সহোদরে ॥ হাত বুলাইয়া দেখে দ্রোণের নন্দন । ভাবিল পাণ্ডব এই ভাই পঞ্চজন ॥ মুখে বস্ত্র বান্ধিয় কাটিয়া পাড়ে শির । একে একে পঞ্চমুণ্ড কাটে দ্রোণি বীর ॥ পঞ্চমুণ্ড বসনে বান্ধিয়া দ্রোণস্থত । পাণ্ডবে জিনিয়া মনে বড় হর্ষযুত ॥ জাগিয়া শিখণ্ডী ধনুৰ্ব্বাণ নিল হাতে । করয়ে দারুণ যুদ্ধ দ্রোণির সহিতে ॥ বাণে বাণ নিবারয়ে দ্রোণের কুমার । এইরূপে মহাযুদ্ধ করে মহামার ॥ তীক্ষ্ণ আসি ল’য়ে বীর দ্রোণের কুমার । মণ্ডলী করিয়া যুঝে বীর অবতার ॥ ধরাধরি করি দোহে করে মহারণ । মুণ্ডে মুণ্ডে বুকে বুকে চরণে চরণ ॥ মল্লযুদ্ধ করি দোহে ক্ষিতিতলে পড়ি । করিয়া অতুল যুদ্ধ যায় গড়াগড়ি ॥ কখন উপরে দ্রোণি শিখণ্ডী কথন । দোহার প্রহারে দেহে অতি ক্রোধমন ॥ প্রাণপণে শিখণ্ডী মারয়ে দ্রোণস্থতে । নাহি ফুটে অঙ্গে তার দৈববল হৈতে ॥ বজ্ৰমুষ্ট্যাঘাত মারে শিখণ্ডীর মাথে । ভাঙ্গিল মস্তকখান বজ্ৰমুষ্ট্যাঘাতে ॥ এইমত শিখণ্ডীকে করিয়া সংস্থার । একজন অবশেষে না রাখিল আর ॥ পঞ্চমুণ্ড ল’য়ে দ্রোণি চলে হরষিতে । দোহাকার সঙ্গে আসি মিলিল দ্বারেতে ॥ দ্রোণি বলিলেন মম প্রতিজ্ঞা পূরণ । পাণ্ডব প্রভূতি আর নাহি একজন ৷ পঞ্চ পাণ্ডবের মুণ্ড দেখহ সাক্ষাতে । দুৰ্য্যোধনে দিব, ল’য়ে চলহ ত্বরিতে ॥