Գ(?Ե পাশাংশধরং জেবং গঙ্গামুষলধারিণমূ— - [ भशडाब्रङ । সেইকালে স্থতপা কামেতে মত্ত হৈয়া । - | মস্তকে বন্দিয়া ব্রাহ্মণের পদরজ । কস্থার বদন কুচ চাহে নেহারিয়া ॥ দেখিয়া সক্রোধ চিত্ত হৈয়া পদ্মাসন । স্থতপারে কছিলেন সক্রোধ বচন ॥ মম লোকে আসিয়া করহ অনাচার । এই পাপে কুম্ভীরত্ব হইবে তোমার ॥ এইক্ষণে মম হ্রদে হইবে পতন । কতদিন পরে তব হইবে মোচন ॥ ভৃগুপতি যাবে মাতৃবধ খণ্ডিবারে । তাবৎ থাকিয়া সেই হ্রদের ভিতরে ॥ টাঙ্গির প্রহারে হ্রদদ্বার করি চির । তথা স্নান যখন করিবে ভূগুবীর ॥ সেইক্ষণে গ্রাহরূপ ত্যজি শীঘ্ৰগতি । তদন্তরে জীব অংশে হইবে উৎপত্তি ॥ যুগল নয়ন অন্ধ হবে কৰ্ম্মদোষে । তে রত হবে পশুর সদৃশে ॥ এতেক বলিতে শীঘ্ৰ হইল পতন । গ্রাহরূপে সেই তীর্থে আছে তপোধন ॥ শীঘ্ৰগতি তথাকারে করহ গমন । তবে সে তোমার পাপ হইবে মোচন ॥ এত শুনি ভূগুরাম চলিল ত্বরিত। ব্ৰহ্মজুদ-কুলেতে হইলা উপনীত । দেখি ভূগুবরে জল উথলি চলিল । পৰ্ব্বত প্রমাণ নীর খেদিয়া আসিল ॥ শোষক মস্ত্রেতে নিবারিল ঘোর পানী । হ্রদদ্বার মুক্ত কৈল টাঙ্গিঘাত হানি ॥ হ্রদে স্নান করি তবে করিল তপণ । খসিল হাতের টাঙ্গি আনন্দিত মন । হেনকালে কুম্ভীর দুরন্ত ভয়ঙ্কর । রামের চরণে আসি ধরিল সত্ত্বর ॥ ধরিয়া কুম্ভীর কুলে তোলে ভৃগুমণি। শাপে যুক্ত হয়ে গ্রাহ ছাড়িল পরাণী ॥ মৃতদেহ দেখি রাম সবিস্ময় মন । নিজ গৃহে গেল-তীর্থ করিয়া ভ্রমণ ॥ মহাভারতের কথা অমৃত লহরী। শুনিলে অধৰ্ম্ম খণ্ডে পরলোকে তরি । | কহে কাশীদাস গদাধর দাসাগ্রজ ॥ গয়াক্ষেত্রের উপাখ্যান । রাজ বলে কহ শুনি গঙ্গার নন্দন । কি করিল পরেতে কৌণ্ডিস্য তপোধন ॥ ভীষ্ম বলিলেন গয়া গেল মুনিবর। মহাপুণ্যক্ষেত্র সেই বাখানে অমর ॥ গয়াহর নামে ছিল দুরন্ত অম্বর। তাহার স্বজিত ক্ষেত্র খ্যাত তিনপুর ॥ এত শুনি জিজ্ঞাসেন ধর্মের নন্দন । কহ শুনি পিতামহ ইহার কারণ ॥ পশ্চাৎ শুনিব কৌণ্ডিস্যের উপাখ্যান । আগে কহ শুনি দেব ইহার আখ্যান ॥ অস্থর স্বজিত ক্ষেত্র পূজ্য কি কারণ। ! ভীষ্ম বলিলেন শুন ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ তমোগুণে জন্ম হৈল অমর-কুমার । ত্রিপুর নামেতে দৈত্য বিখ্যাত সংসার ॥ দেব দ্বিজে হিংসা দুষ্ট করে নিরস্তর। তার ভয়ে পলাইল যতেক মমর । শিবের নিকটে গিয়া করিলেন স্তুতি । প্রকারেতে ত্রিপুরে মারেন পশুপতি ॥ | ত্রিপুরে মারিয়া নাম হৈল ত্রিপুরারী। ত্রিপুরের ভাৰ্য্যা শুকদৈত্যের কুমারী ॥ সতী গুণবতী কম্বা রূপে অনুপম । ত্রিপুরের প্রিয় ভাৰ্য্যা প্রভাবতী নাম ॥ গর্ভবতী সেইকালে আছিল সুন্দরী । নারদ কহিল আসি দৈত্য বরাবরি ॥ এই তব ভাৰ্য্যা গর্ভে আছে তব স্থত ॥ তার কৰ্ম্ম ভবিষ্যতে হইবে অস্তুত । শীঘ্ৰগতি রাখ ল’য়ে জনকের ঘরে । তবে শিব সহ তুমি প্রবেশ সমরে ॥ এত বলি অন্তৰ্দ্ধান হন তপোধন । পিতৃগৃহে কন্যারে রাখিল সেইক্ষণ ॥ তবেত শিবের সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভিল । শিবের বাণেতে দৈত্য পরাণ ত্যজিল ৷
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।