বিচিত্রং খেটকং যুগুত্বরাজপাণি [ মছঙ্গিরত। هوي۹ আজি আমি গয়াহরে করিব সংহার। এত শুনি হৃদয়ে ভাবিয়া দৈত্যবর। T রছিবে অস্তুত কীৰ্ত্তি জগৎ মাঝার ॥ প্ৰণমিয়া গোবিন্দেরে করিল উত্তর ॥ " এত শুনি আনন্দিত যত দেবগণ । প্ৰণমিয়া গেল সবে ষে যার ভবন ॥ সত্বর গেলেন প্রভু যথা গয়াস্কর । সাজিল মহেশ যেন মারিতে ত্রিপুর ॥ নানাবিধ দিব্য অস্ত্র লইয়া প্রচুর। " সংগ্রাম চাহিল গিয়া যথা গয়াস্কর ॥ শুনি গয়াস্কর ক্রোধে হইল বাহির । - গোবিদেরে ডাকিয়া বলিল মহাৰীর ॥ জগতের নাথ তুমি ঘোষে স্থরাস্থর । দেবতার বিবাদেতে মজিল ত্রিপুর ॥ ত্রিপুরের পুত্র আমি বিখ্যাত জগতে । সহজে বাপের বৈরী দেবতা বধিতে ॥ সমতায় মম সহ যুঝিবা আপনি । মম কীৰ্ত্তি রহে যেন যাবৎ ধরণী ॥ এত বলি দিব্য অস্ত্র করিল বাছনি । হাসিয়া নিলেন অস্ত্র দেব চক্রপাণি ॥ শেল শূল শক্তি জাঠি মুষল মুদগর । পরশু ভূষণ্ডি গদা আদি অস্ত্রবর ॥ নিরন্তর ফেলে দোছে দোহার উপর । এইরূপে হৈল যুদ্ধ শতেক বৎসর ॥ কেহ পরাজয় নহে সম দুই জনে । ভাবিয়া ডাকিয়া দৈত্য বলে নারায়ণে ॥ তোমার সংগ্রামে তুষ্ট হইলাম আমি । বর ইচ্ছা আছে যদি মাগি লহ তুমি ॥ হাসিয়া বলেন হরি শুন দৈত্যপতি । " মোরে বর দিতে তুমি ইচ্ছা কৈলা যদি ॥ এই বর দেহ মোরে দৈত্যের ঈশ্বর । কভু ছিংসা না করিবে দেব অ্যর নর ॥ পাষাণ শরীর হয়ে থাকহ শুইয়া । অঙ্গীকার কৈল দৈত্য প্রাক্তন স্মরিয়া ॥ শুনি আনন্দিত হইলেন নারায়ণ । মোরে বর দিলা ভূমি-দৈত্যের নন্দন ॥ মোক্ষ বর মাগিয়া লইবা মম স্থানে । তৰ কীৰ্ত্তি রহে যেন এ তিন ভুবনে ॥ । যদি কৃপা আমারে করিলা চক্রপাণি । ভক্তজন বাক্য তুমি পালিবা আপনি ॥ পূৰ্ব্বেতে নারাদ যে দিলেন উপদেশ। সেই আজ্ঞা মোরে করিবেন হৃষীকেশ ॥ এই ক্ষেত্র মধ্যে মম যাউক পরাণী । শিলারাপ হ’য়ে থাকি তব আজ্ঞা মানি ॥ আমার মস্তকে পদ দেহ নারায়ণ । মম নামে ক্ষেত্র এই হউক স্বজন ॥ গয়াক্ষেত্র বলি নাম হউক ইহার । স্বখে ত্রিভুবন লোক করুক বিহার ॥ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় আদি জগতের জন । আমার উপরে যেবা করিবে তপণ_a পিতৃলোকে পিণ্ডদান করিবে যে জন । সৰ্ব্বপাপে মুক্ত হয়ে তারে পিতৃগণ ॥ চিরকাল বৈসে যেন অমর নগর । - এই বর আজ্ঞা মোরে দেহ দামোদর ॥ পিণ্ডদানে মুক্ত যেই দিন ন হইব । সেই দিন উঠি আমি সংসার নাশিব ॥ ভাবিয়া চিন্তিয় বর দিয়া নারায়ণ । দৈত্যের মস্তকে পদ করেন স্থাপন ॥ অম্বর শরীর হত হৈল সেইক্ষণ । আনন্দেতে নিজ স্থানে যান নারায়ণ ॥ শিলারূপ হয়ে দৈত্য আছে চিরকাল । অতঃপর যে কহি সে শুন মহীপাল ॥ মহাভারতের কথা অমৃত লহরী। কাশী কহে অবহেলে ভবসিন্ধু তৰ্বি ॥ - পঞ্চ প্রেতোপাখ্যান । ভীষ্ম বলিলেন শুন ধৰ্ম্মের নন্দন । গয়াক্ষেত্ৰ ভ্ৰমিল কৌণ্ডিন্য তপোধন ॥ আর যত ক্ষেত্র তীর্থ পৃথিবীতে ছিল । একে একে তাহ মুনি সকলি ভ্ৰমিল । কুরুক্ষেত্র উত্তরে আইল তপোধন ।. ! লক্ষ লক্ষ শৰ তথা হতেছে দাহন ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।