পাস্তিপৰ্ব্ব । ] অগ্নির ধ্যান—পিঙ্গভ্রশ্নশ্রুকেশাক্ষঃ পীনাঙ্গজঠরোহরুণঃ । *Nෂඥ প্রাতঃকালে মৃগ মারি লইয়া ত্বরিত। নিজ গৃহে গিয়া আমি হৈমু উপনীত ॥ আমার বিহনে সবে দুঃখিত আছিল । মোরে দেখি সবে ক্ষুধা তৃষ্ণ পাসরিল ॥ নগরেতে মৃগমাংস শীঘ্ৰগতি লৈয় । বেচিয়া ভক্ষণ দ্রব্য আনিমু কিনিয়ু ॥ শীঘ্ৰগতি ভাৰ্য্যা গিয়া করিল রন্ধন । হৈনকালে অতিথি আইল এক জন ॥ সেই অতিথিরে আমি করাই ভোজন । পাঁরণের মহাফল পাই সে কারণ ॥ এইরূপে কত দিন দুঃখে মোর গেল । আয়ুঃশেষে মৃত্যু আসি উপনীত হৈল ॥ মহাভয়ঙ্কর চুই যমের কিঙ্কর । আসি মহাপাশে মোরে বান্ধিল সত্বর ॥ যমের এ সব কৰ্ম্ম জানি পঞ্চানন । দ্রুতগতি পাঠাইল দূত ছুইজন ॥ শিবের অকৃতি দোহে পরম স্বন্দর । অকপটে মোর পাশ খুলিল সত্বর ॥ দেখিয়া বিস্মিত যমদূত ছুইজন । জিজ্ঞাসিল কে তোমরা কহ বিবরণ ॥ এতেক শুনিয়া তারা করিল উত্তর । শিবের নিকটে থাকি শিবের কিঙ্কর ॥ শিবের আজ্ঞায় পাশ করিমু মোচন । কহ শুনি কে তোমরা হও ছুই জন । বিকৃত আকার মুক্তি লোহিত নয়ন । কোথায় নিবাস কর কাহার নন্দন ॥ ক হেতু এ ব্যাধপুত্রে করিলে বন্ধন । ত শুনি যমদূত বলয়ে বচন ॥ মারা দুই জন ধৰ্ম্মরাজ অনুচর। ক্ষ রক্ষ গন্ধৰ্ব্ব চারণ নরগণ । ংসারের মধ্যেতে মরয়ে যত জন ॥ হিরে লইয়া যায় যমের সদন । প পুণ্য বুঝি দগু করেন শমন ॥ है बग्नांथ अशंत्रां★ी श्रथम क्रूख6न । পাপের কথা না বায় কখন। র আজ্ঞা বছি ফিরি যত চরাচর ॥ " | যমপুরে গেলে পাপ হইবে খগুন । কি কারণে এই দুষ্টে করিলে মোচন ॥ এত শুনি পুনঃ কহে শিবের কিঙ্কর । তোমার ঈশ্বরে গিয়া কহরে বর্বর ॥ শিবের অনুজ্ঞা মোরা লঙ্ঘিতে না পারি। এই ব্যাধপুত্রে ল’য়ে যবে শিবপুরী ॥ সৰ্ব্বপাপে এই ব্যাধ হইবে মোচন । শিব চতুর্দশী ব্ৰত কৈল আচরণ ॥ তোর কিছু অধিকার নাহিক ইহাতে । এত বলি মোরে নিল শিবের সভাতে ॥ তিন লক্ষ বর্ষ মম তথা হৈল স্থিতি । দেবতুল্য নাম্বু ভোগ ভুঞ্জি নিতি নিতি ॥ অনন্তর ইন্দ্রলোকে হইল গমন । তিন কল্প তথা স্থখে করিমু বঞ্চন । অনন্তর ছৈল মোর ব্রহ্মলোকে স্থিতি । চৌদ্দ মন্থন্তর তথা হইল বসতি ॥ অনস্তর বৈকুণ্ঠেতে করিনু প্রয়াণ । লক্ষী সহ বিরাজিত যথা ভগবান ॥ তিনকোটি বর্ষ তথা স্থখেতে বঞ্চিমু । তারপর এই রাজবংশেতে জন্মিলু ॥ অজ্ঞানেতে শিবচতুর্দশী মহাব্ৰত । আচরিলু হীনজাতি হ’য়ে ব্যাধস্থত ॥ সেই পুণ্যে হেন গতি হইল আমার । ইক্ষ কুবংশেতে জন্ম বৈভব বিস্তর ॥ | শুদ্ধচিত্তে এই ব্ৰত করি আচরণ । সে কারণে উপবাসী আছি তপোধন ॥ এত শুনি সবিস্ময় মহা তপোধন । পুনরপি নৃপতিরে জিজ্ঞাসে কারণ ॥ অপমান পেয়ে ছুই যমের কিঙ্কর । ধৰ্ম্মরাজে গিয়া কিবা করিল উত্তর ॥ রাজা বলে মুনিবর কর জ্ঞবধান । বিস্ময় হইয়া দূত হয়ে অপমান ॥ ক্ৰোধে থর থর অঙ্গ সঘনে কম্পিত । যমের সাক্ষাতে গিয়া হৈল উপনীত ॥ উীতমন দুতগণে দেখিয়া শমন । জিজ্ঞাপিল কহ দুত কেন দুঃখী মন ।
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।