পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬৮ তিষ্ট তিষ্ট রণে দুষ্ট ঘোররাবং সমুহজনী [. মহাভারত । তোমারে দেখিয়া মন মজিল আমার । মম ভাৰ্য্যা হও তুমি কর অঙ্গীকার ॥ কন্ত বলে হই আমি অযোনি উৎপত্তি । এইত পৰ্ব্বত মধ্যে আমার বসতি ॥ অনুঢ়া যে আছি আমি বিবাহ না হয় । মোহিনী আমার নাম বিধির নির্ণয় ॥ এক সত্য কর রাজা আমার গোচরে । তবে আমি পরিণয় করিব তোমারে ৷ ” ইচ্ছামত তোমারে কহিব যেই কথা । আমার সে কথা কভু না হবে অন্যথা ॥ যদি বা দুষ্কর হয় এ তিন ভুবনে । মম বাক্য কভু নাহি করিব খণ্ডনে ॥ রাজা বলে আমি সত্য করি অঙ্গীকার । কণ্ডু না খণ্ডিব কন্যা বচন তোমার ॥ এত শুনি কন্যা করিলেন অনুমতি । পুরোহিত বিপ্রেরে স্মরিল নরপতি ॥ কঙ্কায়ন নামে মুনি বিখ্যাত জগতে । পূৰ্ব্বাপর পুরোহিত সোমক বংশেতে ॥ রাজার স্মরণে দ্বিজ আইল তখন । প্ৰণমিয়া নৃপতি কছিল বিবরণ ॥ পুরোহিত উভয়ে বিবাহ করাইল । সেই রাত্রি নরপতি তথা নির্ববাছিল ৷ মোহিনীরে কৈল রাজ মুখ্য পাটেশ্বরী। ইন্দ্রের শোভয়ে যেন পুলোমা কুমারী ॥ এইরূপে কতদিন রাজা বিহরয় । অনন্ত ব্রতের আদি হইল সময় ॥ চিত্ররেখা সহ রাজ ব্ৰত আচরিল । উপবাস করি ব্রত নিয়মে রহিল ॥ ভূমিদান গোদান করিল দ্বিজগণে । অন্নদানে তুষিল যতেক দুঃখীজনে ॥ দৈবের লিখন কতু না হয় খগুন । যুগবাক্য মোহিনীর হইল স্মরণ ॥ নৃপতিরে চাহি কন্যা বলয়ে বচন । উপবাসে কি কারণে আছহ রাজন ॥ এতেক দুষ্কর ব্রতে কোন প্রয়োজন । আমার বচনে রাজ করছ ভোজন ॥ আমার বচন রাজা কহ সবাকারে । হেন পাপ ব্ৰত যেন কেহ না আচরে । কস্তার বচন রাজা শুনি বজ্ৰাঘাত । ক্রোধানলে নয়নে হইল অংশ্রচপতি ॥ ক্ষণে ক্রোধ সম্বরিয়া বলয়ে বচন । অবলা স্ত্রীজাতি তুমি না বুঝ কারণ ॥ এই ত অনন্ত ব্ৰত বিখ্যাত সংসারে । হেন ব্রত বল মোরে ভঙ্গ করিবারে ॥ অবলা স্ত্রীজাতি কিবা বলিব তোমারে । এই ব্রত আচরিলে সৰ্ব্ব দুঃখে তরে ॥ স্বৰ্গভোগ মহাফল অবহেলে পায় । কদাচিত যমের নগর নাহি যায় ॥ পূৰ্ব্ব কথা মম এই করছ শ্রবণ । যেই হেতু এই ব্ৰত করি আচরণ ॥ সত্যযুগে ছিনু আমি শ্বপচের বংশে । স্থষেণ আছিল নাম শূদ্র অবতংসে ॥ বেশু্যাতে ছিলাম মত্ত মদ্যপানে রত । পশু পক্ষী মৃগ বধ কৈলু শত শত ॥ মম দুষ্টাচার দেখি ভ্ৰাতৃ বন্ধুগণ । দুর করি দিল মোরে-করিয়া তাড়ন ॥ ক্রোধচিত্তে ঘোর বনে করিয়া প্রবেশ । ক্ষুধায় তৃষ্ণায় হয়ে আকুল বিশেষ ॥ ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে পাই কেশব মন্দির । তাহাতে আশ্রয় করি হইয়া অস্থির ॥ অনন্ত ব্রতের সেই দিন শুভক্ষণ । উপবাসী রছিলাম করিয়া শয়ন ॥ দৈবযোগে নিশাশেষে সপ ভয়ঙ্কর । চরণে আমার আসি দংশিল সত্বর ॥ বিষের জ্বলনে মৃত্যু হইল আমার । দুই যমদূত আসিল বিকৃতি আকার ॥ মহাপাশে শীঘ্ৰ মোরে করিল বন্ধন । হেনকালে এল বিষ্ণুদূত ছুইজন ॥ যমদূতে অনেক করিল তিরস্কার । শীঘ্ৰগতি মুক্তি তার করিল আমার ॥ রথে করি নিল মোরে বৈকুণ্ঠ ভুবন । অপমান পেয়ে গেল যমদূতগণ ।