শান্তিপৰ্ব্ব । ] দুই লক্ষ বর্ষ বিষ্ণুলোকে হৈল স্থিতি । অনন্তর ব্রহ্মলোকে করিনু বসতি ॥ কত দিন ব্রহ্মলোকে স্বখেতে বঞ্চিমু । তারপরে পুনরপি মর্ত্যলোকে এমু ॥ দুই মম্বন্তর তথা করিমু বিহার । সেই পুণ্যে রাজবংশে জনম আমার ॥ হেন ব্ৰত করিবারে নিষেধ করছ । , এমত কুৎসিত বাক্য কভু না বলহ ॥ । কন্যা বলে রাজা তুমি করিলা স্বীকার । না খণ্ডিবে কোন কালে বচন আমার ॥ এবে তুমি মিথ্যাবাদী জানিমু কারণ। মিথ্যা সম পাপ নাহি বেদের বচন ॥ আপনার সত্য রাজা করহ পালন । মম বাক্যে এই ব্রত করহ ভঞ্জন ॥ এতেক শুনিয়া রাজা হৈল ভীত মন । কন্যারে চাহিয়া রাজা বলিল বচন ॥ যে বলিলে কন্যা সত্য কভু নহে আন । ত্যজিবারে পারি অামি আপনার প্রাণ ॥ তথাপি এ ব্ৰত আমি না পারি ত্যজিতে । ংস কারণে কহি আমি তোমার সাক্ষাতে ॥ এইক্ষণে নিজ আত্মা করিব নিধন । এত বলি জ্যেষ্ঠপুত্রে আনি সেইক্ষণ ॥ ছত্ৰদণ্ড দিয়া তারে করিল নৃপতি । . ধৰ্ম্মজ্ঞান শিখাইল যত রাজনীতি ॥ . যোগাসন করি তবে বসিল রাজন । দেহ ছাড়ি বৈকুণ্ঠেতে করিল গমন রাজার মরণে সবে করয়ে ক্ৰন্দন । অনেক কান্দিল পুরে পাত্র মন্ত্রীগণ ॥ রাজার শরীর ল’য়ে করিল দাহন ৷ নৃপতি বিচ্ছেদে সবে নিরানন্দ মন ॥ শ্ৰাদ্ধশাস্তি করিলেন শাস্ত্রের বিধানে । ভূমিদান গোদান করিল দ্বিজগণে ॥ ইহা দেখি কন্যা তবে স্বস্থানে চলিল । বাদ্য বাজাইয়া সবে নগরে বলিল ॥ " স্ত্রীর সহ সত্য না করিরে কদাচন। . স্ত্রীর বাক্য কদাচন করিবে গ্রহপ . . . wরুণং রৌদ্রং কালান্তকঘমোপমং। HNభ్ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । , কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান ॥ চান্দ্রায়ণ ব্ৰতোপলক্ষে চন্দ্রকেতু রাজার উপাখ্যান । ভীষ্ম বলিলেন রাজ করহ শ্ৰবণ । আর কিছু ব্ৰত কথা কহিব এখন ॥ চান্দ্রায়ণ মহাব্ৰত বিখ্যাত সংসারে । শ্রদ্ধাভক্তি করি ব্রত যে জন আচরে ॥ সৰ্ব্বকাম ফল লভে নাহিক সংশয় । পূর্বে কহিয়াছি আমি এ সব নির্ণয় ॥ এক ইতিহাস কহি শুন দিয়া মন । পূর্বে চন্দ্রকেতু রাজা ইক্ষাকুনন্দন ॥ চন্দ্রের নন্দিনী সেই পতিব্ৰতা সতী । চন্দ্রাবতী নামে কন্য। তাছার যুবতী ॥ শাপ হেতু জন্ম নিল নীলধ্বজ-ঘরে । চন্দ্রাবতী নাম হৈল বিখ্যাত সংসারে । এত শুনি জিজ্ঞাসেন ধৰ্ম্মের নন্দন । কহ শুনি পিতামহ ইহার কারণ ॥ চন্দ্রের সে নন্দিনীকে শাপে কোন জন । মর্ত্যলোকে তাহার জনম কি কারণ ৷ ভীষ্ম বলিলেন রাজ্য কর অবধান । পড়িবারে যান চন্দ্র বৃহস্পতি স্থান ॥ সর্ববশাস্ত্রে সিদ্ধ দ্বিজ অঙ্গিরা তনয় । নানা শাস্ত্র চন্দ্রকে পড়ান অতিশয় ॥ জীবের রমণী যেই তারক নামেতে । মোহিত হইল চন্দ্র তাহার রূপেতে ॥ কামে বশ হয়ে গুরুপত্নী না মানিল । প্রবন্ধ মায়ায় তারে হরিয়া লইল । তারারে লইয়া গেল আপন ভবন । চিরকাল তারা সহ করিল রমণ ॥ মর্ত্যলোকে গিয়াছিল গুরু বৃহস্পতি । যজ্ঞ সাঙ্গ করিয়া আইল মহামতি ॥ পরলোক স্থানে শুনি এ সব কথন । , গুরুপত্নী সুধাকর করিল ইরণ " ক্রুদ্ধ হয়ে গেল গুরু চন্দ্রের সদন । বলিল পাপিষ্ঠ তুই বড়হ দুৰ্জন । ,
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।