৭৮০ পঞ্চাননের ধ্যান—াৰভুজং জটিলং শাস্তং করুণাসাগরং বিভূং॥ [ মহাভারত। পুত্র মিত্ৰ ভাৰ্য্যা কেহ সঙ্গে সার্থী নয় । , মরিলে সম্বন্ধ নাহি কারে সাথে রয় , , হরিনাম হরিগুণ শ্রেবণ কীৰ্ত্তন । , মায়াতে হইয়া বদ্ধ না করে স্মরণ ॥ এইরূপে ঈশ্বরের মায়ার বিধান । তরিবে ইহাতে যেই হয় মতিমান ॥ গৃহধৰ্ম্ম করিয়া করিবে সাধুসঙ্গ । হরিনাম হরিগুণ কীৰ্ত্তন প্রসঙ্গ ॥ সাধুমুখে কৃষ্ণজ্ঞান অস্ত্র করে ধরি। মায়ার বন্ধন কষ্টিহ ত্বর করি ॥ জ্ঞানে বা অজ্ঞানে করে সাধু দরশন । ঈশ্বরের মায়া তরে সেই মহাজন ॥ অজ্ঞানে বা জ্ঞানে করে অমৃত ভোজন । তথাপি অমর হবে বেদের বচন ॥ পুৰ্ব্ব ইতিহাস কথা কহিব ইহাতে । সাবধান হয়ে রাজা শুন একচিতে ॥ কলিক নামেতে ব্যাধ ছিল শাস্তিপুরে । বহু পাপ দুরাচার করিল সংসারে ॥_ চুরি হিংস পরদ্রোহী বেশ্বাপরায়ণ । পল্পদ্রব্য লোভ লুব্ধ করে অনুক্ষণ ॥ গো ব্রাহ্মণ মিত্র হিংসা করে সর্ববক্ষণ । তাহার পাপের কথা না হয় কথন ॥ অনুক্ষণ পরদ্রব্যে অপহার করে । একদিন গেল ব্যাধ সৌরভ নগরে ॥ নগর ভিতর গিয়া পশিল সত্বর । বিচিত্র কাননে আছে দিব্য সরোবর ॥ তথা গিয়া কলিক হইল উপনীত । দেবালয় সেই স্থানে দেখে আচম্বিত ॥ নানাধাতু বিরচিত বিচিত্র গঠন । উপরেতে সুশোভন কলস কাঞ্চন ॥ দেখিয়া হইল ব্যাধ আনন্দিত মন । মন্দির নিকটে তবে করিল গমন ॥ দেখিল ব্রাহ্মণ এক আছয়ে বসিয়া । জিজ্ঞাসিল কহ দ্বিজ আছ কি লাগিয়া ॥ উতঙ্ক নামেতে দ্বিজ সৰ্ব্ব গুণাস্বিত্ত । বেদশাস্ত্রে বিজ্ঞ সাধু সৰ্ব্বত্র বিদিত ॥ নানাবিধ অলঙ্কার স্বর্ণ পাত্রাসন । শীলারূপী মুক্তি তথা দেব জনাৰ্দ্দন ॥ পূজার সামগ্ৰী নানা স্থবৰ্ণ রচিত । , দেখি, আনন্দিত ব্যাধ হৃদয়ে চিন্তিত ॥ ভাবিলেন নিশাযোগে এই ব্রাহ্মণেরে । মারিয়া লইয়া যাব দ্রব্য নিজ ঘরে ॥ এতেক ভাবিয়া মনে নিশ্চয় করিল। মন্দির সমীপে বনে গোপনে রহিল ॥ দিন অবসান নিশা হইল তথাতে । হাতে খড়গ এল ব্যাধ মুনিরে মারিতে ॥ বুকে জামু দিয়া তবে ধরে সেইক্ষণ । খড়গ উৰ্দ্ধ করি হানিবারে কৈল মন ॥ খড়গ হস্তে দেখি মুনি বলয়ে ব্যাধেরে । কি হেতু আমারে তুমি চাহ মারিবারে ॥ একাকী দেখি যে তোমা নিষ্পাপ স্তক্ষণ । তবে কোন হেতু বুদ্ধি দেখি কুলক্ষণ ॥ অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম বেদেতে বাখানে । সাধু নাহি হিংসা করে অহিংসক জনে । কালেতে কুবুদ্ধি যদি ঘটে কদাচিত ॥৭ তথাপিও হিত করে না করে অহিত ॥ কালরূপী ভগবান এক সনাতন । স্ববুদ্ধি কুবুদ্ধি তিনি করেন স্বজন ॥ সেই হেতু তোমারে দেখি যে কুলক্ষণ । প্রায় বুঝি কুবুদ্ধি দিলেন নারায়ণ ॥ অখিলপতির মায়া অখিলে মোহময় । i | | | ঈশ্বরের মায়াজাল কেহ না বুঝয় ॥ মায়াতে করিয়া বদ্ধ যত জীবগণে । কালীরূপী জনাৰ্দ্দন ভ্ৰমেণ ভুবনে ॥ পুত্র মিত্র সকল বান্ধব পরিজন । ভূত্য আদি ধন জন এ সব কারণ ॥ ব্যস্ত হ’য়ে করে লোক নানা পৰ্য্যটন । নানা দুঃখ পেয়ে করে নিত্য উপার্জন ॥ নানা ভোগ ছুঃখ পেয়ে পোষে পরিবারে । মোর ঘর দ্বার বলি অকারণে মরে ॥ মরিলে সম্বন্ধ নাছি, ন বুকে পামর । এক হয়ে জন্মে জীৰ যায় একেশ্বর ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।