পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৯২ মঙ্গলের ধ্যান—আবন্তং ক্ষত্ৰিয়ং রক্তং মেঘস্থং চতুরঙ্গুলং । [ यशंखांब्रड । _. প্রভাত সময়ে রাজা দিলেন ঘোষণা । কৃষ্ণ দরশনে সব যাইব হস্তিন ॥ মারুতি রুধিল বাট, ত্রাসিত রাজার ঠাট, তবে যুবনাশ্ব রাজা আনন্দিত হৈর । পরস্পর কহে নানা কথা । মায়ের নিকটে বলে প্রণাম করিয়া ॥ কিবা হৈল দূরদৃষ্ট, অকস্মাৎ জলবৃষ্ট, ; চল গো জননি যাব হস্তিনানগরী । তাহা দেখি নৃপসেনা, হইলেক অন্যমন, অশ্ব নিতে না পারিল শালে ॥ মায়া কৈল কেমন দেবতা ॥ গঙ্গাস্নান করি সবে দেখিব শ্ৰীহরি ॥ " মনে উপজিল ভয়, এ কৰ্ম্ম অন্যের নয়, ঘুচিবে সকল পাপ কৃষ্ণ-দরশনে। ঘোড়া নিতে আসে পুরন্দর । বিলম্ব না কর মাতা চল ভীমসনে ॥ শুiমবর্ণ পীতপুচ্ছে, হেন অশ্ব কোথা আছে, ; এত যদি কহিলেন যুবনাশ্ব রাজ । শিলাঘাতে শরীর জর্জর ॥ কহিতে লাগিল মাতা বুঝিয়া অকাজ । নুপসেন হেনমতে, বিষাদ করিয়া চিতে, রাজার নন্দিনী হই আমি রাজরাণী । অন্ধকারে না দেখি নয়নে । দেশান্তরে যাব আমি কভু নাহি শুনি ॥ চান্দোয়া চামর কোথা, খণ্ডখণ্ড হৈল ছাতা, ঘরে বাহির আমি না হই কখন । করি দন্ত খসি পড়ে ভূমে ॥ কি বুঝিয়া বল বাপু কুৎসিত বচন ॥ মেঘবর্ণ হেনকালে, ঘোটক লইয়া কোলে, কছিলেন যুবনাশ্ব শুন গো জননি । ল’য়ে গেল পৰ্ববত উপরে । থাকিলে অনেক ভাগ্য দেখে চক্রপাণি ॥ রষকেতু বৃকোদর, আনন্দিত বহুতর, কত জন্ম ফলেতে করয়ে গঙ্গাস্নান । আলিঙ্গন করিল তাহারে ॥ মরিলে গঙ্গার জলে পাইবে নিৰ্ব্বাণ ॥ ভারতের পুণ্যকথা, শুনিলে খুচয়ে ব্যথা, বধূগণ সঙ্গে ল’য়ে চলহ সত্বর । কলির কলুষ বিনাশন । দেখিবে পরমানন্দে হস্তিনানগর ॥ সেবি কৃষ্ণ-পদাম্বুজ, কহে কৃষ্ণ দাসানুজ, শুভক্ষণে অশ্বেরে পালন কৈষ্ণু আমি ; কৃষ্ণপদে থাকে যেন মন ॥ দেখিব তুরগ হৈতে অখিলের স্বামী ॥ পুত্রের শুনিয়া কথা বলিল আবার । যুবনাশ্ব রাজব হস্তিন গমন ও শ্রীকৃষ্ণ দর্শন এতধৰ্ম্ম না করিল জনক তোমার ॥ জন্মেজয় বলিলেন শুন তপোধন । একছত্রে ভুঞ্জিলেক ভদ্রাবতীপুরী । নানা যজ্ঞ দান কৈল বলিতে না পারি। আমি সব ল’য়ে কভু-না গেল বিদেশে । সিংহাসনে বসিলেন ভীম মহাশয় ॥ কৃষ্ণ নাম না শুনিমু থাকি গৃহবাসে ॥ নানা উপহারে রাজা ভীমেরে তুষিল । অধোমুখ হৈল রাজা মায়ের বচনে। মহাস্থশ্বে বৃকোদর ভোজন করিল ॥ পাত্রেরে বলিল লহু করিয়া যতনে ॥ তবে যুবনাশ্ব রাজা সম্প্রীতি পাইয়া । ভূপাদেশে পাত্র তারে বন্ধন করিল : ভীমের সম্মুখে রহে যোড়ছাত হৈয়া | দিব্য চতুৰ্দোল করি তাহাকে লইল । তোমার প্রসাদে দেথি গোবিন্দ-চরণ চতুর্গোল করি তারে করিলেক স্বন্ধে । যুধিষ্ঠির দরশনে পাপ বিমোচন ॥ মহাপাপে রাজমাত উচ্চৈঃস্বরে কান্দে ॥ গঙ্গাস্নান করিয়া দেখিব নারায়ণ । দেখিয় রাজার ভক্তি বীর বৃকোদর। শুন ভীমসেন মম এই নিবেদন ॥ ধন্য ধন্য প্রশংসা করিল বহতর ॥ । এবে কহ যুবনাশ্ব রাজার কথন । বলেন বৈশম্পায়ন শুন জন্মেজয় : .