অশ্বমেধপর্ব. ] - আরক্তমাল্যবসনং ভারদ্বাঙ্গং চতুভূজং ॥ 5(אף( সেই অশ্ব ল’য়ে রাজা চলিল আপনি । অগ্ৰে গেল বৃকোদর বড় অভিমানী ॥ বৃষকেতু মেঘবর্ণ নৃপতির সাথে । প্রবেশ করিল গিয়া পুর হস্তিনাতে ॥ এক ভীমে দেখিয়া কহুেন নরপতি । বৃষকেতু কোথা ভীম কহ শীঘ্ৰগতি ॥ মঘবর্ণ বীর কোথা কহ সমাচার । কোথায় যজ্ঞের অশ্ব না দেখি আমার ॥ অশ্ব ল’য়ে যুবনাশ্ব আইসে আপনি । কৃষ্ণ দরশন আসে শুন নৃপমণি ॥ পরিবার সহিত আইসে নরপতি । বৃষকেতু মেঘবর্ণ লইয়া সংহতি ॥ ভীমের বচনে আনন্দিত যুধিষ্ঠির । কোল দিয়া ভীমসেনে চিত্ত করে স্থির ॥ তবে যুধিষ্ঠির কহিলেন ভীমসেনে । কহ গিয়া এই কথা দ্রৌপদীর স্থানে ॥ যুবনাশ্বে পূজা করি আনহ মন্দিরে । শুন ভীম এই ভার দিলাম তোমারে ॥ আজ্ঞা প্রাপ্তে সত্বরে চলিল বৃকোদর। কহিল সকল কথা দ্রৌপদী গোচর ॥ কুন্তী যাজ্ঞসেনী আদি যত নারীগণ । সর্ণথালে করিল মঙ্গল আয়োজন ॥ ধূপ দীপ শস্থঘণ্টা আদি ধত দ্রব্য । কুসুম চন্দন আর নিল হুব্য গব্য ॥ নৃপতির অভিলাষ বুঝি নারায়ণ । দিব্যাসনে বসিলেন প্রসন্নবদন ॥ শfনামত বাদ্য বাজে হস্তিনানগরে : ভীমসেন গেল যুবনাশ্বে আনিবারে ॥ হনকালে যুবনাশ্ব আইল নগরে। ভীম তারে আনিলেন মহা সমাদরে ॥ মগ্রভাগে দ্রৌপদী করিতে নিমঞ্চন । কুন্ত্রম চন্দন নিল নানা আয়োজন ॥ পরিবার সহিত গেলেন নরপতি । যুধিষ্ঠির চরণেতে করিল প্ৰণতি ॥ নানাদান যজ্ঞ করে র্যার দরশনে । দেখিলাম নারায়ণ তোমার মিলনে ॥ ধন্য ধন্য যুধিষ্ঠির পাণ্ডুর নন্দন । তোমা হৈতে দেখিলাম গোবিন্দ-চরণ ॥ এত বলি যুবনাশ্ব গলে বস্ত্ৰ দিয়া । ধরিল গোবিন্দ-পদ ভূমে লোটাইয়া ॥ লক্ষ দণ্ডবৎ কৈল গোবিন্দ-চরণে । আনন্দেতে অশ্রু বহে রাজার লোচনে ॥ হবেগ রাজার পুত্র ভূমিষ্ঠ হইয়া । কৃষ্ণপদ পরশিল দুই হস্ত দিয়া । পরে রাজনারা আসি করিল প্রণাম । আশীৰ্ব্ববাদ সবারে দিলেন ঘনশ্যাম ॥ তবে যুবনাশ্ব রাজ। মাতারে ধরিয়া । কৃষ্ণস্থানে কহিলেন বিনয় করিয়া ॥ আমার মায়ের দোষ ক্ষম চক্রপাণি । আপনার গুণে কৃপা করহ আপনি ॥ জীবের জীবন তুমি সংসারের সার । তুমি না করিলে কৃপা কে করিবে আর ॥ পরম কারণ তুমি পতিত-পাবন। তোমার দর্শনে মম পাপ বিমোচন ॥ হিংসা করি পুতনাও পাইল তোমারে । স্নেহগুণে তোমায় পাইল যুধিষ্ঠিরে ॥ কামভাবে ব্ৰজবধু পাইল তোমাকে । এ সকল কথা শুনিয়াছি মুণি-মুখে ॥ মহাপাপকারিণী হে আমার জননী । আপনার গুণে কৃপা কর চক্রপাণি ॥ তবে কৃপাদৃষ্টিতে চাহিয়া নারায়ণ । তাহার যতেক পাপ করেন মাচন ॥ তবে যুবনাশ্ব রাজা সম্প্রীতি পাইয়া । কৃষ্ণকে করেন স্তব যোড়হস্ত হইয়া ॥ তুমি ব্রহ্মা তুমি বিষ্ণু তুমি ত্রিলোচন । তুমি ইন্দ্ৰ তুমি যম কুবের পবন । তুমি স্বর্গ তুমি মৰ্ত্ত তুমি সে পাতাল । তুমি জল তুমি স্থল দশদিকৃপাল ! তুমি দিব৷ তুমি রাত্রি পর্বত সাগর । | তুমি যোগ তুমি ভোগ তুমি চরাচর ॥ ! মাস তুমি বার তুমি, তিথি পঞ্চদশ ৷ গন্ধৰ্ব্ব কিন্নর ভূমি, তুমি সে তাপস ।
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।