পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-e Ş. ধ্যায়েৎ পীতাম্বরং জীবং সরোজস্থং চতুভূজং ॥ [ মহাভারত। কন্যা বলে শুন পিতা আমার বচন । মনুষ্য লোকেতে মম নাছি লয় মন ॥ দেবপত্নী হব আমি ইথে নাহি আন । সত্য কহিলাম পিতা তোম। বিদ্যমান ॥ স্বাহ বাক্যে পুছে রাজা হরিম অন্তরে । কাহারে বরিবা তুমি বলহ আমারে ॥ স্বাহা বলে শুন পিতা আমার বচন । জীবনে মরণে অগ্নি বলে সৰ্ব্বজন । অনল আমার স্বামী কহিনু তোমারে । র্তাহাকে আনিয়া দেহ বিবাহ আমারে ॥ রাক্ত বলে কোথা পাব তার দরশন । কন্যা বলে আসিবেন করিলে স্মরণ ॥ এত বলি রাজকন্যা পুজে বৈশ্বানরে । বৈশ্বানর তথা আসি কহেন সত্বরে ৷ নিজ অভিলাষ মোরে কহ গুণবতী । কিসের কারণে মোরে পৃক্ত নিতি নিতি ॥ স্বাহ বলে তুমি মোরে করহ গ্রহণ । তবপত্নী হ’ব আমি এই নিবেদন ॥ এবমস্তু বলি অগ্নি সেই বর দিল । বব পেয়ে স্বাহ মনে সম্প্রীতি পাইল ॥ জানাইল পিতৃদেবে অগ্নি আগমন । শুনিয়া হৈল রাজ। আনন্দিত মন ॥ দোড়হাত হ’য়ে রাজা বলিল অগ্নিরে । স্বাহা নামে কন্য। আমি দিলাম তোমারে ॥ আপনি করিবে তুমি আমার রক্ষণ । পন জন রাজ্য তোমা কৈক্ষু সমপৰ্ণ ॥ তথাস্তু বলিয়া অগ্নি সেই বর দিল । স্বাহার সহিত র্তার বিবাহ হইল ॥ পৃথিবীর প্রতি লক্ষ্মীর শাপ ও পাষাণ হইতে আশ্ব উদ্ধাস্ত্র । ত্রজন্মেজয় বলেন শুন মহামুনি । পূৰ্ব্ব বিবরণ কথা তোমা হৈতে শুনি ॥ লক্ষী কেন অভিশাপ দিলেন ধরায় । . পুথিবীর কি পত্তিক কহিবে জামায়ু ॥ বলেন বৈশম্পায়ন শুনহ রাজন । ংক্ষেপে তোমায় কহি সে সব কথন । অপার মহিমা তার কে বুঝিতে পারে। অবিরত কমলা থাকেন বক্ষোপরে ॥ তাহা দেখি বন্ধমতী কহেন লক্ষীরে । তোমার সমান তপ কেহ নাহি করে ॥ ন দেখি এমন তপ না শুনি শ্রবণে । নারায়ণ সঙ্গে তুমি থাক রাত্রি দিনে ॥ মহাবাক্য শুনি দেবী ক্রোধ উপজিল । মনোদুঃখ পেয়ে ভারে অভিশাপ দিল ॥ জন্মিবে জনার গর্ভে হবে স্বাহা নাম। অনল তোমার স্বামী ইখে নাহি আন ॥ পৃথিবী বলেন তুমি শাপ দিলা মোরে । নারায়ণ সহ দেখা নহিবে তোমারে । পৃথিবী পালিতে জন্মিবেন নারায়ণ । সতত পাইব আমি তার দরশন । অনুক্ষণ থাকিবেন গোবিন্দ মামাতে , এত বলি বহুমতী গেলেন ত্বরিতে ॥ শাপে বর পেয়ে তুষ্ট হইল ধরণী । স্বাহ নাম হৈল নীলধ্বজের নন্দিনী ॥ যোড়হাতে জিজ্ঞাসেন শ্ৰীজন্মেজয় । তারপর কোথা গেল পণ্ডিবের ছয় ॥ মুনি বলে অশ্ব গিয়া প্রবেশিল বনে । দক্ষিণ মূখেতে যায় আনন্দিত মনে ॥ সম্মুখে দেখিয়া শিলা বনের ভিতর । নিজাঙ্গ ঘর্ষিল ঘোড়া পাষাণ উপর ॥ অপরূপ কথা রাজা শুন জন্মেজয় । পাষাণে ধরিয়া রাখিলেক সেই হয় ॥ বিরল বদন হৈল কৃষ্ণের নন্দন । ভীম সহ বিরস হইল সৰ্ব্বজন ॥ অৰ্জুন বলেন কিবা আশ্চৰ্য্য বিধান । ধরিল যজ্ঞের ঘোড়া হইয়া পাষাণ ॥ কি বুদ্ধি করিব আমি কার ঠাই যাব । কহ দেখি কোনরূপে অশ্ব উদ্ধারিব | প্রস্থ্যক্ষ বলেন শুন পাণ্ডুর নন্দন । ঐ দেখ সম্মুখে অপূর্ব তপোধন ॥ يصححسك–