পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বমেধপর্ব । । সদাক্ষ বরকরক। দণ্ডহস্তং সিতাস্বরং । b-e 9 সুধম্বারে না দেখিয়া বলে নরপতি । কেন দিল নারায়ণ এমন সন্ততি । কোপে হংলধ্বজ কহিলেন পুরোহিতে । আজি স্থধস্থাকে তৈলে ফেলহ নিশ্চিতে ॥ পুত্র হয়ে না পালিল পিতার বচন । হেন ছার পুত্র মম নাহি প্রয়োজন ॥ পুরোহিত সহ রাজা এ কথা কহিতে । সুধম্বা আইল তথা পিতার সাক্ষাতে ॥ প্ৰণাম করিয়া পুরোহিতের চরণে । রাজারে প্রণাম করে রাজ সম্ভাষণে ॥ সুধম্বারে দেখি রাজা বলে কুবচন । এখন বাহির দুষ্ট হলি কি কারণ ॥ ঘোড় রাখিবারে পার্থ আসে মম পুরে। মৃত্ন করিলাম তারে ধরিবার তরে ॥ অৰ্জুন ধরিলে পাব কৃষ্ণ দরশন । বুবিয়া করিমু আমি নিদারুণ পণ ॥ ত্বরায় সাজিয়া যেবা না আসে সমরে । তাহারে ফেলিব তপ্ত তৈলের ভিতরে ॥ ভয়েতে সাজিয়া এল যত সেনাগণ । সে ভয় তোমার মনে নাছিক স্মরণ ॥ স্বধস্বী বলেন পিতা কর অবধান । অস্ত্র ল’য়ে আসি আমি কব্লিতে সংগ্রাম ॥ হেনকালে প্রভাবতী সম্মুখে আইল । ঋতুর রক্ষণ হেতু আমারে কহিল ॥ মহাপাপ হয় ঋতু ন কৈলে রক্ষণ । অতএব বিলম্ব হুইল সে কারণ ॥ ইহা শুনি বলে হংসধরজ নরপতি । জন্মিলে আমার কুলে তুমি পাপমতি ॥ যুদ্ধের সময় তোর নারীতে-য়তন । আরে ছুষ্ট দেখিব কেমনে নারায়ণ ॥ ভূমি সে আমার কুলে পাপিষ্ঠ হইলে । ছাড়িয়া ক্ষত্রিয়ধৰ্ম্ম কামে মন দিলে ॥ কৃষ্ণেতে বিমুখ হৈলে যাহ তৈল পাশে । উচিত যে শাস্তি হয় ভুঞ্জহ বিশেষে ॥ না করিলে ঋতু রক্ষা হয় মহাপাপ । কি বুঝিয়া হধম্বারে দেহ মনস্তাপ । -স্বধস্থ বৈষ্ণব বড় জানছ আপনি । লঘুপাপে গুরুদণ্ড নছে নৃপমণি ॥ পাত্রের বচনে রাজা বলে পুরোহিতে । ! স্বধম্বা আমার পুত্ৰ আসিল পশ্চাতে ॥ ঋতুরক্ষা হেতু যে বিলম্ব হৈল তার । কহ প্ৰভু কি হইবে ইহার বিচার ॥ ওহে রাজা সৰ্ব্বগুণে তুমি নরপতি । প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘিতে চাহ দেখিয়া সন্ততি ॥ ক্ষত্রের প্রতিজ্ঞা ধৰ্ম্ম ঘোষে সৰ্ব্বজন । পুত্রস্নেহে ধৰ্ম্মপথ করিছ লঙ্ঘন ॥ এত বলি সভা হৈতে যায় পুরোহিত । মহাক্রোধভরে চলে অন্ধর কম্পিত ॥ না থাকিব তোর দেশে শুন নরপতি । দেখিলু তোমার রাজা এবে পাপেমতি ॥ এত শুনি হংসধবজ কহিল পাত্রেরে । আমি যাই পুরোহিত আনিবার তরে ॥ তপ্ত তৈলে স্থধম্বাকে ফেলাইবে তুমি । সুধম্বারে পুনঃ যেন নাহি দেখি আমি ॥ অন্যের বচনে পুরোহিত না আসিবে । যতন করিয়া আমি আনি গিয়া তবে ॥ এত বলি হংসধবজ চলিল সত্বরে । স্বমতি পাত্রের পুত্র বলে স্থধস্বারে ॥ আপনি শুনিলে তুমি রাজার বচন । তৈল পাশে ক্রত যাও রাজার নন্দন ॥ মৃধন্ব বলেন তৈলে ত্যজিব জীবন । বড় দুঃখ না দেখিমু কমললোচন ॥ মহাভারতের কথা অমৃত সমান । কাশীরাম দাস কহে শুহে পুণ্যবান ॥ তপ্ত ভৈলে সুধম্বাকে নিক্ষেপ । এত বলি সুধম্বা আইল তৈলে পাশে । ভয় পেয়ে লোক সব দেখিতে ন আসে । তপ্ত তৈল দেখি বীর নাহি করে ভয় । গোবিন্দ-চরণ ভাবে রাজার তনয় ॥ ! জয় জয় নারায়ণ পরম কারণ । আমি মূঢ় না দেখিমু তোমার চৱণ ॥