পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বমেধপর্ব। শনির ধ্যান—সৌরাষ্ট্রং কাশুপং শূদ্রঃ-সুৰ্য্যাস্তং চতুরাজুলং তপ্ত তৈল হইতে মুহুস্বার উত্থান ও পাওব-সৈন্তের সহি যুদ্ধ । হুমতি পাত্রের মুখে শুনিয়া বচন । সুধম্বা দেখিতে রাজা করিল গমন ॥ বসিয়া স্থধস্ব আছে তৈলের ভিতরে । কাঞ্চন প্রতিমা যেন দেখে মহাবীরে ॥ নাহি মরে স্থধস্ব দেখিল নৃপমণি। হরিষে করয়ে লোক জয় জয় ধ্বনি ॥ শঙ্খ পুরোহিত বলে শুন নরপতি । ভৈল নাহি তাতে তেঁই হরষিতে স্থিতি ॥ পুত্রস্নেহ হেতু তুমি ভাণ্ডও আমারে । তপ্ত নাছি হয় তৈল কহিনু তোমারে ॥ পরীক্ষা করিয়া তৈল জানিব সকল । আমারে অনিয়া দেহু নারিকেল ফল ॥ নারিকেল অমুচরে আনয়ে সত্বরে। পুরোহিত ফেলে তাহা তৈলের উপরে ॥ তৈল পরশিতে ফল শতখান হৈল । শঙ্খ পুরোহিত ভালে আসিয়া বাজিল ॥ অচেতন হ’য়ে দোহে পড়িল ধরণী । ভয় প্রাপ্তে দোহারে তুলিল নৃপমণি ॥ কতক্ষণে দুইজন পাইলা চেতন । সুমতি পাত্রেরে রাজা জিজ্ঞাসে কারণ ॥ তৈল পরশিতে শিশু কি বাক্য বলি । অপূৰ্ব্ব ঔষধ মুখে কিবা দিয়াছিল ৷ পাত্র বলে অবধান কর দ্বিজবর । নারায়ণে হুধন্বা ডাকিল বহুতর ॥ কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি মুখে, তৈলেতে পড়িল । সকল লোকেতে ইহা নয়নে দেখিল ৷ রক্ষা করিলেন হরি এই স্বধস্বারে । ঔষধ না জানে কিছু, কহিনু তোমারে ॥ পাত্র বোলে দুইজন হৈল হরষিত । ঝাপ দিতে তৈলকুণ্ডে চলিল ত্বরিত ॥ আমরা পাষণ্ড বড় হিংসিমু বৈষ্ণবে । রাখিলে এ পাপ তনু নরকে ডুবিবে d এত বলি তৈলেতে পড়িল ছুইজন । সুধম্বার অঙ্গ স্পর্শে এড়ায় মরণ ॥ هه سط শঙ্খ পুরোহিত ল’য়ে রাঙ্গর কুমার । তৈল হৈতে উঠিলেন আনন্দ অপার ॥ হরষিত হংসধ্বজ পুত্র দরশনে । স্বধস্ব প্রণাম কৈল পিতার চরণে ॥ তবে দুই পুরোহিত কহিল রাজারে । স্বধস্ব সমান ভক্ত নাছিক সংসারে ॥ বৈষ্ণব হিংসিয়া মোরা পাইমু যন্ত্রণ । শুন হংসধবজ বড় বৈষ্ণব স্থধশ্বা ॥ স্থধস্ব জিনিবে রণ ইথে নাহি আন । আনিয়া তোমারে দেখাইবে ভগবান ॥ পুরোহিত মুখে রাজা শুনিয়া বচন । সুধম্বাকে তুষিলেন দিয়া আলিঙ্গন ॥ হেনকালে রাজরাণী কহে স্থধস্বারে । শুভক্ষণে তোমা আমি ধরিমু উদরে ॥ শুন পুত্র শীঘ্ৰ যাও করিবারে রণ। আনিয়া দেখাও মোরে কমললোচন ॥ এত বলি রাজরাণী গেল নিজঘরে । হরিষে স্থধস্ব যায় যুদ্ধ করিবারে ॥ স্বধস্ব সংগ্রাম করে হাতে ধনুৰ্ব্বাণ । চঞ্চল পাণ্ডব-সৈন্য নাহি ধরে টান ॥ তবে বৃষকেতু বীর কর্ণের তনয় । রথ আরোছিয়া আসে সমরে নির্ভয় ॥ ধনুকে টঙ্কার দিয়া প্রবেশিল রণে । যুদ্ধ আরম্ভিল তবে সুধম্বার সনে ॥ বৃষকেতু শত বাণ পূয়িল সুন্ধান । সুধম্বা কাটিয়া তাহ কৈল থান খান ॥ পঞ্চশত বাণ এড়ে রাজার নন্দন । বাণাঘাতে বৃষকেতু হৈল অচেতন ॥ সুধম্বা বিন্ধয়ে তবে কর্ণের নন্দনে । , আগু হৈল কামদেব ক্রোধ করি মনে ॥ চেতন পাইয় উঠে কর্ণের কুমার । ধনুক পাতিল বীর আলি পুনর্বার ॥ স্বধস্বাকে ডাকিয়া বলিল ক্রোধমনে । আমার সহিত যুদ্ধ বিন্ধ অন্যজনে ॥ এ নহে ক্ষক্রিয় ধৰ্ম্ম শুনহ স্থধস্থ। । আজি তোমা বধি আমি রাখিব ঘোষণা ।